মেঘের খেয়ায় ভেসে বেড়ানো আকাশের শূন্যতা
কখনো সখনো বুকের ভেতরেও বাসা বাঁধতে পারে, জানো!
ঝরা শিউলির মত অগনিত নক্ষত্র যেখানে
জেলে নৌকোর পিদিম জ্বলা অন্ধকার এক নদী।
ভারী পাহাড়টা তার গোড়া গেড়ে
আসন পোক্ত করে রাখে
হৃদপিন্ডের খুব কাছে কোথাও।
দূরন্ত ঝিঁ ঝিঁ পোকার গুঞ্জন যেখানে
ভাবনাতে উন্মত্ত নিরবধি।
দুইয়ে দুইয়ে চারের মত সরল গণিত হিসাবে
এমন করে আরো মেলাতে পারি-
পাহাড়ি বুক চেরা ঝর্ণার সাথে অশ্রুর স্বচ্ছ জল,
বালুকাবেলায় ঢেউয়ের গর্জনের সাথে
জমাটবদ্ধ হাহাকারের গলাফাটা চিৎকার।
লাইনের সরলরেখায় ছুটে চলা বাষ্পীয় ইঞ্জিনের মত
মাটির টানে দল বেঁধে ধেয়ে আসে ঝমঝম বরষা।
কত বিপরীত ওদের ঠিকানা, দেখেছো?
কতটা বেপরোয়া নিজেদের অস্তিত্বে।
তবুও তো মিলে যায়!
শুধু হিসাব মেলাতে পারিনা -
রূপকে,উপমায়, বাস্তবিকে অথবা কল্পনায়;
এমনকি প্রচেষ্টার সুড়ঙ্গ খুঁড়েও কেন গন্তব্য পায়না
খুব কাছে থাকা বিপরীত মেরুর দুটি মন।
ছবিসূত্র : ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৪