প্রভাদের অফিসে আমি যার রেফারেন্সে এসেছি সে আমার জন্য অপেক্ষা কর্ছেন। তিনি নেপাল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর। আমার একান্ত আপনজন বল্তে কেউ নয়। আমার এক বড় ভাইয়ের অফিস সুত্রে তাদের অফিসিয়াল যোগাযোগের মাধ্যমে একটি সুত্র ধর এই আর কি?
আমার সঙ্গে পরিচিত হলেন প্রফেসর নারায়ন। এর পর আমাদের দেশে নানান বিয়য়ে খোজ খবর নিলেন। প্রভা চা করে নিয়ে এলো। আমরা সবাই চা খেলাম। আমার নেপালে ভ্রমনের জন্যই ঘুর্তে আসা কিংবা পাসপোর্টে নেপালের ভিসা লাগানোর জন্যই নেপালে আসা কাটমুন্ডুতে ২ দিন থাকবো। প্রফেসর নারায়ন আমাকে বল্লেন যদি ২/৩ দিন কাটমুন্ডু থাক্তে চাই তাহলে তাদের এখানের গেস্ট রুমে থাক্তে পার্বো এর বেশী হলে আমাকে কোন হোটেলে থাক্তে হবে। আমি তাদের প্রস্তাবে খুব খুশি হলাম। আর মনে মনে ভাব্লাম অন্তত ২দিন প্রভা মেয়েটার সঙ্গে আড্ডা দেয়া যাবে।
আমাকে আর গেস্ট রুম দেখিয়ে দিয়ে প্রভা জিজ্ঞেস কর্লো আমি লাঞ্চ করেছি কিনা বল্লাম, না এখনো লাঞ্চ করা হয়নি। সে আমাকে রান্নাঘর দেখিয়ে দিয়ে বল্ল, এখানে রান্নার সব ব্যবস্থা আছে তবে নিজের বাজার নিজের করে এবং রান্না করে খেতে হবে। আবার চাইলে হোটেলেও খেয়ে নিতে পার্বো হোটেলের লোকেশনও সে বলে দিল।
আমি হোটেলের উদ্দেশ্যে বের হলাম। হোটেলে গিয়ে ইংরেজীতে যা বুঝাচ্ছি কিছুই বুঝছে না। পরে ভাত দেখিয়ে ইঙ্গিত কর্লাম এটা খাবো। বল্ল, সাদাকানা?
আমি বল্লাম, ইয়েস। এরপর যে ভাবেই খাওয়াদাওয়া করে ফিরে এলাম আমার গেস্ট রুমে। নেপালের সবকিছুই একটু খরচ বেশী পরে। এসে দেখলাম, প্রভা চলে গেছে প্রফেসর প্রকৌশলীও চলে গেছে। পুরো ভবনটাই ফাকা ফাকা হয়ে গেল। প্রহরীর দেখা মিল্তেই জিজ্ঞেস কর্লাম, তারা কখন ফির্বে?
প্রহরী বল্ল, আগামীকাল সান ডে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তার পরেরদিনও সর্কারী ছুটি তাই এই দুইদিন তাদের দেখা মিল্বেনা। আমার মন্টা খারাপ হয়ে গেল।
শিলিগুরি থেকে জার্নি করে আসা পথের ক্লান্তির কথা মনে পড়ে গেল। আমি ঘুমুতে চলে গেলাম। ঘুম থেকে উঠলাম সন্ধ্যার কিছু আগে আগে। রুম থেকে বের হতেই ১২/১৩ বছরের এক তরুনের সাথে দেখা।