আমার প্রভাতি বেলায়
ঘুম থেকে কখনো উঠা হতো না,
যে কারণে দেখা হতো না
পূবের সূর্যটা কেমন করে উঠে।
শোনা হতো না
পাখির কিচির-মিচির মিষ্টি আলাপণ।
অনুভবে পেতাম না
শীতল সমীরণের ছুঁয়ে যাওয়া শিহরণ।
আমি মেনেই নিয়েছিলাম
বিধাতার দিনে ঢেলে দেয়া আলো
আমার জন্য নয়।
কেন? অভিশপ্ত কি আমি!
নালিশের ঘরে জমা পড়েছে
আমার চোখ জোড়ার জ্বালাতনের কাব্য।
চুঁইয়ে চুঁইয়ে চিবুক বেয়ে পড়া
পানির প্রসবণ
দিবসে উড়ে বেড়ানো অপ্সরীদের
আরতির দীপনাকি নিভিয়ে দেয়!
নালিশ উঠেছে
কুঁকড়ে উঠা বুকের আর্তনাদের শব্দ,
শুনতে থাকা রবিঠাকুরকে
সন্ধ্যায় প্রর্ত্যাবর্তনে কালক্ষেপণ করায়!
শাস্তি, নির্বাসিত আমি
নিশিথের তেপান্তরে।
অভিমানে জানতে চাওয়া হলো না
স্রষ্টার কাছে,
কোন ঝর্ণার কাছ থেকে
এনে দিয়েছিল আমায় আঁখিদুটি; তার গল্প।
কোন পাষাণের হৃদয়ে জমিয়ে রাখা কষ্ট
আমার উপরে দেয়া হয়েছে, তার ভার।
ঘুমন্ত নিথর প্রকৃতিতে,
ক্লান্ত রাখাল বাঁশিতে সুর তুলবে না,
পাখিগুলো এ'ডাল থেকে ও'ডালে
ঝাঁপ দেবে না,
বৃষ্টির ছোঁয়ায় রংধনুটা সাজবে না,
জোনাকির হেঁয়ালী আলোয়,
ঝিঁ-ঝিঁর আর্তনাদে কতদিন চলবে
অভিশপ্ত এই জীবন?
দৈবাৎ,
অমাবস্যা-জোসনা পালাক্রমের
দুনিয়ায় খেয়ালীময় একদিন;
নিশাচরের বেদুয়েন শুনতে পায়
কুয়াশায় পা ভিজিয়ে ভোর রাত্রিতে
তোমার এলানের বাণী
..................।।”