somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পেগাসাস নজরদারি

২৬ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ পেগাসাস কিনেছে কিনা কেউ জানেনা।

প্যারিস-ভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ফরবিডেন স্টোরিজ‘ ও মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের যৌথ অনুসন্ধানে পাওয়া
অনুসন্ধানে যেসব দেশে এই নজরদারি চালানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে তেমন ৫০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ নেই।
বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে ৫০ হাজারেরও বেশি মোবাইল ফোনে এনএসও‘র তৈরি পেগাসাস নামের সফটওয়ারটি ঢুকিয়ে নজরদারির নজির এই অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে তাতে বাংলাদেশের কোনো টেলিফোন নম্বর পাওয়া যায় নি। (সুত্র বিবিসি ২০ জুলাই ২০২১)

অনুসন্ধানের তালিকার ৫০ হাজার ফোন নম্বরের ১৫ হাজারই মেক্সিকোর।
মেক্সিকোতে খুব বেশী মাদক কারবারি। ছাড়াও আরো যেসব দেশে পেগাসাসের টার্গেট হয়েছেন তার মধ্যে রয়েছে : আফগানিস্তান, আযারবাইজান, বাহরাইন, ভুটান, চীন, কঙ্গো, হাঙ্গেরি, ভারত, পাকিস্তান, ইরান, কাজাকিস্তান, মালি, নেপাল, কাতার, সৌদি আরব, টোগো, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট এবং ব্রিটেন।
লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকা বলছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে টার্গেট করা হয়েছে ভারত থেকে। এটা কল্পিত সংবাদ কারন পাকিস্তানে গার্ডিয়ান, ফরবিডেন স্টোরিজ‘বা মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টির কেউ পাকিস্তানে যায় নি বা ফোনে ইমরানের সাথে কথা হয় নি।
ইমরানখানের মোবাইল ট্র্যাক যদি হয়ে থাকে সেটা করছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। নট ভারত।

সুইডেন প্রবাসী প্রবল বাংলাদেশ বিরোধী সাংবাদিক তাসনিম খলিল, যিনি অনেকদিন ধরে বাংলাদেশে গোয়েন্দা নজরদারি করেন, তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, তার জানা মতে পেগাসাসের ব্যবহার নিয়ে সর্ব-সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে বাংলাদেশে এটির সরাসরি ব্যবহারের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বিবিসির ফোনে নেত্র নিউজ ওয়েব পোর্টালের সম্পাদক বলেন, যে
১৭টি মিডিয়া এই অনুসন্ধানী প্রকল্পের সাথে জড়িত ছিল তাদের একটির সম্পাদক তাদেরকে জানিয়েছেন পেগাসাস ঢোকানো হয়েছে এমন কোনো বাংলাদেশী মোবাইল ফোনের সন্ধান তারা পাননি।
ঐ সম্পাদক নিশ্চিত করেছেন তালিকায় ০০-৮৮ দিয়ে কোন মোবাইল ফোন নম্বর নেই।“



উন্নত রাষ্ট্র সন্ত্রাস নৈরাজ্য জঙ্গিবাদ মাদক স্মগলার দমনে নিজস্ব উচ্চমানের যন্ত্রপাতি দিয়ে সর্বচ্চ উপায়ে নজরদারি করছে।
আধা উন্নত দেশরা তো এই উন্নত টেকনলজি হাতে পায় না, তাই কিছু দেশ চায়না বা ইসরাইলি গোয়েন্দা টেকনলজি কিনে ব্যাবহার করছে। মেক্সিকো, ব্রাজিল সৌদিআরব, মালয়েশিয়া, তুরষ্ক, ভারত, পাকিস্তান সহ ৫০টি দেশ করছে ২০১২ থেকে। কেউ কম করছে না। বাংলাদেশ তো মাত্র শুরু করার চেষ্টা করছে।
তবে এসব বহুমুখি নজরদারিতে ব্যক্তিস্বাধীনতা কিছুটা খর্ব হলেও কিছু উপকার হয়েছে।


বিমান ছিনতাই ১০০% বন্ধ হয়েছে।
ট্রেনে বাসে বোমা হামলা, নাশকতা বর্তমানে প্রায় বন্ধ।
বড়ধরনের গাড়ীবোমা হামলা (সিরিয়া ইরাক আফগান-পাকিস্তান) বাদে সব দেশে বন্ধ হয়েছে,

এখন জংলিরা কি আর করবে, অন্যের গাড়ী চুরি করে খালি গাড়ী নিয়ে রাস্তায় ফুটপাতে মানুষ চাপা দেয়।
বর্তমান উচ্চ টেকনলজিতে সেটাও বন্ধ হচ্ছে, ২০১০ মডেল পরবর্তি গাড়ীগুলো উচ্চপ্রযুক্তির। ডুব্লিকেট চাবি বানিয়ে বা ইগনিশানের তারজোড়া দিয়েও দিয়ে স্টার্ট করা যায় না, চাবি কেড়ে নিয়েও বেশীদুর যেতে পারে না, ৫ মিনিট পরই স্টপ।
আর জিপিএস ট্র্যাকার লাগালে তো যাকোন স্থান থেকেই গাড়ী বন্ধ বা গতিবিধি মনিটর করা যায়।

বাংলাদেশে মোবাইল ট্র্যাক করতে তেমন যন্ত্রপাতি লাগে না, কারন আইনশৃংক্ষলা বাহিনি চাহিবা মাত্র যে কোন নম্বরের কনভার্সেশন, লোকেশন টাইমলাইন ইত্যাদি মোবাইল সার্ভিস প্রভাইডাররা দিতে বাধ্য। যেভাবে মামুনুলরা ধরা খেয়েছিল।


সৌদিআরব, মালয়েশিয়া, তুরষ্ক, ভারত, পাকিস্তান সহ শতাধিক দেশ mass surveillance যন্ত্রপাতি কিনে ব্যবহার করে যাচ্ছে ২০১২ থেকে। বাংলাদেশ মাত্র শুরু করছে, বা করবে। আরো আগেই শুরু করা দরকার ছিল।

এক মামুনুল ধরা খাওয়াতে ব্যক্তিঅধিকার কিছুটা খর্ব হলেও দেশের নজিরবিহীন বিশাল উপকার হয়েছে।
বন্দুক কামান ছাড়াই দেশে মোল্লাদের নির্বিচার সর্বনাশা ধ্বংসাত্মক তান্ডব সম্পুর্ন বন্ধ হয়ে গেছে।
আর ইহজনমেও এই তষ্করগুলো মাথা তুলে দাড়াতে পারবেনা।
গুমের গুজব ছড়িয়ে দেশে তান্ডব চালানোর ক্ষেত্র তৈরির জন্য ত্বহা ও ফরহাদ মাঝহার বেশীদিন পুলিশের হাত থেকে লুকিয়ে থাকতে পারে নি। তবে এমনেষ্টি পর্যন্ত খবর হয়ে গেছিল।

জঙ্গিবাদ তালেবানবাদ, আলকায়দা, আইএস বোকোহারাম হিজুবুতি হরকতি হেফাজতি ও নব্য জেএমবি দমন করতে প্রতিটি রাষ্ট্রের অধিকার আছে সর্বচ্চ ব্যাবস্থা নেয়ার,
সবাই ব্যাবস্থা নিচ্ছে। বাংলাদেশকেও নেয়া উচিত। মানবধিকার মানুষের জন্য। খুনে জঙ্গিদের কোন মানবধিকার ব্যাক্তিগোপনিয়তা থাকার প্রয়োজন নেই, কারন ওরা মানুষ নয়, অমানুষ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৩
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×