somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বুবুনের ডায়েরি

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১।

এক তারিখে আমার স্কুলে ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে। কিন্তু তার তিন দিন আগেই আমার মাথাটা অপ্রত্যাশিতভাবে ফেটে গেলো। ঘটনা তেমন বিশেষ কিছুই না। বাসার সামনেই একটা খালি প্লট আছে। খালি জায়গাটা কাদের সেটা না জানলেও আমাদের খেলাধুলা থেমে থাকে না। আমি তেমন বেশি খেলতে যাই না বিশেষ করে দৌড়াদৌড়ি খেলা। কারণ আমি ভালো দৌড়াতে পারি না। আমার স্বাস্থ্য ভালো না। মহল্লার দুষ্টু আর বাজে ছেলেরা আমাকে ক্যাঙ্গারু বলে ডাকে। আগে আমি এসব কথাকে খুব গায়ে লাগাতাম কিন্তু এখন আগের চেয়ে একটু বুঝি বেশি। তাই এসব কথাকে পাত্তা দেয়ার কিছু দেখি না। ক্যাঙ্গারু বললেই তো আমি আর ক্যাঙ্গারু হয়ে যাচ্ছি না। যাই হোক সেদিন ছিল শুক্রবার। আমি বাসার সামনের ঐ খালি প্লটে আকাশ, নিপু,মুসা আর ফারহানের সাথে বসে ছিলাম। একটা বড় গাছ ছিল ঐ খালি জায়গাটায়। একদিন অনেক ঝড় বৃষ্টি হওয়াতে গাছটা কাঁত হয়ে পড়ে গিয়েছিলো। আমার শোবার রুমের জানালা দিয়েই সকালে আমি দেখেছিলাম মাঠে অনেক ভিড়। তারপর ভিড় একটু কমলে দেখলাম গাছটা পড়ে আছে। এরপর থেকে বাসার সামনের খালি ঐ জায়গাটায় গেলে আমরা ভেঙে পড়া গাছটার উপর উঠে বসতাম গল্প করার জন্য। আমার তেমন গল্প বলার কিছু নেই,আমি অন্যদের গল্প বেশি শুনি।

যেদিন আমার মাথা ফাটল সেদিন বুঝেছিলাম আকাশ আমার ভালো বন্ধু,সত্যিকারের ভালো বন্ধু। অবশ্য তার দুই দিন আগেও আকাশের সাথে আমার ঝগড়া হয়েছিলো। ক্রিকেট খেলতে গেলে সবসময় আমি টাকা বেশি দেই বল কেনার জন্য। আমি দেই বিশ টাকা আর আকাশ, নিপু, মুসা,শিহাব অরা একসাথে মিলিয়ে দেয় দশ টাকা। আমি শুধু একটাই শর্ত দিয়েছিলাম বল যদি মাঠের বাইরে পুকুরে গিয়ে পড়ে কিংবা দেয়ালের কোণা বা আরো দূরে গিয়ে বল হারায় সেটা ওদের খুঁজে আনতে হবে। কিন্তু সেদিন আকাশ আমার সাথে কথা দিয়ে কথা রাখেনি। টাকা তো দেয়ই নি,বলে এতো জোরে ব্যাট করেছিলো সেটা গিয়ে পড়েছে পুকুরে, কচুরিপানার উপরে। পড়ার পর আকাশ বলে যে ও বল আনতে পারবে না। যার বল সে নাকি আনবে। আমার খুব মেজাজ খারাপ হয়েছিলো। ওরা তো ভালো মতই জানে আমি এতো উঁচু দেয়াল টপকে পুকুরের সামনে যেতে পারবো না আর কচুরিপানা ঘেঁটে বলও খুঁজতে পারবো না। তারচেয়েও বড় ভয়ের কথা আমাদের বাসার কাছাকাছি একটা কবরস্থান আছে পুকুরের কাছে। শুনেছি ওখান থেকে মাঝে মাঝে নাকি লাশ ভেসে আসে। শিহাব আমাকে বলেছিল ছাদে দাঁড়িয়ে গল্প করার সময়। আমাদের বিল্ডিং এর ছাদ থেকে কবরস্থান ফকাফকা দেখা যায়। আম্মুকে যখন বলেছি এই ঘটনা আম্মু বলেছে -

আরে বোকার মতো এসব কে বলেছে শুনি। কবরস্থানে অনেক শেয়াল ,কুকুর ঘোরে। হয়তো কোনো ফাঁকে কবর খুদে মৃত মানুষের হাড়গোড় টেনে বের করেছে। সেটাই হয়তো পুকুরে পড়েছে।

আম্মু যত যাইই বলুক পুকুরে এসব ভাসে কিনা কে জানে, মুসাও আমাকে বলেছে কিছু খারাপ লোক আছে তারা কবর থেকে নাকি মৃত মানুষের গায়ের কাফন চুরি করে বিক্রি করে দেয়। যাই হোক যে কথা বলছিলাম আকাশ সেদিন ত্যাড়ামি করে আমার বল এনে দেয়নি। আমার খুব রাগ লেগেছিল। টাকাও আমি দিবো আবার আমাকেই বল আনতে দেয়াল টপকাতে হবে ভেবে রাগ করে আমি আমার ব্যাট নিয়ে বাসায় চলে এসেছিলাম। পরে বারান্দা থেকে দেখলাম বিকালে সেই বল দিয়েই ওরা খেলছে। লাল কস্টেপ দিয়ে বলটা প্যাঁচানো ছিল। আমি দেখেই চিনেছি আমার বল ওটা। ওখানে আকাশও ছিল। মাঝে মাঝে আকাশ কলেজে পড়া বড় ভাইদের দলেও খেলে। ও বোলার হলেও তেমন বেশি উইকেট পায় না। তারপরেই আমি ঠিক করেছিলাম আমি আর আকাশের সাথে কথা বলবো না। কিন্তু যেদিন আমার মাথাটা ফাটলো সেদিন আকাশই আমার জন্য অনেক দৌড়ঝাঁপ করেছিলো।

মাথা ফাটার ফিলিংসটা আমার মাঝে একই সাথে ভয়, দুঃখ আর অবাক ভাব এনে দিয়েছিলো। আমি সিনেমায় বা টিভিতে দেখেছি মানুষের মাথা ফেটে যায়, গলগল করে রক্ত বের হয়, আমার বড় মামার মুখেও শুনেছি তার ছোটবেলায় তারও মাথা ফেটে গিয়েছিলো, তার হাতে সাইকেলের চেন লেগে কেটে গিয়ে সাদা চিকনাই বের হয়ে গিয়েছিলো, পায়ে সেলাই লেগেছিলো ফুটবল খেলতে গিয়ে ব্যথা পেয়ে কিন্তু তাই বলে আমার মাথা ফেটে গেছে এটা যেন আমার বিশ্বাসই হচ্ছিলো না। আমার সাথে তো মুসা, শিহাব, নিপু ওরাও ছিলো ওদের কিছু হলো না আর আমার মাথাটাই ফেটে গেলো! আমার অনেক কষ্ট লেগেছিল সব খারাপ জিনিস কি শুধু আমার সাথেই হবে। আমার তিন দিন পর ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে আর আমারই এমন হলো। পরক্ষণেই মনে হলো আম্মু বাইরে যাওয়ার আগে বারবার বলে গিয়েছিলো আজকে বাইরে না খেলতে। কিন্তু আমি তো খেলতে যাইনি, বসে বসেই গল্পই করছিলাম। আম্মু যদি বাসায় ফিরে বকা দেয় বা মার লাগায়! আমার কেমন কান্না কান্না চলে আসছিলো। ততক্ষণে নিপু বলছিল

আরে দোস্ত কিছু হয় নাই, একটুখানি ঢিল লাগছে। একটু রক্ত বের হইলে কিছু হইব না।

আমার খালি মনে হচ্ছিলো আমার ঘাড় বেয়ে গরম কি যেন নামছে। এর আগে মনে হচ্ছিলো ধারালো কিছু দিয়ে আমার চামড়াটা কেটে দেয়া হয়েছে। একবার আমাকে নেইল কাটারের বদলে ব্লেড দিয়ে আমার দিদুন নখ কেটে দিয়েছিলো। তখন কচ্‌ করে আমার নখে ব্লেড দেবে গিয়ে রক্ত বের হয়েছিলো। ঐ ব্যথাটা এমন যেন মনে হচ্ছে চিকন চিকন করে আমার হাতের আঙুলের মাংস কেউ কেটে দিচ্ছে। দেখতে দেখতে আমার সবুজ গেঞ্জিটা রক্তে ভিজে লাল হয়ে গেলো। আমার খালি মনে হচ্ছিলো আমি বোধ হয় আজকেই মারা যাবো, এতো রক্ত বের হয়েছিলো। আমি বারবার মনে করার চেষ্টা করছিলাম আমার রক্তের গ্রুপ কি, আমার রক্ত লাগলে কে আমাকে রক্ত দিবে। এর মাঝেই মনে হলো আমাকে কেউ কোলে তুলে নিয়ে দৌড়াচ্ছে। তাকিয়ে দেখি আমার ফাইয়াজ মামা আর তার বন্ধুরা। অন্য সময় হলে আমি লজ্জা পেতাম আমাকে কোলে নেয়াতে। কারণ আমি এখন ক্লাস সেভেনে উঠবো, বড় হয়ে যাচ্ছি। হাত পা তরতরিয়ে বড় হচ্ছে। আমার আরও মনে হচ্ছিলো আমার স্মৃতিশক্তি মনে হয় চলে যাবে। ঐ যে সিনেমাতে যেমন দেখায়।আমার খুব ভয় ভয় লাগতে থাকলো। আমার নতুন কেনা হট হুইলসের গাড়ির সেট দিয়ে আমার ছোট ভাইটা খেলবে আর আমি স্মৃতি হারিয়ে বোকাদের মতো তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবো, শুন্যে হাতে নেড়ে কথা বলবো, আমার আম্মু-আব্বু কাউকে চিনবো না এসব ভেবে আমার খালি কান্না পাচ্ছিলো।

২।

আমি যদি সত্যি মারা যাই তবে কি আমার বিচার হবে? আচ্ছা, আমি কি ভালো মানুষ? আম্মু বলে আমি ভালো ছেলে। একবার আমি ফাইয়াজের সাথে অল্প ঝগড়া হবার পর ওর স্কুলের হোমওয়ার্কের খাতা চুরি করে বাইরে ফেলে দিয়েছিলাম যাতে করে ও টিচারের বকা খায়। টিচার ওকে বকেছিলোও, আর কান ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলো। ও যখন কান ধরে দাঁড়িয়েছিলো আমার তখন খারাপ লাগতে শুরু করে। আমি বাসায় এসে আম্মুকে বলি,

- "আচ্ছা, আমি যদি ইচ্ছা করে কারো ক্ষতি করি, তবে কি আমি খারাপ ছেলে?"

আম্মু বলেছিলো,

- "খারাপ কাজ করে যদি তোমার খারাপ লাগে, তবে তুমি এখনো খারাপ হওনি। ভালো ছেলেই আছো!"

নিজেকে ভালো ভাবতে আমার ভালো লাগে। আমি একটা ভালো ছেলে হতে চাই।

যাইহোক, আমাকে মামারা কোলে করে নিয়ে যাচ্ছে। আমি চোখে অন্ধকার দেখছি। আমি কোনদিন মৃত্যু নিয়ে সেভাবে ভাবিনি। এই প্রথমবারের মত ভয় পাচ্ছিলাম। যদি আমি মরে যাই, আম্মু কি খুব কাঁদবে? দিদুন কি করবে? আর আব্বু? আব্বু কি করবে?

মরে গেলে নিশ্চয়ই আমারও বিচার হবে। আচ্ছা, আমি কি কোন ভালো কাজ করেছি জীবনে? খুব বেশি মনে পড়ছে না। দুষ্টুমি করেছি অনেক। চোখ বন্ধ অবস্থাতেই মনে করতে চেষ্টা করলাম। কি ভালো কাজ করেছি আমি?

ক্লাস থ্রি তে থাকতে একটা পিচ্চি বিড়ালের বাচ্চা ড্রেনে পড়ে গিয়েছিলো। কাল্লো পচা পানির ড্রেন। বাচ্চাটা মিউ মিউ করে চীৎকার করছিলো, অনেক কষ্ট পাচ্ছিলো। কিন্তু কেউ ওকে তুলে আনছিলো না। বরং কিছু ছেলে ওকে কাঠি দিয়ে খুচিয়ে আবার ড্রেনের দেয়ালের দিক থেকে ভেতরে ঠেলে দিচ্ছিলো। আমার খুব খারাপ লাগছিলো, কষ্ট পাচ্ছিলাম। আমি দৌড়ে দোকানদার চাচ্চুর কাছে গিয়ে একটা পলিথিনের ব্যাগ নিয়ে আসি। এরপর সেটাতে হাত পেঁচিয়ে বিড়ালের পিচ্চি বাচ্চাটাকে তুলে আনি। এরপর স্কুলের বাথরুমে গিয়ে বাচ্চাটাকে সাবান দিয়ে গোসল করাই। শ্যাম্পু খুঁজছিলাম, পাইনি! তবে গোসল করিয়ে ওকে সামনে ছেড়ে দিতেই ও মিউ মিউ করে আমার পায়ের দিকেই আসছিলো। আমি ওর চোখ দেখেছিলাম, কী ভীষন মায়া ভরা চোখ! ও কি আমাকে থ্যাঙ্কস জানাচ্ছিলো ওর চোখের আর অজানা মিউ মিউ ভাষায়? সেই থেকে ও আমার সাথেই আছে। ওর নাম ইটিক্স। ইটিক্সকে বাঁচানো কি ভালো কাজ বলা যাবে?

ওকে তুলে আনবার পর আমি লাইজু ম্যাডামকে জোর গলায় কাউকে বলতে শুনেছিলাম,

- "ওটা বুবুনই তুলেছে, হাত দিয়ে..."

আমার শুনতে খারাপ লাগছিলো, সবাই আমাকে কত নোংরা ভাবছিলো। কিন্তু এই বিল্লী বাচ্চাটার মিউ মিউ ডাক যে আমার আর কিছুতেই সহ্য হচ্ছিলো না!

আমি দিদুনের কাছ থেকে গল্প শুনেছিলাম একটা বুড়ি নাকি একটা কুকুরকে পানি খাইয়েছিলো অথবা সাহায্য করেছিলো দেখে উনি বেহেস্তে যাবেন। আর নাকি কোন ভালো কাজ করেন নি। আমিও অন্য কোনো ভালো কাজ করিনি। তবে এটাও তো তেমনই কাজ। আমি আর কোনো ভালো কাজ করেছি বলে মনে পড়ছে না। আমি মনে মনে ভাবলাম, আমি যদি বেঁচেই যাই, তবে অনেক অনেক ভালো কাজ করবো। যাতে অন্তত মৃত্যুর পরে বিচার হলে কি হবে সেটা নিয়ে ভাবতে না হয়... আমি কি সত্যি বাঁচবো?

আমার চোখ আরো অন্ধকার হয়ে এলো।

আবার জেগে উঠলাম। তবে চোখ খুলবার চেষ্টা করতেই দেখলাম চারদিক অন্ধকারের মতই, খুব আবছা আলো... কিছু দেখতে পাচ্ছি না সেভাবে। এর মাঝেই হুট করে আমি চিৎকারের মত শুনতে পেলাম,

- "জ্ঞান ফিরেছে! জ্ঞান ফিরেছে!!"

সেখানে আমি আম্মুর গলার আওয়াজও পেলাম। আমার এখন আর চোখ খুলে রাখতে ভালো লাগছে না। খুব ক্লান্ত লাগছে। আম্মুর কোলে মুখ লুকিয়ে ঘুমোতে ইচ্ছে করছে। আম্মু আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে, আমি চোখ বন্ধ রেখেও আম্মুর হাতের স্পর্শ টের পাচ্ছি। আম্মুর গায়ের গন্ধে আমার আবারো কান্না কান্না পাচ্ছে।

সমাপ্ত

নোটস -- ১ নাম্বার পার্টটা লিখে আমি আর লেখার আগ্রহ পাচ্ছিলাম না তবুও লেখাটা পোস্ট করেছিলাম। বলেছিলাম কেউ চাইলে লেখাটার বাকী অংশ লিখে সমাপ্ত করতে পারেন। তারপর ব্লগার ইনফেকটেড মাশরুম কমেন্ট করে কিছুটা লিখেছিলেন। তাকে ধন্যবাদ। আর সেখানে কিছুটা যোগ করে লেখাটা সমাপ্ত করলাম। ব্লগারদের পারস্পারিক ইন্টার‍্যাকশন বাড়ানোর জন্যও এটা একটা প্রয়াস ছিল। গল্পের বুবুনটা ছিল আমার ছেলে বাবুই। প্রথম অংশের ঘটনাটা তাকে নিয়েই ঘটেছিলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪
৩৪টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভুল শুধু ভুল নয়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৬

এক
লেখাটা একটি কৌতুক দিয়ে শুরু করি। ১৯৯৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে শফিপুর আনসার একাডেমিতে বিদ্রোহ হয়। ৪ ডিসেম্বর পুলিশ একাডেমিতে অভিযান চালায়। এতে চারজন আনসার সদস্য নিহত হয়েছিল। এটি ছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। VF 3 Mini: মাত্র 60 মিনিটে 27 হাজার বুকিং!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২১ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪



আমার ব্যাক্তিগত গাড়ি নেই কিন্তু কর্মসূত্রে বেঞ্জ , ক্যাডিলাক ইত্যাদি ব্যাবহার করার সুযোগ পেয়েছি । তাতেই আমার সুখ । আজ এই গাড়িটির ছবি দেখেই ভাল লাগলো তাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ময়লাপোতার কমলালেবুর কেচ্ছা!! (রম্য)

লিখেছেন শেরজা তপন, ২১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩


বাংলাদেশের বিশেষ এক বিভাগীয় শহরে ময়লাপোতা, গোবরচাকা, লবনচোরা, মাথাভাঙ্গা, সোনাডাঙ্গার মত চমৎকার সব নামের এলাকায় দারুণ সব সম্ভ্রান্ত পরিবারের বাস।
আমার এক বন্ধুর আদিনিবাস এমনই এক সম্ভ্রান্ত এলাকায় যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাময়িক পোস্ট: বন্ধ হয়ে গেল সচলায়তন

লিখেছেন করুণাধারা, ২১ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


বন্ধ হয়ে গেল সচলায়তন! view this link

সামহোয়্যারইনব্লগ থেকে কয়েকজন ব্লগার আলাদা হয়ে শুরু করেছিলেন সচলায়তন বা সংক্ষেপে সচল ব্লগ। এটি বন্ধ হবার মূল কারণ উল্লেখ করা হয়েছে দুটি:

১)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×