somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টোকাই,নারী এবং মাতৃত্ব

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আজ মহাখালীতে গেছি ব্যক্তিগত একটি কাজে। বাচ্ছা একটি ছেলে টোকাই গাড়ির হালকা ধাক্কা খেয়ে ফ্লাই-ওভারের নিচে কাঁটাতাঁরের উপর পড়ে ব্যাথ্যা পেয়েছে চোখে। খুব কান্না করছে ছেলেটি। চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। কেউ এগিয়ে যাচ্ছে না তেমন। হঠাৎ একটি বড় টোকাই এসে তার চোখ মুছে দিচ্ছে। রক্ত বন্ধ করার বৃথা চেষ্ঠা করছে। মনে মনে তখন ভাবলাম যে যে স্তরে সেই শুধু সেই স্তরের ব্যথা বুঝে। আমার নিজের হাতে অনেক জিনিসপত্র তাই দাঁড়িয়ে ভাবছি কি করা যায়। যদিও এগুলো হচ্ছে একদম বাজে রকমের অজুহাত ব্যাক্তির নিজের পক্ষ থেকে। এখন তো হাইকোর্ট কোন আহত ব্যাক্তিকে হাসপাতালে নিলে কোন কারণ জানা ছাড়াই চিকিৎসা দিবে এমন রুল জারি করেছে। হয়ও তাই। এই মানবিক দিকটি বহু আগে হওয়া দরকার ছিল। তাতে আমাদের আরো সাহায্যের সংস্কৃতি গড়ে উঠতো। আমরা উন্নত জাতি হতাম।
বিশ্বজিৎ হত্যার পর এই রুল জারি হয়। বিশ্বজিৎকে কোপানোর পর কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। সেখানে অনেক শিক্ষিত লোক, আমার নিজের গর্বিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো ছিলেনই ,ছিলেন ন্যাশনাল মেডিকেলের অনেক ডাক্তার। সাংবাদিক।
রিক্সাওয়ালা নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। আমার কাছে ঐ রিক্সাওয়ালাই মহান। বাকি সব আমরা ছুটছি অজানা ভালোর পিছনে। যার ভালো কতটুকু আছে আল্লাহই জানে।
যাই হোক আমার আলোচনা ঐ পিচ্ছিটাকে নিয়ে। রক্তাক্ত ঐ টোকাইটিকে আনার জন্যে একটি মহিলা তাঁর ব্যাক্তিগত প্রাইভেটকার থেকে নামলেন। ব্যাপারটি শোনলেন দূরে দাঁড়িয়ে। পরে তাঁর ড্রাইভারটিকে পাঠিয়ে দিলেন তাকে নিয়ে আসতে। এতগুলো মানুষের সামনে ঐ মহিলাটি বাচ্ছাটিকে নিয়ে হাসপাতালে গেছেন। সাথে বড় টোকাইটিকে নিয়ে গেলেন। মহিলার ভেতর আমি বাচ্চার কান্নার সাথে সাথে এমন এক মাতৃত্বের শক্তি দেখেছি যা আমার মায়ের চোখে, বোনের চোখে দেখি মাঝে মাঝে, এমন কি আমার অনেক বান্ধবীর চোখেও দেখি, দেখেছি অনেক অজানা-অচেনা নারীদের চোখে-মুখে। আমি অনেক শক্তিশালী মানুষ। অন্তত মনের দিক থেকে। সহজে কান্না আসে না। কাঁদি না। মুগ্ধ হয়ে গেছি নারীর এই আচরণ দেখে। সারাদিনের অনেক দৌড়াদৌড়ির খারাপ লাগা মূর্হুতেই পানি হয়ে গেল।
পরক্ষণেই ভাবলাম এমন একজন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা আমাদের টাংগাইলে। ভাই কেঁদে বলেছে আর যেন কোন ভাইকে এমন কাঁদতে না হয়। একটি নারী একটি পরিবারকে, একটি মানুষকে, একটি সন্তানকে একটি ভাইকে যেভাবে আগলে রাখে কেউ পারবে না এমন। সমাজকে টিকিয়ে রাখতে , একটি সন্তানের আগামীর জন্যে কত মায়ের, কত নারীর শৈশবে বুনা স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকেছে তার পরিমাণ আকাশ সমান। সেই নারীকে অবুঝের মতো কত কথা বলি ফেইজবুক দেখতে বুঝা যায়। সেখানে আমি কেন না আছি।
আমাদের দেশ স্বাধীন হতে টাংগাইলের(বৃহত্তর ময়মনসিংহ) সাধারণ মানুষের অবদান অনেক বেশি, অন্যদের অবদানকে অস্বীকার করছি না। ১৭ হাজার রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা এবং ৯৩হাজারের মতো সেচ্ছাসেবী মুক্তিযোদ্ধা ছিল কাদেরিয়া বাহিনীতে। যারা দেশের ভেতর যুদ্ধ করেছে। বঙ্গবীরের হাজারটা দোষ থাকতে পারে কিন্তু নারীর ব্যাপারে তাঁর যে শ্রদ্ধা এবং নারী কেলেঙ্কারি থেকে মুক্ত একটি লোক। কেউ তাঁর চরিত্র নিয়ে কথা তুলতে পারবে না।
সেখানে নারীরা অসম্মানিত হলে ব্যথা লাগে।
বাংলাদেশের নারীদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে সেই নারীকে অন্য উচ্চতায় সম্মান জানানো আমাদের নৈতিক দায়ের মধ্যে পড়ে। আমাদের দেশটি স্বাধীনই হয়েছে নারীর প্রতি অত্যাচার, নির্যাতন এবং সহিংতার ক্ষেত থেকে।
আমাদের অন্যদের মতো হলে চলবে না। ভারত,পাকিস্তান,মায়ানমারের মানুষের মতো আমাদের হলে চলবে না। আমরা তো আধুনিক গ্রীস হওয়ার কথা। হতে হবে তাই। আমরা পৃথিবীর অন্যদের আদর্শ এটা মনে রাখতে হবে এবং ধরেও রাখতে হবে।
যাই হোক নারীর এই সাহায্য নারীর প্রতি শ্রদ্ধা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি এমনি থেকেই নারীদের অনেক শ্রদ্ধা করি, শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গেল। নারীটির ছবি তুলিনি পাছে তিনি এগুলোকে লোক দেখানো ভাবেন। তবে আর দেখা না হোক আপনাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি। প্রতিটি নারীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।

আজ মহাখালীতে গেছি ব্যক্তিগত একটি কাজে। বাচ্ছা একটি ছেলে টোকাই গাড়ির হালকা ধাক্কা খেয়ে ফ্লাই-ওভারের নিচে কাঁটাতাঁরের উপর পড়ে ব্যাথ্যা পেয়েছে চোখে। খুব কান্না করছে ছেলেটি। চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। কেউ এগিয়ে যাচ্ছে না তেমন। হঠাৎ একটি বড় টোকাই এসে তার চোখ মুছে দিচ্ছে। রক্ত বন্ধ করার বৃথা চেষ্ঠা করছে। মনে মনে তখন ভাবলাম যে যে স্তরে সেই শুধু সেই স্তরের ব্যথা বুঝে। আমার নিজের হাতে অনেক জিনিসপত্র তাই দাঁড়িয়ে ভাবছি কি করা যায়। যদিও এগুলো হচ্ছে একদম বাজে রকমের অজুহাত ব্যাক্তির নিজের পক্ষ থেকে। এখন তো হাইকোর্ট কোন আহত ব্যাক্তিকে হাসপাতালে নিলে কোন কারণ জানা ছাড়াই চিকিৎসা দিবে এমন রুল জারি করেছে। হয়ও তাই। এই মানবিক দিকটি বহু আগে হওয়া দরকার ছিল। তাতে আমাদের আরো সাহায্যের সংস্কৃতি গড়ে উঠতো। আমরা উন্নত জাতি হতাম।
বিশ্বজিৎ হত্যার পর এই রুল জারি হয়। বিশ্বজিৎকে কোপানোর পর কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। সেখানে অনেক শিক্ষিত লোক, আমার নিজের গর্বিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো ছিলেনই ,ছিলেন ন্যাশনাল মেডিকেলের অনেক ডাক্তার। সাংবাদিক।
রিক্সাওয়ালা নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। আমার কাছে ঐ রিক্সাওয়ালাই মহান। বাকি সব আমরা ছুটছি অজানা ভালোর পিছনে। যার ভালো কতটুকু আছে আল্লাহই জানে।
যাই হোক আমার আলোচনা ঐ পিচ্ছিটাকে নিয়ে। রক্তাক্ত ঐ টোকাইটিকে আনার জন্যে একটি মহিলা তাঁর ব্যাক্তিগত প্রাইভেটকার থেকে নামলেন। ব্যাপারটি শোনলেন দূরে দাঁড়িয়ে। পরে তাঁর ড্রাইভারটিকে পাঠিয়ে দিলেন তাকে নিয়ে আসতে। এতগুলো মানুষের সামনে ঐ মহিলাটি বাচ্ছাটিকে নিয়ে হাসপাতালে গেছেন। সাথে বড় টোকাইটিকে নিয়ে গেলেন। মহিলার ভেতর আমি বাচ্চার কান্নার সাথে সাথে এমন এক মাতৃত্বের শক্তি দেখেছি যা আমার মায়ের চোখে, বোনের চোখে দেখি মাঝে মাঝে, এমন কি আমার অনেক বান্ধবীর চোখেও দেখি, দেখেছি অনেক অজানা-অচেনা নারীদের চোখে-মুখে। আমি অনেক শক্তিশালী মানুষ। অন্তত মনের দিক থেকে। সহজে কান্না আসে না। কাঁদি না। মুগ্ধ হয়ে গেছি নারীর এই আচরণ দেখে। সারাদিনের অনেক দৌড়াদৌড়ির খারাপ লাগা মূর্হুতেই পানি হয়ে গেল।
পরক্ষণেই ভাবলাম এমন একজন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা আমাদের টাংগাইলে। ভাই কেঁদে বলেছে আর যেন কোন ভাইকে এমন কাঁদতে না হয়। একটি নারী একটি পরিবারকে, একটি মানুষকে, একটি সন্তানকে একটি ভাইকে যেভাবে আগলে রাখে কেউ পারবে না এমন। সমাজকে টিকিয়ে রাখতে , একটি সন্তানের আগামীর জন্যে কত মায়ের, কত নারীর শৈশবে বুনা স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকেছে তার পরিমাণ আকাশ সমান। সেই নারীকে অবুঝের মতো কত কথা বলি ফেইজবুক দেখতে বুঝা যায়। সেখানে আমি কেন না আছি।
আমাদের দেশ স্বাধীন হতে টাংগাইলের(বৃহত্তর ময়মনসিংহ) সাধারণ মানুষের অবদান অনেক বেশি, অন্যদের অবদানকে অস্বীকার করছি না। ১৭ হাজার রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা এবং ৯৩হাজারের মতো সেচ্ছাসেবী মুক্তিযোদ্ধা ছিল কাদেরিয়া বাহিনীতে। যারা দেশের ভেতর যুদ্ধ করেছে। বঙ্গবীরের হাজারটা দোষ থাকতে পারে কিন্তু নারীর ব্যাপারে তাঁর যে শ্রদ্ধা এবং নারী কেলেঙ্কারি থেকে মুক্ত একটি লোক। কেউ তাঁর চরিত্র নিয়ে কথা তুলতে পারবে না।
সেখানে নারীরা অসম্মানিত হলে ব্যথা লাগে।
বাংলাদেশের নারীদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে সেই নারীকে অন্য উচ্চতায় সম্মান জানানো আমাদের নৈতিক দায়ের মধ্যে পড়ে। আমাদের দেশটি স্বাধীনই হয়েছে নারীর প্রতি অত্যাচার, নির্যাতন এবং সহিংতার ক্ষেত থেকে।
আমাদের অন্যদের মতো হলে চলবে না। ভারত,পাকিস্তান,মায়ানমারের মানুষের মতো আমাদের হলে চলবে না। আমরা তো আধুনিক গ্রীস হওয়ার কথা। হতে হবে তাই। আমরা পৃথিবীর অন্যদের আদর্শ এটা মনে রাখতে হবে এবং ধরেও রাখতে হবে।
যাই হোক নারীর এই সাহায্য নারীর প্রতি শ্রদ্ধা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি এমনি থেকেই নারীদের অনেক শ্রদ্ধা করি, শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গেল। নারীটির ছবি তুলিনি পাছে তিনি এগুলোকে লোক দেখানো ভাবেন। তবে আর দেখা না হোক আপনাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি। প্রতিটি নারীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:০৯
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×