ঢাকার রাস্তায় গভীর রাতে রামপুরার কাছে পুলিশের চৌকিতে তল্লাশির নামে এক নারী হেনস্তার শিকার হয়েছেন।
এই নারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটি যিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন, ফেসবুকে তাঁর পরিচয় রাকিব রাজ। পরনে ঢাকা মহানগর পুলিশের পোশাক, ব্যাজে নাম দেখা যায় মিজানুর। প্রফাইলে তিনি নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের একজন বড় কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়েছেন।
রাকিব রাজ ফেসবুকে তাঁর পোস্টে ওই নারী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য লিখে বলেন, ‘আজ রাত ২টায় এই মেয়েটাকে চেকপোস্টে পুলিশ চেক করতে চাইলে সে পুলিশের সঙ্গে এইরকম ব্যবহার করেন। সবাই প্লিজ শেয়ার করবেন।’
আমিন আমিন আর ওয়াজ প্রভাবিত পুলিশ সদস্যটি ভেবেছে সে বিশাল কাজ করে ফেলেছে। প্রশংসা পাবার আশায় নিজেই ভিডিও পোস্ট করেছে অনলাইনে। পাবে হাজার হাজার লাইক!
তারমানে নারীর প্রতি সম্মান বিষয়ে নিজের দায়িত্বের ব্যাপারে এই পুলিশদের ধারণা কত অস্পষ্ট!
একা মেয়েটিকে সাহায্যের বদলে হ্যারাস করলো!
গ্রাম গঞ্জে ওয়াজের প্রভাব ... বোঝাই যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমিন আমিন সুভানআল্লা বলা পার্টির অভাব নেই, কিছু কাল্পনিক ধর্মিয় বিষয় বা হেজাবী শিশুর ছবি পোষ্ট করলেই হল আমিন আমিন শুরু হয়ে গেল। নামাজ নাই কালাম নাই নেকি কামানোর সর্টকাট পদ্ধতি। 17K পর্যন্ত লাইক দেখা যায়
যাক, তিনজন সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে। শাস্তি হবেই.. কঠিন শাস্তি দরকার।
আর সর্বত্র যে রিএকশান হয়েছে -
এখন মানুষ বা পুলিশ হ্যারাস করার সময় ৭০ বার ভাববে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬