একজন মুসলিম নামধারী মহিলার খ্রিস্টান কবরস্থানে খ্রিস্টাীয় রীতিতে মাটিচাপা দেয়া হচ্ছে , এই জন্য আমি প্রচণ্ড অবাক হচ্ছি , এমনকি ক্ষুব্ধ । কারণ নভেরা আহমেদ কে আমি খুব পছন্দ করতাম , ফ্রান্সে মুসলমানদের কোন ধর্মীয় অধিকারই ঠিক মত পালন করতে দেয়া হয় নাহ , ভয়াবহ রকমের বর্ণবাদী এক দেশ হল ফ্রান্স ।
একজন মুসলিম হিসেবে শরীয়ত মোতাবেক যে অধিকার নভেরা আহমেদ এর ছিল সেটা কেন পালন করা হয় নাই ???????????? ফ্রান্সের সমস্যাটা কি ?????????????
একজন মুসলিম মারা গেলে যত মুমিন অথবা পাপীই হোক না কেন ( সবার জন্য একই) তার জন্য পরিপূর্ণ ভাবে গোসল করিয়ে পরিষ্কার কাফন পড়িয়ে জানাযার নামাজ পড়িয়ে দুরুদ শরীফ পড়তে পড়তে অত্যন্ত সম্মানের সাথে মুসলিম কবরস্থানে নিয়ে যেতে হয় , তারপর সম্ভব হলে পরিবার থেকে অথবা সম্ভব না হলে অন্য দুজন মুমিন ব্যক্তি অত্যন্ত সম্মানের সাথে কবরে শোয়ান , তারপর দোয়া পড়ে কবরে মাটি ফেলতে হয় । তারপর ইমাম সাহেব অথবা একজন মুমিন ব্যক্তি দোয়া করে শেষ যাত্রা সমাপ্তি করেন । আমি জানতে চাই নভেরা আহমেদ বাংলাদেশের অত্যন্ত সম্মানিত একজন মুসলিম নাগরিক ( জানামতে ) , কিসের ভিত্তিতে তাকে তার ধর্মীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হল???????????????????
ফ্রান্স এক মুসলিম বর্ণবাদি দেশ । তারা মুসলমানদের কোন ধর্মীয় অধিকারই ঠিক মত পালন করতে দেয় না । এর থেকে রেহাই পেলেন না আমাদের শহীদ মিনারের অন্যতম স্থপতি ভাস্কর নভেরা আহমেদ । আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই ।
আর ইসলাম এর বিরুদ্ধে যাদের চুল্কানি আছে তারা দয়া করে এই পোস্টের বাইরে থাকুন , আমি কোন মস্তিস্ক বিকৃত মানুষ দেখতে চাই না ।
নভেরা আহমেদ এর অসহায় শেষ যাত্রা , মরার পর শেষ অধিকারটুকুও পেলেন না এই হতভাগী বড়বোন আমাদের
আধুনিক ভাস্কর্যের পথিকৃৎ : চলে গেলেন নভেরা আহমেদ
খ্রিস্টান কবরস্থানে খ্রিস্টীয় রীতিতে মুসলিম ভাস্কর নভেরা আহমদে এর শেষ শয়ান