তিন মাস আগের ঘটনা। ঢাকায় গিয়েছিলাম অফিসিয়াল কাজে। কাজের ফাকে একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের এপয়েন্টমেন্ট নিলাম। তেমন কিছু নয়, হাতে সামান্য এলার্জি। জেলা শহরের সাধারন ডাক্তারের কাছেই গেলেই চলত। তবুও কি মনে করে বিশেষজ্ঞের শরনাপন্ন হলাম।
সময়মতো ডাক্তারের চেম্বারে হাজির হলাম। ডাক্তার বাবু যেই-সেই ডাক্তার নয়। ঢাকার একটি মেডিক্যাল কলেজের চর্ম বিভাগের প্রধান। সালাম দিয়ে রোগীর চেয়ারে বসলাম। ডাক্তার বাবু (প্রফেসারদেরকে বাবু বলা যায় কি?) ভ্রু কুচকে আমার এলার্জি দেখলেন। তারপর একগাদা টেস্ট দিলেন। জিজ্ঞেস করলাম, অসুখটা কি? বললেন, টেস্টের রিপোর্ট দেখে নিশ্চিত হবেন। আমি বললাম, খারাপ কিছু কি? ডাক্তার বাবু কিছু বললেন না। তবে তার ভাব ভঙ্গিতে খারাপ কিছুই মনে হলো। দেরি না করে দ্রুত টেস্টগুলো করতে দিলাম।
ভেবেছিলাম সন্ধায় ডাক্তার দেখিয়ে রাতের বাসে ঢাকা ছাড়ব। কর্মস্থলে স্ত্রী ও ছোট বাচ্চা রেখে এসেছি। অফিসেও অনেক কাজ । তাছাড়া ঢাকা শহর আমার মোটেও ভাল লাগে না। মানুষ বসবাসের অযোগ্য একটি শহর। কিন্তু এখন দেখছি বাধ্য হয়ে আরো দুইএক দিন ঢাকায় থাকতে হবে।
পরের দিনেই টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেলাম। সকল রিপোর্ট স্বাভাবিক। শুধু ব্লাডে কলেস্টেরলের পরিমান সামান্য বেশি। ডাক্তার রিপোর্ট দেখলেন। তারপর একগাদা ঔষধ লিখে দিলেন। প্রায় সাড়ে তিনহাজার টাকার ঔষধ কিনলাম। একটি বিদেশি মলমের দামই দুহাজার টাকা।
কর্মস্থলে ফিরে মাস দু-এক ডাক্তারের ঔষধ ব্যবহার করলাম। ফলাফল শুন্য। দুই মাসে হাতের এলার্জি সামান্য বেড়ে গেছে। ঢাকায় যাওয়ার সময় করতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে স্থানীয় একজন এমবিবিএস ডাক্তার দেখালাম। সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার। আমার ব্যক্তিগত পরিচিত তাই ভিজিট রাখলেন না। তিনি আমাকে একটি মলম ব্যবহার করতে বললেন। দাম তেমন বেশি নয়, মাত্র পঞ্চাশ টাকা। মলম ব্যবহারের ৪/৫ দিনেই ইম্প্রুভমেন্ট লক্ষ্য করলাম। দুই সপ্তাহের মধ্যে এলার্জি সম্পূর্ণ ভাল হয়ে গেল।
আর কিছু বলার নেই, আমার গল্প এখানেই শেষ। আপনাদের কিছু বলার আছে কি?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




