somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবশেষে কর্ম বিরতী থেকে কাজে ফিরছে আমেরিকা-মন্দার হাত থেকে বাঁচ্লো বিশ্ব অর্থনীতি .

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


স্ট্যাচু অফ লিবার্টি দেখতে যাওয়ার ফেরি বন্ধ। লিঙ্কনের মূর্তি দেখানোর সরকারি গাইড গরহাজির। নাসায় ছুটিতে। ১৪০টি ন্যাশনাল পার্কের মতো বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থানে তালা। দরজা বন্ধ বিভিন্ন সরকারি দফতরে। অবেতন ছুটি ১০ লক্ষ কর্মীর।

অবশেষে সমঝোতাসূত্র খুঁজে পেয়েছে আমেরিকার দুই দল—ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা।লাগাতার আলোচনা আর চূড়ান্ত দর কষাকষির পর কাজ চালানোর মতো ঐকমত্যের সন্ধান পয়েছে তারা। যার সুবাদে শেষ পর্যন্ত কাজে ফিরতে চলেছে দেয়ালে পীঠ ঠেকে দাঁড়ানো আমেরিকা। সময়সীমা পেরোনোর আগে পেতে যাচ্ছে নতুন করে ধার করার ‘অনুমোদন’ও। যা না-পেলে বৃহস্পতিবার থেকে অনেক খরচই চালাতে পারত না ওবামার দেশ। মেটাতে পারত না পুরনো ধারও। সে ক্ষেত্রে ইতিহাসে প্রথম বার সময়মতো বকেয়া না-মেটানোর ‘লজ্জা’য় পড়ত তারা। পৃথিবী জুড়ে ফের তৈরি হত মন্দার সম্ভাবনা।
আপাতত উদ্বেগের অবসান। অন্তত এখনকার মতো দমবন্ধ উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তি।
ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের তিক্ত লড়াইয়ের জেরে সেখানে নতুন আর্থিক বছর শুরুর আগে (১ অক্টোবর) বাজেট পাশ করা যায়নি। তাই মার্কিন প্রশাসনে তালা পড়েছে সে দিন থেকে। গত দু’সপ্তাহে বহু আলোচনাতেও তা খোলেনি। কিন্তু তামাম দুনিয়ার কাছে তার থেকেও বড় চিন্তার কারণ হয়েছিল ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো। যা না-বাড়লে, পুরনো ধার মেটানোও সমস্যা হত আমেরিকার পক্ষে। পঙ্গু হয়ে পড়ত অর্থনীতি।
এই পরিস্থিতি এড়াতে পেরে তাই স্বাভাবিক ভাবেই স্বস্তির শ্বাস মার্কিন মুলুকে। বলা ভাল, চীন,ভারত-সহ সারা পৃথিবীতেই।


তখন তোড়জোড়। সমাধান খুঁজতে রাতভর বৈঠকের প্রস্তুতি

এমাসের গোড়ার দিকে অনেকেই মনে করেছিলেন, এই রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি বেশি দিন চলবে না। আপোসে আসবেই দুই দল। কিন্তু তার বদলে গত দু’সপ্তাহ নাটকীয় স্নায়ুর লড়াইয়ের সাক্ষী থেকেছে সারা দুনিয়া। বহু বার মনে হয়েছে, এই বুঝি সমস্যা মিটল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ঠিক ভেস্তে গিয়েছে সেই সম্ভাবনা। কারণ, নিজেদের অবস্থান থেকে এক চুলও পিছু হঠতে রাজি হয়নি কোনও পক্ষ। তাই এ ভাবে ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর সময়সীমা (১৭ অক্টোবর) যত এগিয়ে এসেছে, তত গাঢ় হয়েছে আতঙ্ক। ফের এক বার মন্দার অশনি সংকেত দেখতে শুরু করেছে মানুষ। শেষে সে আশঙ্কায় দাঁড়ি টেনে বুধবার দু’দলের প্রতিনিধি জানান, শেষ পর্যন্ত রফাসূত্র খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা।
এর পর এ দিনই তড়িঘড়ি এই নয়া বিল পাশ করাতে হবে মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ও সেনেটে। তার পর তাতে সই করবেন ওবামা। এবং এই সব কিছুই হবে ১৭ তারিখের সময় পেরোনোর আগে। তবে আগামী বছরের গোড়ায় ফের বাজেট নিয়ে কথা হবে। ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর জন্যও ফেব্রুয়ারিতে ফের পরীক্ষায় বসতে হবে ওবামাকে।গত ১৭ বছরে এই প্রথম। বিল ক্লিন্টনের পর ফের বারাক ওবামার জমানায়।
উল্লেখ্য, মার্কিন সরকারের আর্থিক বছর শুরু হয় ১ অক্টোবর থেকে। কিন্তু তার আগে মূলত ওবামা-কেয়ার (কম খরচে প্রায় সবার জন্য চিকিৎসা বিমা) নিয়ে দুই দলের মতানৈক্যে বাজেট পাশ না-হওয়ায় দু’সপ্তাহ আমেরিকায় বন্ধ অনেক প্রশাসনিক কাজকর্ম।
তার উপর ১৭ অক্টোবরের মধ্যে পাশ করতেই হত ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব। বর্তমানে ১৬.৭ লক্ষ কোটি ডলার পর্যন্ত ধার করতে পারে আমেরিকা। কিন্তু যা পরিস্থিতি, তাতে এ মাসে তা ফের না-বাড়ালে, অনেক খরচই চালাতে পারত না ওবামার দেশ। মেটাতে পারত না পুরনো ধারও। আতঙ্ক তৈরি হত পৃথিবী জুড়ে।
এই কারণেই এই ক’দিন একরাশ উদ্বেগ নিয়ে হোয়াইট হাউস আর মার্কিন কংগ্রেসের দিকে তাকিয়ে থেকেছে আমেরিকা। ক্ষোভে ফুঁসেছেন সেখানকার মানুষ। সবে মন্দা থেকে মাথা তুলতে শুরু করা মার্কিন অর্থনীতিকে নিয়ে এমন ‘ছিনিমিনি খেলা’য় তাঁরা বিরক্ত। আর এই রাগ যে আগামী দিনে ভোট-বাক্সে পড়তে পারে, তা বিলক্ষণ আঁচ করতে পারছিলেন রিপাবলিকানরা। কারণ, বেশিরভাগ মার্কিনই মনে করছিলেন, দেশের অর্থনীতিকে কার্যত পণবন্দি করছেন তাঁরা। যে কারণে এ দিন দু’পক্ষই সমঝোতা করেছে ঠিকই। কিন্তু সম্ভবত একটু বেশি পিছু হাঁটতে হয়েছে রিপাবলিকানদেরই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেমোক্র্যাটরা সম্ভবত ওবামা-কেয়ার পাচ্ছেন। বদলে দীর্ঘ মেয়াদে বিপুল খরচ ছাঁটাইয়ের প্রতিশ্রুতি দিতে হচ্ছে তাদের।


৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×