যুক্তরাষ্ট্র ছয় জন র্যাব কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
আমেরিকা প্রকৃতই সিরিয়াস হলে বাংলাদেশ সরকার প্রধান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার কথা।
কিন্তু শাস্তি হল শুধু র্যাবের।
আরে ধুর র্যাবেকে শাস্তি দিবে কোন শালা? শুধু র্যাবের ৬ জন পাইক পেয়াদার শাস্তি!
কি শাস্তি? ভিসা দিবে না।
আরে উনি কি ভিসা চাইসে? আর উনি ভিসা নিয়ে কি করবে?
বেনজির সাহেব চাকরি রিটায়ার করে নিউইয়র্কের খাবার দোকানে আলু পিয়াজ কাটতে যাবে?
নিষেধাজ্ঞায় যা বলা হয়েছে।
SERIOUS HUMAN RIGHTS ABUSE IN BANGLADESH: RAPID ACTION BATTALION
Widespread allegations of serious human rights abuse in Bangladesh by the Rapid Action Battalion (RAB)—as part of the Bangladeshi government’s war on drugs—threaten U.S. national security interests by undermining the rule of law and respect for human rights and fundamental freedoms, and the economic prosperity of the people of Bangladesh.
RAB is a joint task force founded in 2004 and composed of members of the police, army, navy, air force, and border guards seconded to the RAB from their respective units. Its mandate includes internal security,
এতে যা বলা হয়,
"বাংলাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের ব্যাপক অভিযোগ - আইনের শাসন, মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা, ও বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বানচাল করা ইত্যাদির মাধ্যমে ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলছে।"
কোন রাজনৈতিক নিপিড়নের অভিযোগ নেই। মুলত নারায়নগঞ্জের ৭ খুন টেকনাফের ইউপি মেম্বার ক্রসফায়ারে হত্যার কথাই উল্লেখ হয়েছে।
বাংলাদেশের র্যাব নিষিদ্ধের দাবী অবস্য শুরু থেকেই ২০০৪ থেকেই।
উইকিলিকসের ফাঁস করা ২০১০ এর গোপন মার্কিন কুটনৈতিক বার্তায় বলা হয়ে্ছিল, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে মানবাধিকার রক্ষা ছাড়া অন্য কোন প্রশিক্ষণ দেবে না। কারণ এ বাহিনী ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে, তাই মার্কিন আইন অনুযায়ি এ প্রশিক্ষণ অবৈধ হতে পারে।
এর পরেও আমেরিকা প্রশিক্ষণ দিয়েছে। বাংলাদেশের র্যাব পুলিশ সেনাবাহিনী সহ বাংলাদেশের সব বাহিনীকে এন্টি টেররিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষন দিয়েছে। নিজেদের স্বার্থেই। এমনকি বিভিন্ন বাহিনী থেকে চৌকশ সদস্য এনে সম্পুর্ন মার্কিন অস্ত্রসত্রে সজ্জিত করে সোয়াট ও নেভির সিল কমান্ডোর মত সোয়ার্ড নামে দুটি পৃথক এন্টি টেররিষ্ট কমান্ডো বাহিনী গঠন করা হয়। বহুল আলোচিত পুলিশ এস আই লেয়াকত ও তার হাতে নিহত প্রাক্তন এসএসএফ সদস্য মেজর (অব) সিনহা, এরা দুজনই একই মার্কিন টিম থেকে এন্টি টেররিষ্ট বিষয়ে অস্ত্র চালনা প্রশিক্ষন নিয়েছিল।
উইকিলিকসের আরেক তার বার্তায় র্যাবের প্রসংসা আছে।,
রাষ্ট্রদুত জেমস এফ মরিয়ার্টি র্যাবের জঙ্গি দমন প্রসংগে বলেন, এখানকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে র্যাবই কোন একদিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা, এফবিআইয়ের মতো সংস্থা হিসাবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
আসল ঘটনা হচ্ছে একটি 'বাংলাদেশ বিরোধি মহল' বিদেশে বিভিন্ন প্রভাবশালী লোকজন দিয়ে বাংলাদেশকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশকে ভিকিরি বানিয়ে সরকার পতন ঘটানো আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু সেই ২০১১ থেকে।
জামাত তার শিল্পপতি নেতা মীর কাশেমের বানিজ্জিক চ্যানেল ব্যাবহার করে জামাত নেতা মীর কাশেম আলী লবিস্ট নিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্টেন্সর একটি কনসালটেন্সি ফার্মের সঙ্গে ২৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছেন। ২০১০ সালের ১০ মে ৬ মাসের জন্য আমেরিকান কনসালটেন্সি ফার্ম কেসিডি এন্ড এসোসিয়েটের সঙ্গে চুক্তি করেন মীর কাশেম আলী।
এই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা মালিক হচ্ছেন মার্কিন সাবেক কংগ্রেসম্যান মার্টিন রুশো। তিনি কেসেডি এন্ড এসোসিয়েটস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
এই লবিংএ খুব একটা কাজ হয় নি।
শুধু কাদের মোল্লার ফাসির আগের রাতে সেক্রেটারি অফ স্টেট জন কেরি হাসিনাকে ফোন দিয়ে ফাঁসি থামাতে বা ডিলে করতে অনুরোধ করেন। তবে শেষ হাসিনা সরাসরি 'অনুরোধ নাকোচ করে' বলে দুঃখ প্রকাশ করেন।
মুলত প্রভাবশালী এক্স লমেকারস রাজনীতিবিদরাই এক সময় 'লবিং কনসালটেন্সি ফার্ম' খুলে বসেন। আমেরিকায় আইনে টাকার বিনিময়ে দালালী, সরকারের উচ্চপর্যায়ে প্রভাব খাটাতে অর্থ খরচ করা সম্পুর্ন বৈধ ব্যাবসা। তবে ট্রান্সপ্যারেন্ট থাকতে হয়, ক্লায়েন্টের নাম জানাতে হয়, পেমেন্ট দিলে রশিদ দিতে হয়। তবে ক্লায়েন্টের কি কাজে দালালী সেটা গোপনীয় থাকে।
অনুসন্ধানে পাওয়া নথিতে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা হচ্ছে ৭০০/১৩ স্টিন্সট, ১১ ডবিíউ, সুইট-৪০০ ওয়াশিংটন ডিসি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট ও বাংলাদেশের সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ ও লবিং করাসহ ক্লায়েন্ট মীর কাশেমের আলীর উদ্দেশ্য (যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি বন্ধ বা ডিলে করা) সফল করার জন্য এই চুক্তি হচ্ছে বলে চুক্তিপত্রে উলেíখ করা হয়েছে। ১০ মে ২০১০ সাক্ষরিত এই চুক্তিতে মীর কাসেম আলী এবং লবিস্ট ফার্মের পক্ষে জেনারেল কাউন্সেলর জে• ক্যামেরুজ সাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানিটি মীর কাশেম আলীর উদ্দেশ্য সফল করতে যুক্তরাষ্টন্স ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে লবিং করবে। প্রয়োজনে ৬ মাসের জন্য চুক্তির মেয়াদ আরো ২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে বাড়ানো যাবে বলে চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও চুক্তির বাইরেও মামলা খরচসহ অন্যান্য খরচের ব্যয় বহন করতে আরো অর্থ দেয়া হবে উপদেশক এই প্রতিষ্ঠানকে।
বাংলাদেশ বিরোধীদের বিদেশী লবিং ফার্ম ভাড়া করা নতুন কোন ব্যাপার না।
এর আগে ড। ইউনুসও দুইবার অন্য একটি লবি ফার্ম (বিটিপি এডভাইজারস) নামে একটি লবিং ফার্ম ভাড়া করেছিল, কিন্তু কি কাজে ভাড়া করেছিল সেটা যানা না গেলেও মোটামোটি অনুমান করা যায়।
খালেদা জিয়াও বেশ আগে এই বিটিপিকেই (বিটিপি এডভাইজারস) ভাড়া করেছিল, বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করার জন্য। জন্য view this link
বিসিসিবি সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরিও ১৯৯৬ তে লন্ডনের একটি লবি ফার্ম ভাড়া করেছিলেন, সেটা বাংলাদেশের টেষ্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার জন্য।
বাংলাদেশ সরকারের সমর্থনে বিজিএমইএ একটি লবিং ফার্ম ভাড়া করেছিল তাজরিন ও রানা প্লাজা কান্ড সামাল দিতে ও যুক্তরাষ্ট যাতে কঠিন ব্যাবস্থা না নিতে পারে। সেটা অনেকটা সফল হয়েছিল।
এখন বাংলাদেশ বিরোধি মহলটির প্রবল লবি চাপে উৎকোচ পেয়ে কোন বড় উছিলা নাপেয়ে কিছু সিনেটর কংরেসম্যান, চলমান বিচারভির্ভুত হত্যা গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজ শেষ অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগালো।
বাংনিজ্জিক নিষেধজ্ঞা দেয়া সম্ভব না। সেই তাজরিন ও রানা প্লাজার উত্তপ্ত মোক্ষম সময়েও সম্ভব হয় নি, এখন কিভাবে সম্ভব?
ভোটার বিহীন ত্রুটিপুর্ন নির্বাচন?
সেটাও গুরুত্বহীন কারন দেশে নির্বাচন নিয়ে ছোট বড় কোন অসোন্তোষ দৃশ্বমান নেই, কোন বিক্ষোভ নেই, বিরোধি দল সংসদে গেছে, সংসদ সবাই মেনে নিয়েছে।
বিচারভির্ভুত হত্যা গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজ?
সেটাতে ভাল ফল পাওয়া গেছে দেশের জঙ্গিবাদ প্রায় নির্মুল, প্রসংসা পাওয়ার যোগ্য।
র্যাব পুলিশ ডিবি মানুষ মারতেছে। টাকার বিনিময়ে ৯ জন খুন, আর বিভিন যাগায় ক্রসফায়ার?
গুম খুন হয়েছে তবে গুম বা হত্যাকান্ড রাজনৈতিক বলা যায় না, বড় কোন মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব বা বিরোধী রাজনীতিবিদ নিহত বা গুম হয় নি। নারায়নগঞ্জের নিহত সরকার দলিয়, টেকনাফের নিহতও সরকার দলিয় মেম্বার।
আচ্ছা ঠিক আছে, কিছু লোক তো মারা গেছে কিছু একটা ব্যাবস্থা নিয়ে টাকাটা হালাল তো করতে হবে। ঠিক আছে আগামি সিনেট বৈঠকে প্রস্তাবটা উঠানো হবে।
আফটার অল মারছে তো কিন্তু কিছু একটা তো করতে হবে।
কোন বাহিনী নিষিদ্ধ করার চাপ দেয়া যাচ্ছে না, তবে কয়েক ব্যাক্তিকে শাস্তি দেয়া যায়, যেমন ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায়।
তবে সেটাই দাও।
তবে বাংলাদেশ অবস্য তাৎক্ষনিক কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
রাষ্ট্রদুত মিলারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে ডেকে কঠিন ঝাড়ি দেয়া হয়েছে। এই প্রথম কোন মার্কিন রাষ্ট্রদুতকে সমন জারি।
এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে ফোন করে নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাঁদের করার কিছু ছিলনা কিছু আইন প্রণেতারা এক সিনেটর ও কতিপয় কংগ্রেস সদস্য অনেকটা বাধ্য করেছেন নিষেধাজ্ঞা দিতে।’ এটা অলঙ্ঘনিয় ম্যান্ডেট ছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন অবস্য বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার কথা বলেছেন। আগের মতই একসাথে কাজকরা শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, জলবায়ু, গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের সহযোগিতার জন্য আলোচনার কাঠামো থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করেন
ব্লিংকেন। র্যাবের সব কাজ খারাপ মনে করেন না তিনি।
এর দু দিন পরেই র্যাব পুলিশের প্রসংশা করে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয় মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
ঠ্যালার নাম বাবাজি।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস কমেছে উল্লেখ করে প্রশংসা
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, র্যাব এবং পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও কমিউনিটি পুলিশ ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস কমেছে। এটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন। সেই প্রতিবেদনে তারা র্যাবের ভূমিকারও প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছে এবং বলেছে যে, ২০২০ সালে মাত্র তিনটি ছোট জঙ্গিবাদী ঘটনা ঘটেছে এবং সেখানে কোনো মৃত্যু ঘটেনি।
বাংলাদেশে র্যাব এবং পুলিশের তৎপরতায় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস কমেছে। পৃথিবীর অনেক দেশ তা করতে পারেনি এবং এক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেকনিক্যাল সহযোগিতা রয়েছে।
ঠ্যালার নাম বাবাজি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫২