রাজশাহীতে সাঁওতাল গৃহবধূকে ধর্ষণ করল আলীগ কর্মী
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট, ২০১৫
রাজশাহীর পুঠিয়ায় সাঁওতাল গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে এক আওয়ামী লীগ কর্মী। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। কবিরাজ ভূতের ভয় দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। নরসিংদীর পলাশে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রাজবাড়ীতে ধর্ষণে সহযোগিতা করায় চাচা-চাচির বিরুদ্ধে মামলা করেছে এক কিশোরী। যুগান্তরের প্রতিধিদের পাঠানো খবর-
পুঠিয়া : এক সাঁওতাল গৃহবধূ (২৮) রোববার সকাল থেকে জিউপাড়া বিলমাড়িয়ার বিলে ধানের জমিতে অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করছিলেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ক্লান্ত হয়ে তিনি অদূরে আখ ক্ষেতের পাশে বিশ্রাম করতে যান। সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা আওয়ামী লীগ কর্মী মকুল হোসেন (৩৫) গৃহবধূকে আখ ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তার চিৎকারে সহকর্মীরা ছুটে আসলে মকুল পালিয়ে যায়। পরে ওই গৃহবধূ থানায় অভিযোগ করেন। মকুল হোসেন একই গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে। থানার ওসি শাহরিয়ার খান জানান, ওই সাঁওতাল গৃহবধূ বিলে কাজ করতে গেলে সেখানে মকুল নামে একজন ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
দামুড়হুদা : ৫ মাস আগে জন্ডিসে আক্রান্ত হয় পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী। চিকিৎসার জন্য তাকে ছয়ঘরিয়া গ্রামে আলেফ মুন্সি (৭০) নামে এক ভণ্ড কবিরাজের কাছে নেয়া হয়। চিকিৎসা দেয়ার নামে আলেফ মুন্সি ওই স্কুলছাত্রীকে জিন-ভূতের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য স্কুলছাত্রীকে ভয়ভীতিও দেয়া হয়। ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। শনিবার বিকালে গর্ভধারণজনিত অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎকের কাছে নেয়া হয়। রোববার ধর্ষণের ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। ধর্ষিতার পরিবার দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করে। পুুলিশ রোববার বিকালে আলেফ মুন্সিকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সোমবার চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করে। আরেফ মুন্সি গ্রামের মৃত নয়া মুন্সির ছেলে।
পলাশ (নরসিংদী) : পলাশডাঙ্গা ইউনিয়নের ভিরিন্দা গ্রামের এক কিশোরী (১৪) শনিবার সন্ধ্যায় ঘোড়াশাল যাওয়ার পথে ৭-৮ যুবক রিকশার গতিরোধ করে। তাকে পার্শ^বর্তী জঙ্গলে নিয়ে রাত ১টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে কয়েক যুবক। কিশোরীর পরিবার জানায়, এরা হল- তারেক, ফালু, হানিফ, মোমেন, আমির, আলামিন, জাহাঙ্গীর, খালেক ও সাইফুল। তারা মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বললে ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। কিন্তু ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। স্থানীয় ইকবাল মেম্বার ও জালাল মেম্বার কিশোরীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। জালাল মেম্বার ১ লাখ টাকার বিনিমিয়ে ধর্ষকদের সঙ্গে মীমাংসার প্রস্তাব করে। কিন্তু কিশোরীর পরিবার রাজি না হয়ে বিষয়টি প্রশাসনকে জানায়।
পলাশ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হানিফ ও তারেক নামে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে তারেকের কাছ থেকে মেমোরি কার্ড উদ্ধার করা হয়। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
রাজবাড়ী : সদর উপজেলার বেলগাছি খোসবাড়িয়া গ্রামে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে চাচি হাজেরা বেগম ও চাচা হোসেন আলী মোল্লার বিরুদ্ধে রাজবাড়ী থানায় মামলা করেছে ধর্ষিতা কিশোরী (১৪)। পুলিশ সোমবার চাচা-চাচিকে গ্রেফতার করে। ওই কিশোরী জানায়, বৃহস্পতিবার সে চাচা হোসেন আলীর বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতে চাচি হাজেরা বেগমের সহযোগিতায় অজ্ঞাত ব্যক্তি ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। সে চাচির প্রতিবাদ করলে ও প্রতিবেশীদের জানাতে চাইলে চাচা-চাচি বেধড়ক মারপিট করে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। একপর্যায়ে এলাকার ইউপি সদস্যরা বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেন। তবে রাজি না হয়ে সে ঘটনা পুলিশকে জানায়।
- See more at: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৪৯