somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন সানি লিওনকে যখন বলিউড গ্রহণ করে

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছুদিন ধরে ফেসবুকের প্রথম পেজে একটা সাজেশান হরহামেশাই দেখতে পাচ্ছি। “Like ‘Sunny Leone’, 29 friends like this page” এই সংখ্যাটা আবার ইদানিং দেখি বাড়ছেই। মানে আমার ফেসবুক বন্ধুদের মধ্যে সানি লিওনের ভক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর অন্যদিকে মূলধারার গ্লোবাল পণ্যের বিজ্ঞাপনেও তিনি দাপটের সাথেই উপস্থিতি জানান দিয়ে যাচ্ছেন। আর এ সবকিছুই ঘটেছে একটি চলচ্চিত্রের কল্যাণে।

যখন পত্রিকায় খবরটি দেখি বছরখানেক আগে তখন থেকেই মনের কোণে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল, কি হবে? কিভাবে হয়? কি হয় যখন একজন সানি লিওন বলিউডে আসেন। যখন একজন সানি লিওনকে বলিউড বরণ করে নেয়। পৃথিবীর মধ্যে এখন মনে হয় দ্বিতীয় ‘ফ্যান্টাসি কিংডম’ বলিউড। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, প্রথমটি হল হলিউড। ফ্যন্টাসি কিংডম তো আর বাদশাহ আকবর কিংবা মহারাণী ভিক্টোরিয়ার কিংডম নয় যে এখানে একট রাজদন্ড থাকবে! ফ্যান্টাসি কিংডম মানেই হল, তুমি এখানে স্বাধীন, অবাধ, মুক্ত। তুমি যা খুশি এখানে তাই করতে পারো এবং এবং তোমার যা ইচ্ছা এখানে তাই পাবে। তো এই কিংডম যখন পৃথিবীর তাবৎ মানবমন্ডলীর ঘরে ঘরে আদর্শ রূপে বিরাজ করে এবং অজান্তেই কখন যেন অসচেতনতায় অবলীলায় ঢুকে পড়ে সবুজ ছেলেপুলের দলে তখন সমাজের মাজা কতটুকু শক্ত, সমাজের সেই শিক্ষা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তথাকথিত বিশ্বায়নবিরোধী হতে হয় না।
এই লিখাটা বলা যায় একটু বুঝদার মানুষের জন্যই যাদের বয়স তথাকথিত ‘এইজ অফ কনসার্ণ’ পার হয়ে গেছে। তাই এই লিখাটি অনলাইনেই সীমাবদ্ধ থাকা শ্রেয় যার পাঠক অনুমিতি হিসেবে বালেগ। যাই হোক, কেন সানি লিওনের বলিউডযাত্রা নিয়ে লিখতে হবে? সানি লিওনকে খুব একটা জানাশোনা ছিল না বলা যায় তেমন কারোরই। আর কারো যদি থেকেও থাকত সেটা খুব গোপনে, তাকে নিয়ে যদি গসিপও চলত তাও বিশেষ কোন আড্ডায়। বলতে পারেন আন্ডারগ্রাউন্ডে। কেননা এই সমাজ, এই সভ্যতা এই ধাচেই গড়া। তা বাদ দিলেও মানুষ কেন যেকোন প্রাণীই প্রকৃতিগতভাবেই এ বিষয়টিকে গোপনীয় বলে মনে করে। পত্রিকার সূত্র ধরে কয়েকদিন আগে সানি লিওনের এক ইউটিউব সাক্ষাতকার দেখছিলাম যেখানে তিনি বেশ আত্নবিশ্বাসের সাথেই বলছেন, “বলিউড আমাকে আগ্রহের সাথেই গ্রহণ করেছে।” তো বলিউড অনেক কিছুই গ্রহণ করে। বলিউড “থ্রি ইডিয়ট” গ্রহণ করে থাকে, “রঙ দে বাসন্তী”কেও গ্রহণ করে আবার “জিসম-২” কেও গ্রহণ করে থাকে। মানে এগুলো মিলেই বলিউড। এখন আমরা যদি দেখি “থ্রি ইডিয়ট” বলিউডের অন্যতম একটা সৃষ্টি এবং ইন্ডিয়ার জনগণ এটাকে গ্রহণ করেছে বলে এটার শিল্পী কুশলীদের বলিউড গ্রহণ করেছে তাহলে এই সাজুয্য দেখিয়ে ‘জিসম-২’ ও এর শিল্পী সানি লিওনকে বলিউড গ্রহণ করেছে মানে হল ইন্ডিয়া’র জনগণ তথা বিশ্বজুড়ে বলিউডের ভোক্তা-সমঝদারেরাও সানি লিওনকে গ্রহণ করে নিয়েছে। দোষের কিছু নাই। ইন্ডিয়া রাজনৈতিকভাবে কতটা উদার বলাটা মুশকিল হলেও অনুকরণে যে তার জুড়ি নেই তা ইন্ডিয়া’র ‘কালচারাল রেভ্যুলোশন’ ও বাণিজ্যিক মিডিয়াগুলোর দিকে তাকালেই আন্দাজ করা যায়।
ভালো কথা ‘সানি লিওন’কে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক ইনোসেন্ট মনে প্রশ্ন জেগে উঠেছে বোধহয়। আচ্ছা এই ফাকে সানি সম্পর্কে এক লহমায় জেনে নেওয়া যাক কিছু তথ্য। সানি লিওনের জন্ম-১৯৮১ সালের ১৩ মে, কানাডার ওন্টারিওর সার্নিয়া শহরে। তাঁর বাবা মা উভয়েই ভারতীয়। শিখ ধর্মাবলম্বী সানি যখন ১৪ বছরের তখন তাঁর পরিবার কানাডা থেকে মিশিগানে পাড়ি দেন। পরবর্তী সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার লেক ফরেস্টে পাকাপাকি ভাবে বসবাস শুরু করেন সানি ও তাঁর পরিবার। যে বিষয়টা গুরুত্বপুর্ণ তা হল পেশায় সানি লিওন একজন পর্ণস্টার। সম্প্রতি ‘বিগ বস’ রিয়েলিটি শো তে অংশ নেওয়ার পর ইন্ডিয়া সরকার সানি লিওনকে ‘সম্মানসূচক’ নাগরিকত্ব দিয়েছেন। তো সানি সম্পর্কে গুরুত্বপুর্ণ তথ্যটি হল সানি দেহপ্রসারিনী, ক্যামেরার সামনে এবং বাইরে। সম্প্রতি সানি লিওন বলিউডের একটি চলচ্চিত্রে(জিসম-২) নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন এবং বক্স অফিসে ছবিটি হিটও করেছে। তার পথ ধরে তিনি এখন ঘোষণা দিয়েছেন তার স্বামী যিনি আরেক পর্ণস্টার ড্যানিয়েল নামধারী তাকেও বলিউডে নিয়ে আসতে চান। সংক্ষিপ্তভাবে রেখেঢেকে তাকে এভাবেই পরিচয় করানো যায়।
আচ্ছা, কখন শরীর দেখানো মানে শুধু শরীর দেখানোই নয়? শরীর শিল্পের একটি আদিম উপাদান যা সব প্রাচীন সভ্যতার মাঝেই দেখা মেলে। আর ভারতবর্ষ মনে হয় এই দিক দিয়ে অন্য অনেক সভ্যতার চেয়ে এগিয়েই ছিল। হ্যাঁ, শরীর দেখানোর মাঝেও শিল্প থাকতে পারে বটে তবে যখন তা শুধু কামনাকে প্রলুদ্ধ করার মধ্যেই সীমিত হয়ে পড়ে তখন শরীরের শুধু একটাই পরিচয়, এটা শরীর এবং এই শরীরে আগুন আছে, পানি আছে, কামনার ঝড় আছে। আমরা যদি ‘জিসম-২’ এর দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব একজন সত্যিকার পর্ণতারকা ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে কোনরকম সংকোচ কিংবা লজ্জা ছাড়াই শরীর নিয়ে খেলছেন যেটাকে উপমহাদেশীয় সংস্কৃতির কোন ধারায়ই ফেলা যায় না। এই উপমহাদেশের রয়েছে হাজার বছরের আধ্যাত্ব্যবাদের এক উন্নত ঐতিহ্য যেখানে আত্নার সাধনা আর শরীরের সাধনাকে একাত্ব করে দেখা হত। ভারতবর্ষের ১৯ শতকের অন্যতম দার্শনিক লালনের দর্শনেও শরীর-মনের সংযোগের গুরুত্ব লক্ষ্য করা যায়। বলিউডের আরো অনেক চলচ্চিত্রেও হয়ত জিসম কিংবা এর চেয়েও উদোম দৃশ্যের দেখা মেলতে পারে। তাতে কিছু যায় আসে না। মূল বিপদের জায়গাটা হল এখানে সানি লিওন যদি একেবারে হিজাব পরেও অভিনয় করতেন তাহলে সেটাও সমালোচনার দাবি রাখত। কারণ বলিউডের পর্দায় এসে সে কি করল তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপুর্ণ হল সে আমাদের জন্য কি নিয়ে এসেছে তা। এবং আমাদের সানি লিওন আমাদের জন্য সেই নিষিদ্ধ ইন্ডাস্ট্রির বার্তা নিয়ে এসেছে যে বার্তা হয়ত এখনও সাভারের দন্ত বিশেষজ্ঞ মুস্তাফিজুর রহমান পাননি বলে তিনি সানির সুন্দর দাতে আকৃষ্ট হয়ে প্রিন্সেস ডায়নার আদলে তাকে বিনামুল্যে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছেন! ঢাকা কলেজে’র সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের ডায়না ফ্যাশন হাউজের পলিসাইনে বড় করে ছাপা প্রিন্সেস ডায়নার ছবির দিকে তাকিয়ে আমার সহজাতভাবেই মনে পড়ে যেত ডায়নার বর্ণাঢ্য জীবনালেখ্য। কল্পনা করুন, তার পাশের ‘সানি সুপার ফ্যাব্রিক’ স্টোরের দিকে তাকিয়ে বছর কয়েক পরে আপনার ছোট ভাই কোন জগতের স্মৃতি হাতড়াবে!!
ইন্ডিয়া এখন এমন একটা স্তরে আছে যেখানে কোন কিছুই প্রশ্নোম্মুখ নয়। সবকিছুই যেন একটা ঠাট্টার মত, সহজ তামাশা। সবকিছুকেই আপনি এখানে হেসে উড়িয়ে দিতে পারেন। ইন্ডিয়ান পর্যটন ব্যুরো তাদের বিজ্ঞাপনে যে হাজার বছরের ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’ দেখায় ইন্ডিয়ার ভেতরে বিশেষভাবে বলতে গেলে ইন্ডিয়ার মধ্যবিত্তের ভেতরে তার ছিটেফোঁটাটি আর পাওয়া যায় না। এই প্রজন্মের মধ্যবিত্ত ইন্ডিয়ার ধর্ম ‘ওয়েস্টার্নিজম’। আর বলিউডের শব্দকোষের বেপর্দা হওয়া এখানে কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আমরা যদি বলিউডের ১ দশক আগের চলচ্চিত্রের দিকেও তাকাই তাহলে আর পরিবর্তনটা স্পষ্ট করে বলে দিতে হবে না।
এই সময়টা কি খুব পুরনো? যখন হলিউড কোন পর্ণকে সামনে এনে দেখিয়েছে? সেটা ছিল ১৯৭২ সাল, ‘ডিপ থ্রট’ নামের একটি চলচ্চিত্র যেখানে প্রথমবারের মত কোন চলচ্চিত্রে লিন্ডা বোরম্যান নামের এক অভিনেত্রী খোলাখুলিভাবে যৌনতা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি কি যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে খুব সহজভাবেই গৃহীত হয়েছিল? মোটেও না। সমালোচনা-সমালোচনায় ভরে গিয়েছিল পুরো সচেতন মহল। আর আন্ডারগ্রাউন্ডের মাফিয়াদের এইটাই ছিল সুযোগ পর্ণ এবং হলিউডের সাথে একাত্বতা গড়ে এগুলোকে ইন্ডাস্ট্রি(কারখানা) বলে স্বীকৃত করার। ১৯৭২ সাল থেকে ৪০ বছর পেরিয়ে গেছে। পরিবর্তন হয়েছে অনেককিছুই।
এখন মনে হচ্ছে, এটা ছিল অন্য সময়, অন্য যুগ। সে সময়টা ছিল যখন পর্ণোগ্রাফি তৈরি এবং পর্ণোগ্রাফিতে যুক্ত হওয়া ছিল একান্তই গোপন বিষয়। কিন্তু এখন আমরা এমন একটা সময়ে এসে পতিত হয়েছি যেখানে এটি ‘ওপেন সিক্রেট’ থেকে ক্রমেই দ্বিধাহীনভাবে ‘সহজ বিনোদন’ হয়ে উঠছে! যে কেউ যেকোন স্থান থেকে কেবল একটা ইন্টারনেট সংযোগের মধ্যমেই যুক্ত হতে পারছে পর্ণোগ্রাফির বিশাল ভান্ডারে যা এক দশক আগেও ছিল অকল্পনীয়। ঠিক এই সময়ে যখন একজন সত্যিকারের পর্ণতারকা মেইনস্ট্রিম সিনেমার জগতে ঢুকে পড়েন এবং তাকে নিয়ে গসিপ শুরু হয় তাহলে তো আপনা-আপনিই আপনার দৈনিক পত্রিকার বিনোদন পাতায় তার জ্বর কত ডিগ্রি তাও ভেসে উঠবে। তার জীবনাচরণ যখন আপনার নাগরিক জীবনের একটা অংশ হয়ে যাবে তখন সেই ‘নিষিদ্ধ’ জগতটাকে আপনি কিভাবে তার থেকে আলাদা করবেন? এটাকে আপনি কি দিয়ে ঠেকাবেন? এবং মজার ব্যপার হল এটিই একমাত্র ইন্ডাস্ট্রি যেটিকে কোন অর্থনৈতিক মন্দাও আক্রমণ করতে পারে না। ঠিক এই জায়গায়ই সানি লিওনের বলিউডযাত্রা আমাদের সমাজ পরিবর্তনের, সামাজিক ট্যাবু পরিবর্তনের নিয়ামক বলেই মনে হচ্ছে যে পরিবর্তনে অন্তর-বাহির নিরঞ্জন একান্তই ছেলেখেলা।
এগুলো কেন হচ্ছে? কেন এরকম হবে এর কোন সোজা-সাপ্টা উত্তর নেই। বলিউডে এখন নিয়মিতভাবেই ১০০ কোটি রুপি আয় করা চলচ্চিত্র রিলিজ হচ্ছে। ১৩০ কোটি মানুষের ইন্ডিয়ায় প্রফিট খোঁজার জন্য কোন ব্যবসায়ীকেই খুব বেশি বেগ পেতে হয় না। আর সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির তো কোন কথাই নেই। তারপরও মনে হচ্ছে মুলধারার শিল্পীদের দিয়ে পূর্ণ বিনোদনের স্বাদটা বের করে নেওয়া যাচ্ছিল না। তাই একজন সানি লিওনকে আনতে হবে। তার সাথে আনতে হবে গোপনে গোপনে প্রযুক্তির কল্যাণে সমাজের রন্ধ্র্যে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়া নিষিদ্ধ ইন্ডাস্ট্রির ট্রানজিট। আমার ফোকাসটা যেহেতু অন্যত্র তাই বিগ বস নিয়ে এখানে কিছু বলছি না। তারপরও দেখুন, দুনিয়াজুড়ে ২৪ ঘন্টার লাইভ রিয়েলিটি শো’গুলোতে কি হচ্ছে। আর কর্পোরেটগুলো কত সহজেই কিভাবে আমাকে আপনাকে জড়িয়ে নিচ্ছে এমন কিছু বোধের জালে যেটা আমরা সচেতনভাবে কখনোই চাই না।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এই দুনিয়ার আশেপাশে ঘুরাফেরা করাটা চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই এই প্রজন্ম নিজেদের অংশ করে নিয়েছে এবং তাদের কাছে এগুলো মনে করার কোন ব্যপারই মনে হচ্ছে না।
পপগুরু, লাভগুরু কিংবা মিডিয়া আইকনরা আমাদের ‘ইন্টারকোর্সে’র স্বাস্থ্যগত দিক নিয়ে হরহামেশাই বলেন। ড্রয়িংরুম ম্যাগাজিনে(ট্যাবলয়েড) আবার টেকনিক্যাল দিক নিয়েও আলোচনা দেখা যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটা বিশাল অংশও আজকাল দখল করে নিচ্ছে এ দিকটি। কিন্তু এসব স্বত্ত্বেও যা ঘটছে তা হল, আমরা আমাদের আবেগ হারাচ্ছি, ঈন্দ্রিয়ের সহজাত উত্তেজনা ভুলে যাচ্ছি এবং প্রয়োজনীয়ভাবে একজন নরের একজন নারীর প্রতি যে অশর্ত ভালোবাসা যা আমাদের পরস্পরের কাছে টেনে রাখে তা হারাচ্ছি। আমরা চলচ্চিত্রগুলোতে যা দেখছি তা কি আমাদের সুখানূভূতিকে ভোতা করে দেয় না? চলচ্চিত্রে আমরা যে দুইজন নরনারীর ‘ইন্টারকোর্স’ দেখি এবং অব্যবহিত পরেই তাদের দূরে চলে যাওয়া তা কি আমরা আমাদের জীবনেও চাই? ভেবে দেখুন তো, যদি আমরা সচেতনভাবে তা না চাই তাহলে এই ফ্যান্টাসি কিংডমের ফ্যান্টাসি আমাদের জীবনকে অসচেতনে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে ভাববার সময় কি এখনই আসেনি?
কিছুদিন ধরে ফেসবুকের প্রথম পেজে একটা সাজেশান হরহামেশাই দেখতে পাচ্ছি। “Like ‘Sunny Leone’, 29 friends like this page” এই সংখ্যাটা আবার ইদানিং দেখি বাড়ছেই। মানে আমার ফেসবুক বন্ধুদের মধ্যে সানি লিওনের ভক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর অন্যদিকে মূলধারার গ্লোবাল পণ্যের বিজ্ঞাপনেও তিনি দাপটের সাথেই উপস্থিতি জানান দিয়ে যাচ্ছেন। আর এ সবকিছুই ঘটেছে একটি চলচ্চিত্রের কল্যাণে।

যখন পত্রিকায় খবরটি দেখি বছরখানেক আগে তখন থেকেই মনের কোণে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল, কি হবে? কিভাবে হয়? কি হয় যখন একজন সানি লিওন বলিউডে আসেন। যখন একজন সানি লিওনকে বলিউড বরণ করে নেয়। পৃথিবীর মধ্যে এখন মনে হয় দ্বিতীয় ‘ফ্যান্টাসি কিংডম’ বলিউড। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, প্রথমটি হল হলিউড। ফ্যন্টাসি কিংডম তো আর বাদশাহ আকবর কিংবা মহারাণী ভিক্টোরিয়ার কিংডম নয় যে এখানে একট রাজদন্ড থাকবে! ফ্যান্টাসি কিংডম মানেই হল, তুমি এখানে স্বাধীন, অবাধ, মুক্ত। তুমি যা খুশি এখানে তাই করতে পারো এবং এবং তোমার যা ইচ্ছা এখানে তাই পাবে। তো এই কিংডম যখন পৃথিবীর তাবৎ মানবমন্ডলীর ঘরে ঘরে আদর্শ রূপে বিরাজ করে এবং অজান্তেই কখন যেন অসচেতনতায় অবলীলায় ঢুকে পড়ে সবুজ ছেলেপুলের দলে তখন সমাজের মাজা কতটুকু শক্ত, সমাজের সেই শিক্ষা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তথাকথিত বিশ্বায়নবিরোধী হতে হয় না।
এই লিখাটা বলা যায় একটু বুঝদার মানুষের জন্যই যাদের বয়স তথাকথিত ‘এইজ অফ কনসার্ণ’ পার হয়ে গেছে। তাই এই লিখাটি অনলাইনেই সীমাবদ্ধ থাকা শ্রেয় যার পাঠক অনুমিতি হিসেবে বালেগ। যাই হোক, কেন সানি লিওনের বলিউডযাত্রা নিয়ে লিখতে হবে? সানি লিওনকে খুব একটা জানাশোনা ছিল না বলা যায় তেমন কারোরই। আর কারো যদি থেকেও থাকত সেটা খুব গোপনে, তাকে নিয়ে যদি গসিপও চলত তাও বিশেষ কোন আড্ডায়। বলতে পারেন আন্ডারগ্রাউন্ডে। কেননা এই সমাজ, এই সভ্যতা এই ধাচেই গড়া। তা বাদ দিলেও মানুষ কেন যেকোন প্রাণীই প্রকৃতিগতভাবেই এ বিষয়টিকে গোপনীয় বলে মনে করে। পত্রিকার সূত্র ধরে কয়েকদিন আগে সানি লিওনের এক ইউটিউব সাক্ষাতকার দেখছিলাম যেখানে তিনি বেশ আত্নবিশ্বাসের সাথেই বলছেন, “বলিউড আমাকে আগ্রহের সাথেই গ্রহণ করেছে।” তো বলিউড অনেক কিছুই গ্রহণ করে। বলিউড “থ্রি ইডিয়ট” গ্রহণ করে থাকে, “রঙ দে বাসন্তী”কেও গ্রহণ করে আবার “জিসম-২” কেও গ্রহণ করে থাকে। মানে এগুলো মিলেই বলিউড। এখন আমরা যদি দেখি “থ্রি ইডিয়ট” বলিউডের অন্যতম একটা সৃষ্টি এবং ইন্ডিয়ার জনগণ এটাকে গ্রহণ করেছে বলে এটার শিল্পী কুশলীদের বলিউড গ্রহণ করেছে তাহলে এই সাজুয্য দেখিয়ে ‘জিসম-২’ ও এর শিল্পী সানি লিওনকে বলিউড গ্রহণ করেছে মানে হল ইন্ডিয়া’র জনগণ তথা বিশ্বজুড়ে বলিউডের ভোক্তা-সমঝদারেরাও সানি লিওনকে গ্রহণ করে নিয়েছে। দোষের কিছু নাই। ইন্ডিয়া রাজনৈতিকভাবে কতটা উদার বলাটা মুশকিল হলেও অনুকরণে যে তার জুড়ি নেই তা ইন্ডিয়া’র ‘কালচারাল রেভ্যুলোশন’ ও বাণিজ্যিক মিডিয়াগুলোর দিকে তাকালেই আন্দাজ করা যায়।
ভালো কথা ‘সানি লিওন’কে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক ইনোসেন্ট মনে প্রশ্ন জেগে উঠেছে বোধহয়। আচ্ছা এই ফাকে সানি সম্পর্কে এক লহমায় জেনে নেওয়া যাক কিছু তথ্য। সানি লিওনের জন্ম-১৯৮১ সালের ১৩ মে, কানাডার ওন্টারিওর সার্নিয়া শহরে। তাঁর বাবা মা উভয়েই ভারতীয়। শিখ ধর্মাবলম্বী সানি যখন ১৪ বছরের তখন তাঁর পরিবার কানাডা থেকে মিশিগানে পাড়ি দেন। পরবর্তী সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার লেক ফরেস্টে পাকাপাকি ভাবে বসবাস শুরু করেন সানি ও তাঁর পরিবার। যে বিষয়টা গুরুত্বপুর্ণ তা হল পেশায় সানি লিওন একজন পর্ণস্টার। সম্প্রতি ‘বিগ বস’ রিয়েলিটি শো তে অংশ নেওয়ার পর ইন্ডিয়া সরকার সানি লিওনকে ‘সম্মানসূচক’ নাগরিকত্ব দিয়েছেন। তো সানি সম্পর্কে গুরুত্বপুর্ণ তথ্যটি হল সানি দেহপ্রসারিনী, ক্যামেরার সামনে এবং বাইরে। সম্প্রতি সানি লিওন বলিউডের একটি চলচ্চিত্রে(জিসম-২) নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন এবং বক্স অফিসে ছবিটি হিটও করেছে। তার পথ ধরে তিনি এখন ঘোষণা দিয়েছেন তার স্বামী যিনি আরেক পর্ণস্টার ড্যানিয়েল নামধারী তাকেও বলিউডে নিয়ে আসতে চান। সংক্ষিপ্তভাবে রেখেঢেকে তাকে এভাবেই পরিচয় করানো যায়।
আচ্ছা, কখন শরীর দেখানো মানে শুধু শরীর দেখানোই নয়? শরীর শিল্পের একটি আদিম উপাদান যা সব প্রাচীন সভ্যতার মাঝেই দেখা মেলে। আর ভারতবর্ষ মনে হয় এই দিক দিয়ে অন্য অনেক সভ্যতার চেয়ে এগিয়েই ছিল। হ্যাঁ, শরীর দেখানোর মাঝেও শিল্প থাকতে পারে বটে তবে যখন তা শুধু কামনাকে প্রলুদ্ধ করার মধ্যেই সীমিত হয়ে পড়ে তখন শরীরের শুধু একটাই পরিচয়, এটা শরীর এবং এই শরীরে আগুন আছে, পানি আছে, কামনার ঝড় আছে। আমরা যদি ‘জিসম-২’ এর দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব একজন সত্যিকার পর্ণতারকা ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে কোনরকম সংকোচ কিংবা লজ্জা ছাড়াই শরীর নিয়ে খেলছেন যেটাকে উপমহাদেশীয় সংস্কৃতির কোন ধারায়ই ফেলা যায় না। এই উপমহাদেশের রয়েছে হাজার বছরের আধ্যাত্ব্যবাদের এক উন্নত ঐতিহ্য যেখানে আত্নার সাধনা আর শরীরের সাধনাকে একাত্ব করে দেখা হত। ভারতবর্ষের ১৯ শতকের অন্যতম দার্শনিক লালনের দর্শনেও শরীর-মনের সংযোগের গুরুত্ব লক্ষ্য করা যায়। বলিউডের আরো অনেক চলচ্চিত্রেও হয়ত জিসম কিংবা এর চেয়েও উদোম দৃশ্যের দেখা মেলতে পারে। তাতে কিছু যায় আসে না। মূল বিপদের জায়গাটা হল এখানে সানি লিওন যদি একেবারে হিজাব পরেও অভিনয় করতেন তাহলে সেটাও সমালোচনার দাবি রাখত। কারণ বলিউডের পর্দায় এসে সে কি করল তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপুর্ণ হল সে আমাদের জন্য কি নিয়ে এসেছে তা। এবং আমাদের সানি লিওন আমাদের জন্য সেই নিষিদ্ধ ইন্ডাস্ট্রির বার্তা নিয়ে এসেছে যে বার্তা হয়ত এখনও সাভারের দন্ত বিশেষজ্ঞ মুস্তাফিজুর রহমান পাননি বলে তিনি সানির সুন্দর দাতে আকৃষ্ট হয়ে প্রিন্সেস ডায়নার আদলে তাকে বিনামুল্যে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছেন! ঢাকা কলেজে’র সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের ডায়না ফ্যাশন হাউজের পলিসাইনে বড় করে ছাপা প্রিন্সেস ডায়নার ছবির দিকে তাকিয়ে আমার সহজাতভাবেই মনে পড়ে যেত ডায়নার বর্ণাঢ্য জীবনালেখ্য। কল্পনা করুন, তার পাশের ‘সানি সুপার ফ্যাব্রিক’ স্টোরের দিকে তাকিয়ে বছর কয়েক পরে আপনার ছোট ভাই কোন জগতের স্মৃতি হাতড়াবে!!
ইন্ডিয়া এখন এমন একটা স্তরে আছে যেখানে কোন কিছুই প্রশ্নোম্মুখ নয়। সবকিছুই যেন একটা ঠাট্টার মত, সহজ তামাশা। সবকিছুকেই আপনি এখানে হেসে উড়িয়ে দিতে পারেন। ইন্ডিয়ান পর্যটন ব্যুরো তাদের বিজ্ঞাপনে যে হাজার বছরের ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’ দেখায় ইন্ডিয়ার ভেতরে বিশেষভাবে বলতে গেলে ইন্ডিয়ার মধ্যবিত্তের ভেতরে তার ছিটেফোঁটাটি আর পাওয়া যায় না। এই প্রজন্মের মধ্যবিত্ত ইন্ডিয়ার ধর্ম ‘ওয়েস্টার্নিজম’। আর বলিউডের শব্দকোষের বেপর্দা হওয়া এখানে কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আমরা যদি বলিউডের ১ দশক আগের চলচ্চিত্রের দিকেও তাকাই তাহলে আর পরিবর্তনটা স্পষ্ট করে বলে দিতে হবে না।
এই সময়টা কি খুব পুরনো? যখন হলিউড কোন পর্ণকে সামনে এনে দেখিয়েছে? সেটা ছিল ১৯৭২ সাল, ‘ডিপ থ্রট’ নামের একটি চলচ্চিত্র যেখানে প্রথমবারের মত কোন চলচ্চিত্রে লিন্ডা বোরম্যান নামের এক অভিনেত্রী খোলাখুলিভাবে যৌনতা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি কি যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে খুব সহজভাবেই গৃহীত হয়েছিল? মোটেও না। সমালোচনা-সমালোচনায় ভরে গিয়েছিল পুরো সচেতন মহল। আর আন্ডারগ্রাউন্ডের মাফিয়াদের এইটাই ছিল সুযোগ পর্ণ এবং হলিউডের সাথে একাত্বতা গড়ে এগুলোকে ইন্ডাস্ট্রি(কারখানা) বলে স্বীকৃত করার। ১৯৭২ সাল থেকে ৪০ বছর পেরিয়ে গেছে। পরিবর্তন হয়েছে অনেককিছুই।
এখন মনে হচ্ছে, এটা ছিল অন্য সময়, অন্য যুগ। সে সময়টা ছিল যখন পর্ণোগ্রাফি তৈরি এবং পর্ণোগ্রাফিতে যুক্ত হওয়া ছিল একান্তই গোপন বিষয়। কিন্তু এখন আমরা এমন একটা সময়ে এসে পতিত হয়েছি যেখানে এটি ‘ওপেন সিক্রেট’ থেকে ক্রমেই দ্বিধাহীনভাবে ‘সহজ বিনোদন’ হয়ে উঠছে! যে কেউ যেকোন স্থান থেকে কেবল একটা ইন্টারনেট সংযোগের মধ্যমেই যুক্ত হতে পারছে পর্ণোগ্রাফির বিশাল ভান্ডারে যা এক দশক আগেও ছিল অকল্পনীয়। ঠিক এই সময়ে যখন একজন সত্যিকারের পর্ণতারকা মেইনস্ট্রিম সিনেমার জগতে ঢুকে পড়েন এবং তাকে নিয়ে গসিপ শুরু হয় তাহলে তো আপনা-আপনিই আপনার দৈনিক পত্রিকার বিনোদন পাতায় তার জ্বর কত ডিগ্রি তাও ভেসে উঠবে। তার জীবনাচরণ যখন আপনার নাগরিক জীবনের একটা অংশ হয়ে যাবে তখন সেই ‘নিষিদ্ধ’ জগতটাকে আপনি কিভাবে তার থেকে আলাদা করবেন? এটাকে আপনি কি দিয়ে ঠেকাবেন? এবং মজার ব্যপার হল এটিই একমাত্র ইন্ডাস্ট্রি যেটিকে কোন অর্থনৈতিক মন্দাও আক্রমণ করতে পারে না। ঠিক এই জায়গায়ই সানি লিওনের বলিউডযাত্রা আমাদের সমাজ পরিবর্তনের, সামাজিক ট্যাবু পরিবর্তনের নিয়ামক বলেই মনে হচ্ছে যে পরিবর্তনে অন্তর-বাহির নিরঞ্জন একান্তই ছেলেখেলা।
এগুলো কেন হচ্ছে? কেন এরকম হবে এর কোন সোজা-সাপ্টা উত্তর নেই। বলিউডে এখন নিয়মিতভাবেই ১০০ কোটি রুপি আয় করা চলচ্চিত্র রিলিজ হচ্ছে। ১৩০ কোটি মানুষের ইন্ডিয়ায় প্রফিট খোঁজার জন্য কোন ব্যবসায়ীকেই খুব বেশি বেগ পেতে হয় না। আর সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির তো কোন কথাই নেই। তারপরও মনে হচ্ছে মুলধারার শিল্পীদের দিয়ে পূর্ণ বিনোদনের স্বাদটা বের করে নেওয়া যাচ্ছিল না। তাই একজন সানি লিওনকে আনতে হবে। তার সাথে আনতে হবে গোপনে গোপনে প্রযুক্তির কল্যাণে সমাজের রন্ধ্র্যে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়া নিষিদ্ধ ইন্ডাস্ট্রির ট্রানজিট। আমার ফোকাসটা যেহেতু অন্যত্র তাই বিগ বস নিয়ে এখানে কিছু বলছি না। তারপরও দেখুন, দুনিয়াজুড়ে ২৪ ঘন্টার লাইভ রিয়েলিটি শো’গুলোতে কি হচ্ছে। আর কর্পোরেটগুলো কত সহজেই কিভাবে আমাকে আপনাকে জড়িয়ে নিচ্ছে এমন কিছু বোধের জালে যেটা আমরা সচেতনভাবে কখনোই চাই না।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এই দুনিয়ার আশেপাশে ঘুরাফেরা করাটা চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই এই প্রজন্ম নিজেদের অংশ করে নিয়েছে এবং তাদের কাছে এগুলো মনে করার কোন ব্যপারই মনে হচ্ছে না।
পপগুরু, লাভগুরু কিংবা মিডিয়া আইকনরা আমাদের ‘ইন্টারকোর্সে’র স্বাস্থ্যগত দিক নিয়ে হরহামেশাই বলেন। ড্রয়িংরুম ম্যাগাজিনে(ট্যাবলয়েড) আবার টেকনিক্যাল দিক নিয়েও আলোচনা দেখা যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটা বিশাল অংশও আজকাল দখল করে নিচ্ছে এ দিকটি। কিন্তু এসব স্বত্ত্বেও যা ঘটছে তা হল, আমরা আমাদের আবেগ হারাচ্ছি, ঈন্দ্রিয়ের সহজাত উত্তেজনা ভুলে যাচ্ছি এবং প্রয়োজনীয়ভাবে একজন নরের একজন নারীর প্রতি যে অশর্ত ভালোবাসা যা আমাদের পরস্পরের কাছে টেনে রাখে তা হারাচ্ছি। আমরা চলচ্চিত্রগুলোতে যা দেখছি তা কি আমাদের সুখানূভূতিকে ভোতা করে দেয় না? চলচ্চিত্রে আমরা যে দুইজন নরনারীর ‘ইন্টারকোর্স’ দেখি এবং অব্যবহিত পরেই তাদের দূরে চলে যাওয়া তা কি আমরা আমাদের জীবনেও চাই? ভেবে দেখুন তো, যদি আমরা সচেতনভাবে তা না চাই তাহলে এই ফ্যান্টাসি কিংডমের ফ্যান্টাসি আমাদের জীবনকে অসচেতনে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে ভাববার সময় কি এখনই আসেনি?
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×