অবশেষে প্রথম আলোর ষড়যন্ত্রের শিকার হল অসহায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান। প্রথম আলোর প্রধান অস্ত্র হলুদ সাংবাদিকতা প্রয়োগ করে তারা ঘায়েল করল অসহায় নিষ্পাপ এক জন দরদীকে, যার জিবনের একমাত্র লক্ষ মানুষকে একটু থাকার যায়গা করে দেয়া। তাই তিনি প্রথম আলোর বিরুদ্ধে গেছিলেন থানার পুলিশের কাছে।
প্রথম আলো ও সমকাল-এর প্রকাশক, সম্পাদক এবং ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দায়ের করার জন্য গত মঙ্গলবার রাত ও গতকাল বুধবার দিনভর চেষ্টা চালায় বসুন্ধরা গ্রুপ।
প্রথম আলো শুধু তার মান সম্মান নষ্ট করেই ছাড়নি, আগুন দিয়েছে দেশের গরিব মানুষরে বাজার করার একমাত্র দোকান বসুন্ধরা শপিং কম্প্লক্সে।ে
এবার আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য যেই প্রিন্ট মিডিয়া সবচেয়ে বড় ভুমিকা রেখেছে সে আর কেউ নয়, প্রথম আলো। যদ্ধাপরাধের সঠিক প্রচার চালিয়ে আওয়ামী লীগকে তারা আগিয়ে দিয়েছে বহুগুন। তাই বলে কি আওয়ামী লীগ প্রথম আলোর চাটাম মারবে?? কখনো না। এটা তো আওয়ামীলীগ। তাই তো এবার স্বয়ং শফিক সাহেব মন্তী খেপেছেন প্রথম আলোর বিরুদ্ধে। তিনা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন প্রথম আলো মিথ্যা খবর ছাপিয়ে দিয়েছে বসুন্ধরা মালিকের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুয়ায়ী প্রথম আলৈার প্রতিষ্ঠাতা ভারতের স্বাধীনতা কামী সংগঠন উলফা। এই ব্যাপারে প্রথম আলো নিউজ কোড করা হল।
কিন্তু গত দুই দিন তারা বসুন্ধরা গ্রুপের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের নাম দিয়ে ‘দেশের বিচার বিভাগ, গণতন্ত্র, শিল্প-বাণিজ্য ধ্বংসের চক্রান্তে দৈনিক প্রথম আলো’ শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন আকারে সর্বৈব মিথ্যা তথ্য ছাপায়। ওই বিজ্ঞাপনে আগুন ধরানোর পাশাপাশি আরও অভিযোগ করা হয়, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সঙ্গে প্রথম আলোর মালিকের ব্যবসা রয়েছে। উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে ওই সংগঠনের টাকা আত্মসাত্ করেন তিনি। এর প্রতিশোধ নিতে উলফা তাঁর মেয়েকে হত্যা করে।
তাহলে ব্যাপারটা কি দাড়ায়? প্রথম আলো আসলে কার? হটাৎ আওয়ামীলীগ খেপল কেন প্রথম আলোর বিরুদ্ধে। এর আগে বিডি ফুডের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের পর এর মালিকের জেল হয়। পরে শোনা যায় ২ কোটি টাকার বিনিময়ে প্রথম আলোকে ঠান্ডা করেছে বিডি।
তাহলে প্রথম আলো কি আসলে একটা হলুদ সাংবাদিকতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ???
আজ রাষ্ট্রপতির সাবেক সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল এহতেশাম প্রথম আলোর হলুদ সাংবাদিকতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছে এই ধরনের সাংবাদিকতা বিভ্রান্তিমুলক এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
প্রথম আলোয় প্রকাশিত তার বক্তব্য
আমি মেজর জেনারেল মো. এহেতশাম উল হক, এনডিসি, পিএসসি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর যাবত অত্যন্ত সুনাম ও নিষ্ঠার সাথে এবং সুশৃঙ্খলভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরী করছি। গত ১১ অক্টোবর ২০০৯ তারিখের দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘জঙ্গির জবানবন্দিতে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের নাম’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এই ব্যাপারে প্রথম আলোর বক্তব্য
তবে ব্যাপারটা যাই হোক এই বার যে ভাল একটা খেলা জমবে তা নিশ্চিত। এ্ক দিকে প্রচন্ড পাওয়ারফুল হলুদ সাংবাদিকতার দৃষ্টানত প্রথম আলো আর আর একদিকে টাকা ওয়ালা বসুন্ধরা, সরকারের পাওয়ারফুল মন্ত্রী শফিক আহমেদ আর জেনারেল এহতেশাম। এখন দেখা যাক সত্য কি ঘটে।