হাটহাজারি চলছে গাড়ী। ওয়েলকাম টু হাটহাজারি!
যে হারে ভাঙচুর চালাইছে দেখলাম তাতেতো কিছুই আস্ত থাকার কথা না।
লাইট ফ্যান, দরজা জানালা, পুস্তকের র্যাক সব চুরমার, সিলিং ফ্যান চুরমার না করতে পেরে ফ্যান ব্লেড বাঁকা করে দিচ্ছে। জিহাদি জোশের সামনে কোরান হাদিসও তুচ্ছ। সেই ৫ই'মে ১৩ শাপলা চত্বরে হাজার হাজার লাশের খোঁজ না পাওয়া গেলেও শতশত পোড়া আধাপোড়া পবিত্র কোরআন পাওয়া গিয়েছিল।
সরকার জমি দেয়, ভাতা দেয়, টাকা দেয়, বড় বড় সেনা কর্তা, আমলা, ব্যাবসায়ীরা অবৈধ আয় হালাল করতে প্রতি বছরে ডোনেশন দেয়, নিউইয়র্ক টরন্টো লন্ডনের মসজিদে প্রতি শুক্রবার কথিত রহিঙ্গাদের মসজিদ করার নামে যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার উত্তোলন করা, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলো থেকে প্রতি বছর আসে মোটা মোটা অনুদান। সবমিলে টাকার পাহাড়!
যেখানে দখল, ও ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মারামারি হয় সেখানে সততা নাই, ট্রান্সপারেন্সি নাই, সেখানে ইসলাম নেই।
আছে দুর্নীতি আর মেরে খাওয়া। যারা সরকারি উৎকোচে বশিভুত হয় তাদের আবার আদর্শ কি? ইসলাম কি?
প্রথম দেখায় মনে হতে পারে ইহা হাটহাজারি মাদ্রাসার আভ্যন্তরিণ ব্যাপার, কিন্তু ব্যাপারটি আরো গভীরে।
যেখানে জাশি প্রবেশ করে, বন্ধুত্ত করতে নয়, দখল করতেই যায়।
সেখানেই অবস্থা বুঝে দখল পোক্ত করতে অর্থ খরচ করে। ভেতরের লোকজনদের ছাত্রদের হাত করে,
এরপর জিরো আওয়ারে সর্বাত্নক হামলার অপেক্ষা। দু বছর আগে তবলিগিদের বিশ্বএস্তেমার মূলনেতৃত্ব এভাবেই হটাতে সক্ষম হয়েছিল।
শত শত মাইল দূরে থেকে হঠাৎ শিবির চক্রের মুখপত্র নুরারা যখন সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে মানা করে হুমকি দেয়, তখন বুঝতে হবে এর মূল কলকাঠি হাটহাজারি থেকে অনেক দূরে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৩৪