বিশ্বে আলোরন সৃষ্টি করে দিয়েছে আমেরিকা, তারা এবার নতুন চমক দেখিয়ে দিল বিশ্বকে। বরফ গলা!!! সেটা আবার কি? বরফ গলা নিয়ে ভাবার দিন শেষ। বাংলাদেশের দক্ষি্নাঞ্চলে যারা আছেন তাদের আর কোন ভয় নেই!!
এ সম্পর্কে বারাক ওবামা বলেন যে, এটা আমাদের শত বছর গবেষনার ফসল।
এই আবিস্কার নিয়ে অনেক বিজ্ঞানী কাজ করেছেন এবং তারা কেউ-কেউ নিজেদের প্রানও বিসর্জন দিয়েছেন।
এই গবেষনাদলের বর্তমান প্রধান কে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সম্বন্ধে জিজ্ঞেসা করলে জানাজায় যে, তারা পানিকে অতি সহজেই বরফে রুপান্ত্রিত করতে পারেন। এই কাজের জন্য তারা কিছু মার্কিন বিমান ব্যবহার করেন। তিনি পানিকে বরফে পরিনত করার বিক্রিয়াটা এই ভাবে বুঝান......
Water+ fused sulfur+ TNT+ phosphorus = ice ( this is an endothermic reaction for which water becomes cooler even ice)
সেজন্য তারা প্লেন থেকে সাগরের পানিত, উপত্যকার জলাশয়ে তাদের রিয়েজেন্টস গুলো ফেলছেন। আবার কৃত্তিম তুষারপাতের জন্য বাতাসেও ওই কেমিকেলসগুলো স্প্রে করছেন বিমানের মাধ্যমে।
এভাবে এক বছর কাজ করলে নাকি মানুষের গড় আয়ু ১০ বছর বেড়ে যাবে। আর পৃথিবীর তাপমাত্রাও নাকি কমে যাবে প্রায় ৫ ডিগ্রি।
উপরের কথাগুলো যে মিথ্যা তা হয়ত অনেকেই পড়ার সময়ই বুঝেগেছেন।
পৃথিবীর ১২টা বাজিয়ে আজকাল আমেরিকার মত উন্নত দেশগুলো আমাদের গ্লোবাল ওয়ার্মিং শিখাচ্ছে............ How funny. আজ আমাদের নতুন প্রজন্ম ষড়ঋতু কি তা বুঝে না। " বাবা এখন কি কাল?" কেন শীতকাল। "তুমিনা বলেছ শীত কালে বৃষ্টি হয় না, এই যে বৃষ্টি হচ্ছে"।
ষড়ঋতু থাকলেও এখন আমরা তা বুঝি না। গরম লাগ্লে গৃষ্ম, বৃষ্টি হলে বরষা, আর শীত লাগলে শীত কাল এই যা......... আবার প্রকৃতি কখনো কখনো কোন নিয়ম মানে না।
তাদের এই পাপের বোঝা আজ আমরা ও আমাদের নতুন প্রজন্ম বয়ে চলছি। ইরাক, পাকিস্থান, আফগানিস্থান, লেবানন এর নিষ্পাপ শিশুদের যখন হাস্পাতালে কাতরে পরে থাকতে দেখি তখন অস্র ধরতে ইচ্ছে করে, নিজের অশ্রু সংযত রাখতে পারিনা। আর আমরা যারা সেই যুদ্ধবিদ্ধস্থ দেশগুলোর বাসিন্দা নই তারাও কি ছাড় পাচ্ছি? পৃথিবী আজ দুষিত, সাগরের পানিতে বিষাক্ত দ্রব্যাদি, বরফ গলে সমুদ্রের পানির উচ্ছতা বাড়াচ্ছে, কার্বন মনোক্সাইড এবং CFC গ্যাসের কারনে ওজন মন্ডল ফুটো হয়ে গেছে ফলে পৃথিবীতে ঢোকছে তেজষ্কৃয় অতিবেগু্নী রশ্মি।
হাহা............... ওরা নাকি আবার G8 সম্মেলনও করে, আর সেখানে দুর্ভিক্ষ প্রবণ দেশ গুলোর প্রতি্নিধিরা কান্না করে। সেই কান্নার শব্দ তাদের কানে পৌছলেও হৃদয়ে গিয়ে পৌছে না। জলবায়ু দূষন মুক্তকরন চুক্তিতে সাক্ষর না করে ভারত যথার্থই বলেছিল " আপনারা যেভাবে এতদিন দূষনের মাধ্যমে উন্নতি করেছেন, আমরাও করে নেই তারপর ভাবব"।
আমেরিকার নতুন উদ্ভাবন; গ্লোবাল ওয়ার্মিং রোধ এবং বরফ ও আর গলবে না।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
স্মৃতিপুড়া ঘরে
বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।
দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
গরমান্ত দুপুরের আলাপ
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজীব নূর কোথায়?
আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।
হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।
ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন