ডুজারিক হছে ইউএন সেক্রেটারি জেনারেলের স্পোক্সপার্সন
একটি হলে সারা দিনে জাতিসংঘের কাজকর্মের ফিরিস্তি দেয়াহয়, স্পোক্সপার্সন লিখিত বক্তিব্য দেন। সংক্ষিপ্ত বিবরনি শেষে কেউ থাকলে প্রশ্ন করলে জবাব দেয়া হয়। কোন বড় ইশু না হলে হল ফাঁকাই থাকে।
প্রেস ব্রিফিং পরবর্তি হয় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নউত্তর পর্ব।
এক ছাগু সাংবাদিক, জনৈক মুশফিকুল আনসারী ছিল খালেদার এক প্রেস সেক্রেটারির ব্রিফকেস বহনকারি। সে কোনমতে নিউইয়র্কে ঢুকে বাংলাদেশের একটি নাম সর্বস্ব 'যাষ্ট নিউজ' নামক অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক কার্ড যোগার করেছে, সেই পত্রিকার কথিত জাতিসংঘ প্রতিনিধী বনে গেছে।
তার প্রধান কাজ হচ্ছে নিউইয়র্কের জাতিসংঘের হেডকোয়াটারের বারান্দায় হাটাহাটি করা। প্রেস ব্রিফিং পর্বে বসে।
সে প্রেস ব্রিফিং শেষে প্রশ্নউত্তর পর্বে বিষয়বহির্ভুত প্রশ্ন অযাচিত ভাবে বাংলাদেশ নিয়ে আজেবাজে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা। এর আগে যুদ্ধাপরিধী ফাসি নিয়ে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করেছিল, কিন্তু লাভ হয় নি।
মাঝে মাঝে বাধ্য হয়ে ডুজারিককে কিছু একটা বলতে হয়।
কৌশলে জিজ্ঞেস করেছিল ফোনকল ট্যাপ করে গোয়েন্দা নজরদারি যন্ত্রপাতি জাতিসংঘ বাহিনীর লাগে কিনা? ওদের এসব লাগবে কেন?
জবাবে সে যা বলার বলেছে। বলেছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের বাংলাদেশ বা কোন দেশের শান্তিরক্ষী সৈন্যদল সেরকম কোন সরঞ্জাম ব্যাবহার করে না। এসব অনিয়ম, শান্তিরক্ষী সৈন্যদল ঐদেশের আইন মেনে চলে, জাতিসংঘের আইনও মেনে চলে।
অতচ জাজিরা এই প্রশ্নউত্তর পর্বের এই খন্ডিত অংশ জোড়াতালি দিয়ে বিশাল এক ফিরিস্তি দিয়েছে। বাংলাদেশেকে নাকি জাতিসংঘ কৈফিয়ত তলব করেছে?
বাস্তবতা হচ্ছে এসব নজরদারি যন্ত্রপাতি ব্যাক্তি অধিকার বিরোধী, মানবধিকার বিরোধী, সেটা সত্য। এসব সারা বিশ্বেই বেআইনি নিষিদ্ধ। এসব বিক্রির জন্য রেডি থাকে না, ক্রেতার অর্ডার অনুযায়ী সে দেশের টেলিকম সিস্টেম অনুযায়ী কাষ্টমবিল্ট করে তৈরি করা হয়। যারা কিনে আন্তর্জাতিক কালোবাজার থেকেই অর্ডার মারফত কিনে।
সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশের অধিকার আছে সর্বচ্চ ব্যাবস্থা নেয়ার, এরজন্য যত উন্নত সব যন্ত্রপাতি কেনার, যত দাম হোক সবচেয়ে ভালটা, সেটা যে দেশেই তৈরি হোক, যে দেশই এভেলেবল হোক। সেটাই কিনবে।
আইএসপিআর এর উচিত হয় নি এত দ্রুত রিএক্ট করা, বিবৃতি দেয়া। কিছুই বলা দরকার ছিল না।
আলজাজিরা বরাবরই একটা এজেন্ডাধারী এসোসিয়েশান। তাদের এই থার্ড ক্লাস রিপোর্টের মাধ্যমে তারা বলেছিল জাতিসংঘ নাকি বাংলাদেশকে তলব করেছে, আলজাজিরা রিপোর্ট দেখে কৈফিয়ত তলব করেছে।
জাতিসংঘ চালায় জাতিসংঘের সদস্য দেশ সমুহ। সদস্যদের চাদায়, বাংলাদেশও একটি সদস্য দেশ।
কোন দেশ কোন প্রস্তাব উত্থাপন করলে ভোটাভুটিতে সিদ্ধান্ত হয়। সেসবই দিনশেষে ব্রিফিং হয়।
জাতিসংঘের পেয়াদা বা কর্মচারিরা কোন রাষ্ট্রকে তদন্তের নির্দেশ বা এসব বলার বা কৈফিয়ত তলব করার এখতিয়ার রাখে না।
জাতিসংঘের নাম ভাংগিয়ে জাজিরা এখানেও মিথ্যাচার করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:২৯