জামায়াতের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে সংগঠনটির আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী সরকারকে চ্যলেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, মিডিয়া যতই মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করুক না কেন, দেশের ইসলামপ্রিয় জনতা এতে বিভ্রান্ত হবে না। জামায়াত থেকে টাকা নেয়ার কল্পকাহিনীও প্রচার করছে কিছু মিডিয়া। তিনি বলেন, সরকার দুই নৌকায় পা দিয়েছে। সরকারকেই অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। দেশের নব্বই ভাগ লোকের যে ধর্ম সরকার কী তার পক্ষে থাকবে নাকি গুটিকয়েক নাস্তিকের কথায় উঠবে বসবে? লংমর্চের অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সরকার আগেই টের পেয়েছে, অনুমতি না দেয়ার পরিনাম কী হতে পারে। লংমার্চে অনুমতি দেয়া না হলে সেদিন সারাদেশে ‘শহীদ’ হতো কয়েক হাজার মানুষ। জামায়াত কিংবা অন্য কোন রাজনৈতিক দলের লংমার্চ হলে এভাবে সাড়া দিত না সাধারণ মানুষ। লংমার্চ শেষে চট্টগ্রাম ফিরে হেফাজতের আমীর আহমদ শফী গতকাল সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনো প্রলোভন কিংবা কোনো মোহে হেফাজতে ইসলাম বিক্রি হবে না। হেফাজতে ইসলাম মৌলিক অরাজনৈতিক নীতিমালা তথা ইসলাম ও মুসলিম স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির বাইরে কোনো রাজনৈতিক ভূমিকায় জড়াবে না। হেফাজতের অরাজনৈতিক ইমেজ অব্যহত থকবে। তিনি বলেন, তাদের আন্দোলন ঢালাওভাবে সব ব্লগ বা ব্লগারদের বিরুদ্ধে নয়। আলেম ও মাদ্রাসা ছাত্রদের মধ্যেও অনেক ব্লগার আছে। তিনি বলেন, লংমার্চ ও মহাসমাবেশে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি নাস্তিক মুরতাদদের দেখিয়ে দিয়েছে ইসলামের শক্তি ও সামর্থ্য।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



