somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেনা কমান্ডোরা প্রফেশনাল ভাবে যথার্থ কাজটাই করেছেন

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সেনা কমান্ডোরা প্রফেশনাল ভাবে যথার্থ কাজটাই করেছেন।

সব বিমানযাত্রীরাই নেমে এসে বলছে পিস্তল থেকে ৩ রাউন্ড গুলি করা হইছে।
ফোর্স কমান্ড থেকেও প্রথম বক্তব্যে নিহত ব্যাক্তির সাথে পিস্তলের কথা বলা হয়েছে। কোন খেলনা ফেলনার কথা বলা হয় নি।
সে আগে থেকেই একটি পিস্তলের অধিকারি ছিল, তার ফেবু পেজে ছবিতে দেখা যায়।
সে খুবই ডেস্প্যারেট উন্মত্ত ছিল, সুযোগ পেলেই বিমানটি বিধ্বস্ত করে বড়সড় স্টোরি তৈরি করতো, দুজন পাইলট খতম করলেই তো একসময় বিমানটি পড়ে গিয়ে বিধ্বস্ত হত।

এখন কতৃপক্ষ গা বাচাতে খেলনা পিস্তলের কথা বলছে।
নিজেদের নিরাপত্তা গাফলতি ঢাকতে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা স্কোর নেমে যাওয়া ঠেকাতেই খেলনা পিস্তলের কথা বলছে।

এতো নিরাপত্তার ভিতরে থেকে কি করে একটি পিস্তল নিয়ে কিভাবে বিমানে ওঠে?

সে ডমেস্টিক টার্মিনাল ব্যাবহার করে বিমানে উঠে। ডমেস্টিক টার্মিনাল আলাদা একটি বিল্ডিঙ্গে, বোর্ডিং ব্রীজ নেই। আন্তর্জাতিক বিমানে উঠতে বাসে করে এসে সিড়ি দিয়ে উঠে। সেখানে যাত্রীদের নিরাপত্তা তল্লাসি ইন্টারন্যাশানাল টার্মিনাল থেকে অনেক কম, শুধু নাম মাত্র তল্লাসি আর একটা একটা আর্চওয়ে পার হওয়া। সন্দেহ না হলে দেহতল্লাসি নেই।




হাইজ্যাকারের ব্যক্তিত্ব ও মেধাকে খাটো করে দেখা ঠিক হবে না।
সে সামান্য দরিদ্র টোকাইয়ের পর্যায়ের একজন হয়ে প্রতারনা করে ব্রীটিশ এয়ারওয়েজের ভুয়া আইটি স্পেসিয়ালিষ্ট সেজেছে। শুধু চাপাবাজি করে শোবিজের উচ্চপর্যায়ের হর্তাকর্তা, এমনকি প্রযোজক পর্যন্ত বনে গেছিল, সবাইকে বোকা বানিয়ে একজন টপ তারকাকে বিয়েও করে ভিআইপি লাইফ লিড করছিল। সামান্য শিক্ষিত টোকাই হয়ে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার প্রতারনা কেউ ধরতে পারেনি।
তাহলে সে একটা ডমেষ্টিক আর্চওয়ের দুএকটা লোককে বোকা বানিয়ে নিরাপত্তা পার হতে পারবে না কেন?

সি সি টিভিতে যা দেখা যায়
বিমানবন্দরে ঢোকার আগে ৪২ মিনিট ছিনতাই চেষ্টাকারী পলাশ বাইরে পায়চারি করেছেন। আর বিমানে ওঠার আগে প্রায় ২০ মিনিট বাথরুমে ছিলেন। তবে অন্যদের মতই তিনি আর্চওয়ে পার হয়েছেন, ব্যাগও স্ক্যানিং মেশিনে দিয়েছেন, আর তার দেহেও তল্লাসি চালিয়েছে নামকাওয়াস্তে একজন আনসার, ১ সেকেন্ডে তল্লাসি শেষ। (যেখানে ইন্টারন্যাশানাল টার্মিনালে জুতা বেন্ট ঘড়ি চশমা খুলে ভালভাবে তল্লাসি হয়। পৃথক স্ক্যান হয়)

তাকে মেরে ফেলা হল কেন?

প্রায় প্রতিটি প্রতক্ষ্যদর্শি যাত্রী বলেছে বুকে বোমার মত কিছু বাঁধা, হাতে পিস্তল। তিনরাউন্ড গুলিও হয়েছে।
প্রতিটি মিডিয়াতে বিরামহীন ভাবে তাদের কথা প্রচারিত হয়েছে।
অস্ত্র/বোমা ধারি বা অস্ত্র না থাকুক একজন বেপরোয়া হাইজ্যাকারকে একসেকেন্ডও সময় দেয়া হয়না পৃথিবীর কোথাও। আমেরিকা তো দুরথেকে স্নাইপার দিয়ে মারে। আর বোমা আছে ধরে নিয়েই অপারেশন চালানো হয়। বোমা ফুটলে কমান্ডোরাও আহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, আর মাত্র কিছুদিন আগে কেনা বিমানটিকে তো বাচাতে হবে।
সামান্য ভুল হলে প্রাণহানি বা সম্পদ ধ্বংশ হওয়ার সম্ভাবনা। খেলনা সন্দেহ হলেও, ঝুকি নেয়ার প্রশ্নই আসে না।
এরপরও তাকে অস্ত্র ফেলে আত্নসমর্পন আদেশ দেয়া হয়েছিল, অগ্রাহ্য করাতে পেশাদার কমান্ডোরা বিনা দ্বিধায় তাকে হত্যা করেছে।

আর যারা বলছে এর সবটাই সাজানো ঘটনা এরা একটি পক্ষের চিহ্নিত ছাগল।

এরা আলকায়দার টুইন টাওয়ার ধ্বংশ সাজানো বলে।
এরা এবোটাবাদে লাদেনকে হাইজ্যাকও সাজানো বলতো।
লাদেনকেও সাজানো বলতো, পরে লাদেন নিহত কনফার্ম হলে প্রতিশোধ নেয়া হবে বলে। কি স্ববিরোধীতা!
মেশিন সায়েদী চন্দ্রগমন বিশ্বাস করে, কিন্তু
নাসার চন্দ্রাভিজানকে সাজানো নাটক বলে, আবার নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে গিয়ে মোসলমান হয়ে গেছে বিশ্বাস করে।
স্ববিরোধীতা হচ্ছে তারও খেয়াল নেই। ছাগলের দল!


আপডেট ২৮-ফেব্রুয়ারী ২০১৯

শেষপর্যন্ত আমার অনুমানই সত্য হল।
পিস্তলটি জেনুইনই ছিল।
ক্রুদের সাথে বাদানুবাদের সময় ভয় দেখাতে গুলি করেছিল ওয়াসরুমের দরজায়।
সে খুবই ডেস্প্যারেট উন্মত্ত ছিল, সে বার বার ল্যান্ড করতে বাধা দিচ্ছিল। সুযোগ পেলেই বিমানটি বিধ্বস্ত করত, ককপিটের দরজা না খোলাতে পারে নি।
ককপিটের কাছে বিজনেস ক্লাসের এক যাত্রী যা বললেন - মানবজমিন পত্রিকায়
মানবজমিন



এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া। তিনি জানান, মামলার তদন্তভার পেয়েই শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। এ সময় ছিনতাকাইকারীর কবলে পড়া বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিজি-১৪৭ বিমানটির ভেতরে ঘুরে ঘুরে আলামত সংগ্রহ করা হয়। তিনি বলেন, রোববারের ঘটনায় বিমানের ভেতরে গুলির চিহ্ন দেখা যায়। গুলিতে বিমানের বাথরুম এবং বিমানের বাম পাশের দেয়ালে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া আরো কিছু তথ্য রয়েছে যা তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজেশ বলেন, সরকারি স্বার্থ জড়িত থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটি জব্দ করে তা মেরামতের জন্য সিভিল এভিয়েশনের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-আলমের জিম্মায় দেয়া হয়। র‌্যাব ও প্যারা কমান্ডোর কাছে যেসব আলামত রয়ে গেছে, সেগুলো হেফাজতে আনার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে রাতেই তারা ছিনতাইকারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা খেলনা পিস্তলটি পতেঙ্গা থানায় জমা দেন। সেখান থেকে ওই পিস্তলটিও জব্দ করা হয়েছে। বাকি তথ্য হেফাজতে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান রাজেশ বড়ুয়া। উড়োজাহাজটির ভেতরে গুলির চিহ্ন থাকার তথ্য নিশ্চিত করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট) গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) খন্দকার সাজ্জাদুর রহিম বলেন, উড়োজাহাজটির প্রাথমিক একটি অ্যাসেসমেন্ট করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ অ্যাসেসমেন্ট করে ক্ষয়ক্ষতি নিশ্চিত হওয়া যাবে। বিমানটির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িং-এর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় মেরামত শেষে ফের অপারেশনে যাবে বিমানটি।

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ২:০০
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×