১)জামাত একটি লেজুডভিত্তিক রাজননৈতিক দল।লেন্জা ব্যতিত এরা টিকতে পারে না।৭১ এ পাকিস্তানি লেন্জা ধরে টিকে ছিল।এখন বিএনপির মত অনৈসলামিক দলের পরগাছা হয়ে টিকে আছে।জামাত কোনদিনও এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারবে না এবং কোনদিনও তাদের বুলি আওড়ানো ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।
২)বিগত আমলে ক্ষমতার অংশীদারিত্ব পেয়েও ইসলামের খাতিরে কিছু করেছেন বা আল্লার কোন আইন প্রতিষ্ঠা করেছেন তারাই ভালো বলতে পারেন।
৩নিজেদের প্রয়োজনে তাদের মূলনীতি থেকে সরে আসতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করেন না।এর প্রমাণ তাদের দলীয় সংবিধান থেকে 'আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা' কথাটি সম্পূর্ণরূপে ঝেড়ে ফেলা।হয়ত এমনও দিন আসবে ক্ষমতার লোভে তারা ইসলামি রীতিনিতিও ত্যাজ্য করতে পারেন।জামাত পারে না এমন কাজ নেই।
৪)তারা ইসলামি আইনকানুন মেনে চলেন সম্পূর্ণ নিজেদের স্বার্থেই।পরিপূর্ন আল্লার ভয় কারো মধ্যে নেই।আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি তারা নামাজ পড়েন দলের স্বার্থে,মাসশেষে পরিষদে রিপোর্ট পেশ করতে,নিজের পোস্ট ধরে রাখতে সর্বোপরি মানুষকে দেখাতে এবং তাদের আকৃষ্ট করতে।যদিও নামাজের একমাত্র উদ্দেশ্য আল্লার ভয়ে ভীত হয়ে তাঁর আরাধণা করা।অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে পড়লে তা কবুলযোগ্য নয়।
৫)ইসলামে গতানুগতিক ধারার গণতন্ত্রের স্থান না থাকলেও তারা এটাকে সমর্থন করে যাচ্ছে।মানলাম তাদের আর কোন উপায় নেই কিন্তু তারাও অন্যান্য দলের ন্যায় হরতাল দিচ্ছে,সাধারণ জনগনের গাড়ি ভাংচুর করছে,নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে।তারা বলে তারা নাকি রাসুলের সুন্নাহ অনুসরণ করে।রাসুল কি কোন দিন হরতাল দিয়েছিলেন,দরিদ্রদের না খেয়ে থাকতে বাধ্য করেছিলেন,অন্যের সম্পদ নির্বিচারে ভাংচুর করেছিলেন,নিরপরাধ মানুষকে পুডিয়ে মেরেছিলেন?আসলে আওয়ামিলীগ বিএনপির সাথে এদের কোনই তফাৎ নেই।আওয়ামিলীগ বিএনপি যেমন প্রয়াত দুই নেতাকে পুজি করে বাঁচে,জামাতও ইসলামকে পুজি করে বাঁচে।
৬)তফাৎ একটা জায়গায় আছে।সেটা তাদের ছাত্র সংগঠনে।বাংলাদেশের কোন ছাত্র সংগঠনই প্যারালাল আরেকটা সন্ত্রাসী সংগঠন চালায় না কিন্তু শিবির চালায়, যাদের অধিকাংশের চরিত্র মূলস্রোতের শিবির চরিত্রের সাথে মেলে না।তারা মাদক নেয়,ছিনতাই করে এককথায় ভয়ংকর টিপিক্যাল সন্ত্রাসী যারা মানুষ খুন করতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হয় না।শিবিরের বিভিন্ন মারামারিতে এরা ফ্রন্টলাইনে থাকে।
৭)সবচেয়ে বড় কথা জামাতকে যারা সমর্থন করে তাদেরকে তারা ইসলামের দুশমন মনে করে।ভেবে দেখুন জামাতকে ভোট না দেয়ায় আপনি তাদের কাছে কাফের এ পরিনত হলেন।আওয়ামিলীগ তো অনেক আগে থেকেই তাদের কাছে কাফের।মনে হয় যেন আল্লাহই তাদের লাইসেন্স দিছেন কে মুসলমান কে কাফের তা নির্ধারণ করার।আল্লাহ তাদের একান্ত ব্যক্তিগত সম্পত্তি।
৮)তারা ইসলাম অপব্যবহার করে মুসলমানকে মুসলমানের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে।মুসলমানের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিতে জামাত অদ্বিতীয়।৩% জামাতি ৯৭% মুসলমানের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করতে পারে কিন্তু সারাবিশ্বের সব মুসলমান নিপীডিত হলেও তারা নিরুদ্বেগ থাকে।কেননা তারা প্রতিবাদ করে পশ্মিমাদের কাছে কালার হতে চায় না।আমরা দেশীয় মুসলমানরা তাদের কাছে দুশমন,আর যারা মুসলমান হত্যা করে তারা তাদের পরম বন্ধু।
একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমরা এমন একটি সংগঠন ধারণ করছি যারা সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প উগরে দিচ্ছে।যখন সারা পৃথিবী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তখন একটি সংগঠন ৯০% মুসলমানের দেশে মুসলমানের মধ্যেই বিভাজন সৃষ্টি করছে।স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার লালনকারী সংগঠন স্বাধীনতার ৪২ বছর পরেও আমাদের হুমকি দিতে পারে।এ লজ্জা রাখি কোথায়?আমরা কি আজও পরিপূর্ন স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি?
(চলবে)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



