ডয়েচেভেলে একটি জনগনের করের টাকায় চলা জার্মান সরকারি ভয়েস।
তাদের যত অনুষ্ঠান হোক মুল ফোকাস থাকে জার্মান স্বার্থ, কিন্তু এখানে ওরা একটি প্রতিক্রীয়াশীল চ্যানেলের প্রপাগান্ডা, অশুভ স্বার্থ প্রধান্য দিল!
ইন্টারভিউ নিচ্ছে বাংলাদেশের একজন সরকারি উপদেষ্টার।
সঞ্চালোকের প্রাথমিক ফোকাস থাকার কথা বাংলাদেশ-জার্মান সম্পর্ক।, তারপর ভিন্ন কিছু।
কিন্তু প্রশ্নকর্তার সকল প্রশ্ন একটি মৌলবাদি চ্যানেলের একটি ফরমায়েসি অনুষ্ঠানকে ঘিরে, কেন?
ডয়েচেভেলের নিজস্ব কি একটি প্রশ্নও ছিলনা? প্রশ্নের জবাব দেয়ার মধ্যে বার বার বাধা, কথার মাঝে হেড়ে গলায় বাধা, জবাব শুনতেও অনিহা। প্রশ্নকর্তার বার বার জাজিরা জাজিরা করা, ইহা কি জার্মান সরকারি ভয়েস? না ভিন্ন কিছু! ব্যাপারটা কি?
সিএনএন বা সিএনবিসি কখনো ফক্স টিভির কাহিনী নিয়ে সবটা ১০০% এয়ারটাইম নষ্ট করে? বার বার ফক্স ফক্স উচ্চারন করবে?
কখনো ভিন্ন চ্যানেলের নাম এতবার নেয় সিএনএন?
প্রশ্ন ধরন দেখলে মেজাজ খারাপ হয়। -
"মুক্ত গণমাধ্যমসহ যে গণতন্ত্র বাংলাদেশে রয়েছে বলে আপনি দাবি করেছেন, তা সত্যি হলে আলজাজিরার এই অনুষ্ঠান দেশটির পত্রিকা ও টিভিতে প্রচারিত হতো। কিন্তু সেটা হয়নি"।
আশ্চর্য! জাজিরার ফরমায়েশী ভিডিওটি বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলদের প্রচার করতেই হবে,
এত বড় কথা বলার অধিকার দিল কে সেবাসতিয়ান কে?
ইন্টারভিউ নিচ্ছে বাংলাদেশের একজন সরকারি উপদেষ্টার। ছাগলের মত প্রশ্ন করে আপনাকে তো টাকা দেয়া হয়ে সরকারি পক্ষে কথা বলতে।
রিজভি আহাম্মদের বলা উচিত ছিল আমি চাকরি করি প্রধানমন্ত্রির উপদেষ্টার, সরকারের পক্ষেই তো বলব।
কিন্তু তুই চাকরি করছ জার্মান সরকারের, গান গাছ জাজিরার, সব প্রশ্ন জাজিরার, কত ডলার ঘুষ খাইছোস?
এদের কথাবার্তা শুনে মনে হয় এই 'দুই ভাই' মনে হয় পৃথিবীর সবচে ভয়াবহ বিপদজনক আন্তর্জাতিক মাফিয়া ডন! ভয়ে সারা পৃথিবী কাপছে।
প্রথমে জাজিরা, এরপর ডয়েচেভেলেকে দিয়ে কিছু বলানো (বিবিসির কাছে মনেহয় টাকায় দরকষাকষিতে বনাবনি হয় নাই) এত কিছু বলানোর পরও যখন কেউ ক্ষেপে না। তাই সাধারণ মানুষের এসবে অনাগ্রহী দেখে তখন টাকার বস্তা হালাল করতে মরিয়া হয়ে এখন মূলধারার পৃন্টেড গণমাধ্যমকে বেছে নেওয়া হলো অপপ্রচারের হাতিয়ার হিসেবে।
সেবাস্তিয়ানের টেলি ইনটারভিউ বাংলা স্ক্রিপ্ট করে প্রথম আলো ধারাবাহিক ছাপা শুরু করলো।
দিনের পর দিন যা ইচ্ছে তা প্রথমআলোতে লিখে গেলেও সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীরা বলে - দেশে বলার লেখার স্বাধীনতা নেই "মানুষ কেবল যে অসন্তুষ্ট, তা নয়, অধিকাংশ মানুষই বিদ্যমান ব্যবস্থার বিপক্ষে, নতুন ব্যবস্থার পক্ষে"।
নতুন ব্যাবস্থাটা কি? খাম্বা-জাসি না আদার্স? অন্য কেউ হলে নামটা বলেন শুনি। (ওনার পকেটে মনে হয় পরিসংখান আছে)
এত কিছু লিখতে পারে, লিখে, এরপরও ফস করে বলে ফেলে "এদেশে বলার লেখার স্বাধীনতা নেই গণমাধ্যম স্বাধীন নয়"।
আর বিদেশ থেকে দু এক ব্যক্তি ভিডিও ছেড়ে নিরন্তর এমনভাবে কথাবার্তা বলছে যাতে মনে হয় এক্ষুনি সেনাবাহিনী নেমে যাবে। এত্তো সহজ?
মানুষজন আগে ইউটিউব— ফেসবুকের এসব কথাবার্তায় চমকিত হতো, এখন হাসে।
ওদের ক্লান্তিহীন উসকানি দেখে সাধারণ মানুষ হাসতে হাসতে ক্লান্ত। সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে এদের আলাপচারিতা দেখে গ্রামগঞ্জের চা দোকানে কেউ একটু জোরেই বলে ফেলে ‘ছাগল’।
কোন বড় বিরোধিতা ছাড়াই আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১২ বছর ক্ষমতায়।
এই সময়ে আওয়ামী লীগ কিছু স্মার্ট এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো গণমাধ্যম, (টিভি প্রিন্টেড) মাধ্যম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ না করা। আওয়ামী লীগ সরকার যত যাই করুক জনগণের ওপর আস্থা রেখেছে।
বেশিরভাগ জনগণ সব জানে এবং বোঝে।
ভাড়াটেদের দেশ-বিদেশের অপপ্রচারে ক্ষুব্ধ হয়ে দমন নীতি, নিষিদ্ধ করার নীতি গ্রহণ না করে বিচারের ভার সাধারণ নাগরিকের ওপর অর্পণ করেছে ডায়নামিক আওয়ামী সরকার। উসকানি দিয়ে দেশের মানুষকে যে বিভ্রান্ত করা যায় না এ উপলব্ধি হাসিনার আছে। দেশবাসিও এসব অপপ্রচারকে পাত্তা না দিয়ে কর্মমুখি হয়ে স্বস্তিদায়ক অবস্থানে আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫২