আমরা সবাই অবগত এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগ, ছাত্র লীগ এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অসংখ্য লোক খুন হয়। এই কোন্দল গুলো শুধুমাত্র প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটে। বর্তমানে দেশে যখন একটি দলকে নিয়ে নিষিদ্ধ ও গ্রেফতার অভিযান চলছে আর সেই মুহুর্তে ছাত্র লীগ ও আওয়ামী লীগ ফায়দা লুটতে চেষ্টা চালাচ্ছে। সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন এর হাতে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ও সাধারণ ছাত্র আবু বকর নিহত হয় তখন তারা এর ধামা চাপা দিতে রাজশাহিতে কৌশলে ছাত্র লীগের ক্ষমচু্ত দলের কর্মী ফারুককে খুন করে। আর এই খুনের দায় চাপায় বিরোধী ছাত্র সংগঠনের উপর। আর এক খুনের বিচার করতে তারা সারা দেশে হাজারের অধিক মানুষ গ্রেফতার করে। এতে প্রশ্ন জাগে ঢাকার আবু বকর , কমিশনার আহমেদ , চট্রগ্রামের নিরিহ ছাত্র মাসুমসহ সরকার দলীয় সংগঠনের হাতে খুন হওয়া ২৫০ জনের (এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর) এর অধিক খুনের বিচারে কতজন গ্রেফতার হবে। যোগ বিয়োগ করে তার হিসাব জনগণের হাতেই বর্তায়। রাজশাহির ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে যে সরকার দলীয় লোক জন খুন হচ্ছে তা ফায়দা লুটা ছাড়া আর কিছুই নয়। গত কাল ঢাকার ক্যান্টরমেন্ট থানা ছাত্রলীগ সভাপতি খুন হয় তার দায়ভার চাপানো অন্য সংগঠনের উপর। ভাংহুর করা হয় বিরোধী দলীয় অফিস। নির্ভর যোগ্য আওয়ামী সূত্রে যানা যায় , আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের নেতা কর্মীরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা অনেককে সাবধানও করিয়ে দিচ্ছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রের অভিমত এর শিকার হচ্ছে সংগঠনের প্রকৃত ও আদর্শিক নেতা কর্মীরা । ছাত্রলীগের এক থানার সাধারণ সম্পাদক এসকল ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাই দেশবাসীর কাছে এখন সকল ঘটনা প্রশ্নবিদ্ধ। আজ বিরোধী সংগঠনের কেউ খুন হলে তা প্রকাশিত হয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল হিসেবে। আর সরকার দলীয় লোক খুন হলে প্রকাশ করা হয় বিরোধী সংগঠনের হাতে খুন, গ্রেফতার করা হয় এক খুনের বদলে হাজারের অধিক লোক। তাই আজ প্রশ্নবিদ্ধ মিডিয়া ও প্রশাসন।
আজ আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধের দিকে নুয়ে পড়ছে। সরকার আজ বাংলার সাধারণ জণগণের কাছে এই নব্য রাজনীতির বিচারকে তুলে দিচ্ছে।
আমরা বর্তমান ক্ষমতানীন দলকে বলতে চাই যদি দেশকে ভালবাসেন তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাচান।যদি জাতিকে ভালবাসেন তাহলে সকল হত্যার সঠিক তদন্ত ও বিচার করুন। যদি ছাত্রলীগকে টিকিয়ে রাখতে চান তাহলে সন্ত্রাস দমণ করুন। সন্ত্রাস দমণের সঠিক তদন্তে যদি বিরোধী সংগঠনের কেউ ধরা পড়ে তাহলে তারও বিচার করুন। আর যদি দলীয় স্বার্থ রক্ষা করতে চান ও এক তরফা রাজনীতি চালু করতে চান , ইসলামকে মুছে ফেলতে চান তাহলে কখনো সফল হবেন না ।
যদি কেউ করতে চায় তাহলে প্রথমে তাকে নিজেকে গঠন করতে হবে। আসুন সত্য কে প্রতিষ্ঠিত করি।
আর দোয়া করি কেউ যাতে পরিস্থিতির শিকার না হয়।