লোকটিকে ধরে নিয়ে গুম করা হয় নি।
প্রথমআলো সহ পত্রিকাগুলো বলছিল বাসা থেকে ধরে মাইক্রবাসে নেয়ার পর নিখোজ।
লোকটাকে অবস্য ধরে এনে সাহে সাথেই বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কারন এক মানুষ ১ টিকা নিলেই জ্বরে কাহিল হয়, একবারে ৩টিকা নিলে মরেও যেতে পারে, তাই তাকে ধরে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরিবারসদস্যরা বলে কোথায় নিয়েছে জানি না , নিখোজ। পত্রিকাগুলো বলছিল মাইক্রোবাসে উঠিয়ে গুম করার সন্দেহ।
পরে কঠিন জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে টিকা ১টিই দেয়া হয়েছে।
এরপরও তার মুখের কথায় সন্তুষ্ট হয় নি, পর্যবেক্ষন টেবিলে শুইয়ে তার দুই হাতে টিকার ছিদ্র কয়টি ম্যাগনিফ্লায়িং গ্লাস দিয়ে তন্ন তন্ন করে চেক করা হয়েছে। দিয়ে ব্লাড টেষ্টে ও ইউরিনে টিকার নমুলা মাত্রা পরিক্ষাকরে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে টিকা একটি দেয়া হয়েছে।
এই আলোচিত সৌদিগামী যুবকের নাম ওমর ফারুক। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ। তিনি সোমবার সকালে ঢাকায় আসেন টিকা দিতে।
ওমর ফারুক টিভি ক্যামেরার সামনে বলেছিলেন,
"আমি যখন টিকা কেন্দ্রে ঢুকলাম তখন আমাকে একজন বলল ডান সাইডের কর্নারে যেতে। ওইখানে যখন টিকা দেওয়া শেষ হলো জিজ্ঞেস করলাম, কোথায় যাব? উনি বলল, সামনের দিকে। সামনে আসলাম, ওইখানেও একটা টিকা দিল। ওনাকে জিজ্ঞাস করলাম কোথায় যাব উনিও বলল সামনের দিকে যেতে। সামনে আসলাম আর কিছু জিজ্ঞেস করে নাই। আরেকটা টিকা দিয়ে দিছে। মোট তিনবার টিকা দিয়েছে। বাইরে এসে যখন বাকিদের জিজ্ঞেস করলাম আপনার কয়বার টিকা দিয়েছে, ওনারা বলল একবার টিকা দিয়েছে।"
এমনিতেও টিকাদান ব্যাবস্থ্যায় ১ জন ৩ টিকা নেয়া অসম্ভব।
গ্রামের টিকাদান কেন্দ্র হলে হলে না হয় কিছু বলা যেত, এটি দেশের সবচেয়ে বড় মেডিকেল প্রতিষ্ঠান খোদ বিএসএমএমইউ।
প্রথমেই টিকা কার্ডে সিগন্যাচার দিয়ে এক অংশ রেখে দেওয়া হয়।
তারপর টিকা দিয়ে টিকা কার্ডে তারিখ, টিকার নাম, কবে পরবর্তীতে টিকা কবে দেয়া হবে সেটাও লেখা হয়। একইসময়ে রেজিট্রি খাতায় বা কম্পিউটারে এন্ট্রি হয়, ২য় ডোজ টিকা দিবে সেটাও লেখা হয়।
ইচ্ছাকৃত ভাবে আবার টিকারুমে ঢুকলে কাগজেই ধরা পড়বে।
এরপর কাগজ বাদে কেউ টিকা পাওয়া অসম্ভব, পরপর ২বার ভুল করা টোটালি অসম্ভব।
এরপরও ভুল হতে পারে, হয়ত কাগজ বাদেই সবাই টিকা দিয়ে দিল, সেটাও অসম্ভব।
কারন টিকা দেয়া মাত্র টিকার ছিদ্রে একটি ছোট ব্যান্ডেজ টেপ লাগিয়ে দেয়া হয়।
এরপরেও এক হাত লুকিয়ে কাগজ বাদে কোন মতে আরেক হাতে নিতে পারলেও ৩য় বার দু হাতের টেপ লুকিয়ে কোন ভাবেই টিকা নেয়া সম্ভব না।
এরপরেও যদি টিকা দিতে হয় সেটা দিতে হবে নিতম্বে।
আগেও দেখা গেছে এ ধরনের দাড়ীওয়ালারা ইচ্ছাকৃত ভাবে মিথ্যা বলে থাকে। রাষ্ট্রব্যাবস্থাকে বিপাকে ফেলতে।
কদিন আগে আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান নামে একজন ইসলামী বক্তা ফরহাদ মাজহারের মত 'ব্যক্তগত কারনে' কিছুদিনের জন্য গা ঢাকা দেন। 'ব্যক্তিগত' কাজও হল, গুম এর কাজও হলো। রাষ্ট্রকেও একহাত নেয়া হল, দেশবাসিকেও বিপাকে ফেলা হল।
তোহাকে অনেকে না চিনলেও সবাই গুমের গুজব ছড়িয়ে দেন, তার অনুসারিরা মিডিয়া সোশাল মিডিয়াতে ছড়িয়া সারাদেশ তোলপার করে ফেলে ১০টা দিন। এমনিষ্টি, হিউমেনরাইটসওয়াচ পর্যন্ত বিবৃতি দিয়ে মতপ্রকাশের কারনে তোহাকে আটকে রাখার নিন্দা জানায়।
ত্ব-হা গাইবান্ধায় তার চর সিয়াম ইবনে শরীফের বাড়িতে মুরগীর মাংশ ভাত খেতে খেতে আত্মগোপনে ছিলেন।
নিজ বাড়ীতে লুকিয়ে রেখে সিয়াম তার সন্ধান দাবিতে দুটি মানববন্ধনেও অংশ নিয়েছিলেন বলে সিয়াম স্বীকার করেছেন।
একারনে জঙ্গি সন্দেহে সিয়ামকে চাকুরিচুত করে গ্রামিনফোন।
ধরা খাওয়ার পর সিয়াম অযুহাত দেয় কথিত গুমের শিকার ত্ব-হা ৭ দিন তার বাড়িতে আছেন এটি তার জানা ছিল না।
তাহলে চাল ডাল মুরগীর মাংশ বাজার করে দিচ্ছিলেন কার জন্য?
সিয়াম বলে তার মা এ বিষয়ে তাকে কিছু জানাননি। মা বলেছে এই ৭ দিন টিভি বা পত্রিকা দেখিনি, তাই অতিথিরা কারা বুঝতে পারিনি। না জানার কারণে তিনি বন্ধুর সন্ধান দাবিতে করা মানববন্ধনেও অংশ নেন। পরে যখন বলা হয়, তার বাড়িতে ত্ব-হা ও তার সঙ্গীরা ছিলেন তখন অনেকটা অবাক হওয়ার ভান করেন। একযোগে পরিবার সহ সবাই মিথ্যা বলা।
এত মিথ্যা ধরার পরও এদের লজ্জা নেই, অনুসারিদেরও লজ্জা নেই।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৫৭