somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হৃদয়ের শোকগাথা

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কেউ কেউ চলে গিয়েও
রয়ে যায় ঘাসে; শিশিরের কান্নায়,
নাহয় স্বচ্ছ ফড়িং ডানায়।

আকাশে নেই, বাতাসে নেই...
নেই আর্ত চিৎকার কিম্বা নিগূঢ় নীল মৌনতায়।
দূর আকাশের সপ্তর্ষিমন্ডলের আহাজারিতে মন ভিজিয়ে
শূন্যতায় আঁকি তেমনই এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন।
আমাদের ছেড়ে তুমি কোথায় আছো জুঁথী???

যাবার সময় -
চলে গেছ দস্যুবেশে।
গৃহকর্তাকে নি:শেষ করে -
ঠিক যেভাবে সর্বস্ব লোটে দুর্ধর্ষ ডাকু সর্দার।
আড়চোখে একটিবারও ফিরে দেখনি
পেছনটায় কতটা লন্ডভন্ড!
তছনছ ঘর-দোর,
থমথমে গেরস্হালী,
শোকাহত গৃহকর্ত্রীর স্তব্ধ শূন্যদৃষ্টি।

মহাকালের কোল থেকে ছিনিয়ে নিতে
প্রতিমুহূর্ত তোমায় আমি তন্ন তন্ন করে খুঁজি।
কোথাও নেই তুমি!
সবাইকে ধোঁকা দিয়ে
এভাবে কেমন করে পালিয়ে যেতে পারলে!
সবকিছু ছিনিয়ে,দস্যি ঘোড়া ছুটিয়ে
সকলকে নি:স্ব করে কেন চলে গেলে জুঁথী???

দিনশেষে খতিয়ান ভালো করে মিলিয়ে দেখ-
হিসেবের গড়মিলে কতটা হেরে গেছ তুমি!
নিয়ে যাবার ছল করে
সবকিছু ফেলে গেছ ভুলে।
হৃদপিন্ডের বিদীর্ণ অংশ ছাড়া
আমাদের আর কিছুই যে নেই তোমার সাথে।
শত সহস্র আবেগ ভাঙা কাঁচে পা মাড়িয়ে
আলতা রাঙা পায়ে হেঁটে গেছ দিগন্ত পেরিয়ে।
ছিন্ন ভিন্ন পাঁজরের হাড়গুলো
অবিন্যস্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়েছো
ঘরের মেঝেতে, চলতি পথের বাঁকে।
বিদায়ী পদছাপে তারা প্রতিনিয়ত অনুসরণ করে
ঊষর হৃদয় থেকে তোমার সমাধীস্হল পর্যন্ত।

ফিরে এসে একবার ছুঁয়ে দাও আমায়!
সোনার কাঠি, রুপোর কাঠি কিম্বা জাদুর কাঠিতে নয়;
তোমার বাঁশরী আঙ্গুলের সুরের লহরীতে
ঝংকার তুলে ফিরিয়ে দাও আমাদের প্রাণ।
দারুণ উল্লাসে পরস্পরকে জড়িয়ে
এসো উপভোগ করি বাক্সবন্দি মিলন সুখ-আনন্দ।

দোহাই লাগে!
আমাকে তুমি ছুঁয়ে দাও জুঁথী!
দমবদ্ধতার দাওয়াই হিসেবে অসাড় নীল ঠোঁটে
তোমার একটি হাসির দ্যোতনায় ভরে দাও অম্লজানের সুধা।
এরপর হাতে হাত রেখে
এসো একসাথে পেরোই মহাকালের দূর্ভেদ্য সেতু।

আমাকে তোমার সঙ্গী করে নাও জুঁথী!!!
ধরনীর বুকে তোমার স্মৃতি আঁকড়ে বাঁচতে,
শোকে মুহ্যমান প্রিয়জনদের জীবন্ত লাশ বয়ে বেড়াতে,
বড্ড বেশি কষ্ট হয় আমার।


ছবিসূত্র : ইন্টারনেট।
*** জুঁথী আমার একমাত্র ছোটবোন। আজ থেকে নয় বছর আগের এই দিনে,আমাদের সবাইকে নিঃস্ব করে পাড়ি জমিয়েছে না ফেরার দেশে।
সে নিষ্ঠুর দেশ দেখতে কেমন, কতদূরের পথ, ঠিকানা বা যোগাযোগ ব্যবস্হা কিছুই জানা নেই আমার। শুধু জানতে ইচ্ছা করে,সেখানকার অধিবাসীরা কি বিশ্বাস করে - চোখের আড়াল মানেই মনের আড়াল নয়। :(
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮
৫০টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×