ডায়েরির পাতার কিয়ৎ অংশঃ
আজ ২০শে বৈশাখ। হঠাৎ একটি ফোন এলো আমার মুঠোফোনে। বুঝতে পারছিলাম না – স্বপ্ন এতো তীব্র হয় কিভাবে। দিগ্বিদিকজ্ঞান শূন্য হয়ে ছুটলাম। হার্টবিটের আওয়াজটা ছাপিয়ে নিঃশ্বাস–প্রশ্বাসগুলো দ্রুততরতার প্রমাণ দিচ্ছে।
দর্শনে, ঠিকমতো কথা বলতে পারছিলাম না। ফলে মিশ্র অনুভূতিগুলো পৃথক করা আরও দূঢ়ুহ হয়ে পড়ছিলো।
রক্ষণশীল এক ক্ষণিকা আমায় মনে করেছে, হাঁটতে চাইছে - কিছুটা পথ আমারই সাথে।
জীবনে একের পর এক প্রাপ্তি - অনুভূতির সংমিশ্রণ; উন্মাদনার খেলায় মত্ত।
নিশ্চিত নই আমি – মৃত্যু পর্যন্ত সৌভাগ্যের পর্যায়ক্রমিক পাওনাটুকু একেবারেই নিঃশেষিত হয়ে যাচ্ছে কিনা।
কেননা, অবাক হওয়ার রেশটুকু ম্রিয়মাণ হওয়ার আগেই ঝড়ো বাতাসের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আমায় জানান দিলো, বৃষ্টিতে ভিজবে আমায় নিয়ে।
তার অন্যান্য আব্দারের মতো এই আব্দারটুকু এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল আমার সাধ্যের বাইরে। আর তাইতো প্রতিকূল বৃষ্টির আক্রমণকে তুচ্ছ জ্ঞান করে এগিয়ে যাচ্ছি অগ্রসরমান পথের দিকে । যদিও শরীরের প্রতিটি লোমকূপ তীব্র বিরোধীতা জানান দিচ্ছিল। কেননা, এটা কবি সাহিত্যিকদের সেই রিমিঝিমি বৃষ্টি নয়। এই বৃষ্টিতে প্রকৃতির সমস্ত পশু-পাখি’তো ছাড় মানুষজন পর্যন্ত ছুটছিল না বরং আশ্রয় নিচ্ছিল কোন আশ্রয়স্থানে।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে আমরা হাঁটছি এই তীব্র ঘূর্ণিবৃষ্টির মধ্য দিয়ে; যা শুধু প্রকৃতিতেই নয়, আঘাত হানছে আমার অভ্যন্তরেও।
সময় অতিক্রান্তের কিছু কথা বোধহয় আরও আপন হয়ে উঠছিল..........।
সময়ের খরস্রোতে হটাৎ করেই ইট-সিমেন্টের অট্টালিকাটি জানান দিচ্ছিল বিদায়ীর ঘণ্টার কথা....................
রাস্তার পাশের গরম ধোঁয়া উঠা অর্ধকাপ চা জমে যাওয়া শরীরের ভেতরে গিয়ে জানান দিলো – তুমি নেই তাতে কি.........অনুভূতি ছিল..........পাশে ছিলে...........হোক না তা আমার জীবনের এক টুকরো স্বপ্ন।