somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গ্রেফতারের কিছু আগে তৈরি করা গোলাম আযমের বক্তব্য আর আমার কিছু কথা।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গ্রেফতারের দিন আগেই তৈরি করা গোলাম আজমের একটি পত্র বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সংবাদসংস্থার অফিসে প্রেস বিজ্ঞপ্তির আকারে একযোগে পাঠানো হয়।
এর আগে বিভিন্ন টিভি সাখ্যাতকারে নয়াদিগন্ত ও জামাতের দৈনিক সংগ্রামে তার ইন্টারভিউ প্রকাশিত হয়েছিল। এগুলোর মুল বক্তব্য প্রায় একই।

আল-বদর, আশ-শামস এর অস্তিত্ত শ্বীকার করলেন।

তিনি বলেন –

“উল্লেখ্য, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালের সামরিক সরকার সরকারি আদেশের মাধ্যমে জনগণ থেকে রাজাকার, আল-বদর, আশ-শামস নামে বিভিন্ন বাহিনী গঠন করে। এসব বাহিনীকেও শেখ সাহেব এর সরকার ‘কলাবরেটর' আখ্যা দেন”।
ওনার দল জামাতে ইসলামি, ছাত্রশাখা ইসলামি ছাত্রসংঘ পাকিসেনা সহায়তায় আলবদর বাহিনী গঠিত হয়েছিল এতে কোন সন্দেহ নাই। সেই সময়কার পত্রপত্রিকা এবং তাদের দলিয় পত্রিকা দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশীত খবরগুলো এই অভিযোগ সমর্থন করে।


উনি অবলিলায় অসম্পুর্ন ও ভুল তথ্য দিলেন।

তিনি বলেন –
১৯৭৩ সালের নবেম্বরে সরকার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার পর গ্রেফতারকৃত ও সাজাপ্রাপ্ত সকলেই মুক্তি পায়।

এটি সম্পুর্ন ভুল তথ্য।
সাজাপ্রাপ্তরা কেউ অব্যহতি বা মুক্তি পাননি, মামলা চলমান ছিল, পলাতকদের গ্রেফতারি পরয়ানা জারি ছিল। সুধু দালালি আইনে নন ভায়োলেন্ট অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অব্যহতি পায়।
যাদের বিরুদ্ধে কোলাবরেশন উইথ ভায়োলেন্স (হত্যা-ধর্ষন-লুন্ঠন)অভিযোগ ছিল তারা কেউই মুক্তি বা অব্যহতি পাননি। কিছু মামলার চার্জশিট দেয়া প্রকৃয়াধিন ছিল। অতচ উনি বললেন "মামলা দায়ের হয় নাই" ??
উনি বলতে পারতেন "চার্জশিট দেয়াহয় নাই"

গোলাম আজম বলেন -
"১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে ঢাকায় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী যে হত্যাকান্ড চালায় তা থেকে বুঝা গেল যে, ইয়াহিয়া-মুজিব সংলাপ ব্যর্থ হয়ে গেছে। পরে জানা গেল যে, '৭০-এ নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।"

এত সহজে সব বলে ফেললেন ?

২৫স শে মার্চ পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কি সুধু আওয়ামী লীগের উপর হামলা করেছিল না সমগ্র জাতীর উপর ?
তাহলে রাজারবাগ পুলিশ লাইন, বেঙ্গল রেজিমেন্ট দফতর, বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা কালিমন্দির, পিলখানা EPR দফতর, এদের উপর কোন সতর্কতা ছাড়াই কামান দেগে হামলা করা হল কেন? তারা তো হামলার আগে বিদ্রহ করেছে বলে শোনা যায় নি। আত্নসমর্পনের সুযোগ দিলনা কেন ? বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ঘেরাও করে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে নিরস্ত্র ছাত্রদের মেরে ফেললো। আর উনি বলছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো নাকি ১৬ই ডিসেম্বরের পর ভারতীয় বাহিনী লুন্ঠন করেছে.!!

ভারত যুযুর অযুহাতে সেই জল্লাদদের সাথে হাতমেলাতে কি একটুও বাধলনা?

পত্রীকা ও ATN News এর সাথে সাক্ষাতকারে পাকসেনাদের সহায়তায় কিছু বাঙ্গালি বিপদগ্রস্থ দের সাহায্যের কাহিনী বর্ননা করছেলেন। এতে তার তৎকালিন অবরুদ্ধ দেশটিতে কি পরিমান ক্ষমতাধর ছিলেন বুঝতে অসুবিধা কোন হওয়ার কথা না। দখলদার সামরিক বাহিনীর সাথে তার দহরম-মহরম দেখে বোঝাই যায় যে গনহত্যায় নেতৃত্বদানে শুনির্দিষ্ট ভাবে জরিত থাকা সম্ভব ছিল।
তিনি স্পষ্ট শ্বীকার করেছেন টিক্কা খান ও জেঃ রাও ফরমান আলির সাথে তার ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল। তার হটলাইন ফোন নম্বর সব সময় তার কাছে থাকতো (দুর্গত-বিপদগ্রস্থ দের সাহায্যের জন্য.!!)
তার বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে তিনি যেকোন সময় ক্যান্টনমেন্টে ঢুকে তাদের বাসভবনে যেতে পারতেন। জেনারেল দের সাথে আলোচনা করতে পারতেন।

উনি হয়ত সত্যই কিছু দুর্গত-বিপদগ্রস্থদের বাঁচিয়েছিলেন জেঃ রাও ফরমান আলির সাহায্যে,
এটা সত্য হতে পারে।
আর এটাও সত্য উনি যাদেরকে ওনার ভাষায় "পাকিস্তানের দুশমন" বা "ভারত সমর্থক দুস্কৃতিকারী" ভাবতেন তাদের কে ঠিকই পাকি দখলদারদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তালিকা তৈরি করে বাসা চিনিয়ে দিয়েছিলেন।
যে হত্যা তালিকার অস্তিত্ব পরে পাকিস্তানী বিচারবিভাগীয় তদন্ত “হামিদুর রহমান কমিশন” রিপোর্টে বের হয়ে আসে। মার্কিন দুতাবাসের গোয়েন্দা রিপোর্টে সমর্থিত হয়।

আল-বদর, আশ-শামস এর অস্তিত্ত শ্বীকার করে তিনি বলেন
"পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালের সামরিক সরকার সরকারি আদেশের মাধ্যমে জনগণ থেকে রাজাকার, আল-বদর, আশ-শামস নামে বিভিন্ন বাহিনী গঠন করে। এসব বাহিনীকেও শেখ সাহেব এর সরকার ‘কলাবরেটর' আখ্যা দেন" ।
অভিযোগ পাওয়া যায় যে উনি এবং ওনার দল জামাতে ইসলামি এবং ছাত্রশাখা ইসলামি ছাত্রসংঘ পাকিসেনা সহায়তায় আলবদর বাহিনী গঠিত হয়েছিল।
এতে কোন সন্দেহ নাই। কারন সেই সময়কার পত্রপত্রিকা এবং তাদের দলিয় পত্রিকা দৈনিক সংগ্রামে খবরগুলো প্রকাশীত হয়েছিল।

স্পেশাল ট্রাইবুনাল এর তদন্ত কর্মকর্তাগন,
তার সম্প্রতি ভিডিও ও লিখিত বক্তব্যগুলোর দিকে একটু নজর দিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৯
১৪টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:০৬

অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×