আজ মহাখালীতে গেছি ব্যক্তিগত একটি কাজে। বাচ্ছা একটি ছেলে টোকাই গাড়ির হালকা ধাক্কা খেয়ে ফ্লাই-ওভারের নিচে কাঁটাতাঁরের উপর পড়ে ব্যাথ্যা পেয়েছে চোখে। খুব কান্না করছে ছেলেটি। চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। কেউ এগিয়ে যাচ্ছে না তেমন। হঠাৎ একটি বড় টোকাই এসে তার চোখ মুছে দিচ্ছে। রক্ত বন্ধ করার বৃথা চেষ্ঠা করছে। মনে মনে তখন ভাবলাম যে যে স্তরে সেই শুধু সেই স্তরের ব্যথা বুঝে। আমার নিজের হাতে অনেক জিনিসপত্র তাই দাঁড়িয়ে ভাবছি কি করা যায়। যদিও এগুলো হচ্ছে একদম বাজে রকমের অজুহাত ব্যাক্তির নিজের পক্ষ থেকে। এখন তো হাইকোর্ট কোন আহত ব্যাক্তিকে হাসপাতালে নিলে কোন কারণ জানা ছাড়াই চিকিৎসা দিবে এমন রুল জারি করেছে। হয়ও তাই। এই মানবিক দিকটি বহু আগে হওয়া দরকার ছিল। তাতে আমাদের আরো সাহায্যের সংস্কৃতি গড়ে উঠতো। আমরা উন্নত জাতি হতাম।
বিশ্বজিৎ হত্যার পর এই রুল জারি হয়। বিশ্বজিৎকে কোপানোর পর কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। সেখানে অনেক শিক্ষিত লোক, আমার নিজের গর্বিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো ছিলেনই ,ছিলেন ন্যাশনাল মেডিকেলের অনেক ডাক্তার। সাংবাদিক।
রিক্সাওয়ালা নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। আমার কাছে ঐ রিক্সাওয়ালাই মহান। বাকি সব আমরা ছুটছি অজানা ভালোর পিছনে। যার ভালো কতটুকু আছে আল্লাহই জানে।
যাই হোক আমার আলোচনা ঐ পিচ্ছিটাকে নিয়ে। রক্তাক্ত ঐ টোকাইটিকে আনার জন্যে একটি মহিলা তাঁর ব্যাক্তিগত প্রাইভেটকার থেকে নামলেন। ব্যাপারটি শোনলেন দূরে দাঁড়িয়ে। পরে তাঁর ড্রাইভারটিকে পাঠিয়ে দিলেন তাকে নিয়ে আসতে। এতগুলো মানুষের সামনে ঐ মহিলাটি বাচ্ছাটিকে নিয়ে হাসপাতালে গেছেন। সাথে বড় টোকাইটিকে নিয়ে গেলেন। মহিলার ভেতর আমি বাচ্চার কান্নার সাথে সাথে এমন এক মাতৃত্বের শক্তি দেখেছি যা আমার মায়ের চোখে, বোনের চোখে দেখি মাঝে মাঝে, এমন কি আমার অনেক বান্ধবীর চোখেও দেখি, দেখেছি অনেক অজানা-অচেনা নারীদের চোখে-মুখে। আমি অনেক শক্তিশালী মানুষ। অন্তত মনের দিক থেকে। সহজে কান্না আসে না। কাঁদি না। মুগ্ধ হয়ে গেছি নারীর এই আচরণ দেখে। সারাদিনের অনেক দৌড়াদৌড়ির খারাপ লাগা মূর্হুতেই পানি হয়ে গেল।
পরক্ষণেই ভাবলাম এমন একজন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা আমাদের টাংগাইলে। ভাই কেঁদে বলেছে আর যেন কোন ভাইকে এমন কাঁদতে না হয়। একটি নারী একটি পরিবারকে, একটি মানুষকে, একটি সন্তানকে একটি ভাইকে যেভাবে আগলে রাখে কেউ পারবে না এমন। সমাজকে টিকিয়ে রাখতে , একটি সন্তানের আগামীর জন্যে কত মায়ের, কত নারীর শৈশবে বুনা স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকেছে তার পরিমাণ আকাশ সমান। সেই নারীকে অবুঝের মতো কত কথা বলি ফেইজবুক দেখতে বুঝা যায়। সেখানে আমি কেন না আছি।
আমাদের দেশ স্বাধীন হতে টাংগাইলের(বৃহত্তর ময়মনসিংহ) সাধারণ মানুষের অবদান অনেক বেশি, অন্যদের অবদানকে অস্বীকার করছি না। ১৭ হাজার রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা এবং ৯৩হাজারের মতো সেচ্ছাসেবী মুক্তিযোদ্ধা ছিল কাদেরিয়া বাহিনীতে। যারা দেশের ভেতর যুদ্ধ করেছে। বঙ্গবীরের হাজারটা দোষ থাকতে পারে কিন্তু নারীর ব্যাপারে তাঁর যে শ্রদ্ধা এবং নারী কেলেঙ্কারি থেকে মুক্ত একটি লোক। কেউ তাঁর চরিত্র নিয়ে কথা তুলতে পারবে না।
সেখানে নারীরা অসম্মানিত হলে ব্যথা লাগে।
বাংলাদেশের নারীদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে সেই নারীকে অন্য উচ্চতায় সম্মান জানানো আমাদের নৈতিক দায়ের মধ্যে পড়ে। আমাদের দেশটি স্বাধীনই হয়েছে নারীর প্রতি অত্যাচার, নির্যাতন এবং সহিংতার ক্ষেত থেকে।
আমাদের অন্যদের মতো হলে চলবে না। ভারত,পাকিস্তান,মায়ানমারের মানুষের মতো আমাদের হলে চলবে না। আমরা তো আধুনিক গ্রীস হওয়ার কথা। হতে হবে তাই। আমরা পৃথিবীর অন্যদের আদর্শ এটা মনে রাখতে হবে এবং ধরেও রাখতে হবে।
যাই হোক নারীর এই সাহায্য নারীর প্রতি শ্রদ্ধা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি এমনি থেকেই নারীদের অনেক শ্রদ্ধা করি, শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গেল। নারীটির ছবি তুলিনি পাছে তিনি এগুলোকে লোক দেখানো ভাবেন। তবে আর দেখা না হোক আপনাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি। প্রতিটি নারীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
আজ মহাখালীতে গেছি ব্যক্তিগত একটি কাজে। বাচ্ছা একটি ছেলে টোকাই গাড়ির হালকা ধাক্কা খেয়ে ফ্লাই-ওভারের নিচে কাঁটাতাঁরের উপর পড়ে ব্যাথ্যা পেয়েছে চোখে। খুব কান্না করছে ছেলেটি। চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। কেউ এগিয়ে যাচ্ছে না তেমন। হঠাৎ একটি বড় টোকাই এসে তার চোখ মুছে দিচ্ছে। রক্ত বন্ধ করার বৃথা চেষ্ঠা করছে। মনে মনে তখন ভাবলাম যে যে স্তরে সেই শুধু সেই স্তরের ব্যথা বুঝে। আমার নিজের হাতে অনেক জিনিসপত্র তাই দাঁড়িয়ে ভাবছি কি করা যায়। যদিও এগুলো হচ্ছে একদম বাজে রকমের অজুহাত ব্যাক্তির নিজের পক্ষ থেকে। এখন তো হাইকোর্ট কোন আহত ব্যাক্তিকে হাসপাতালে নিলে কোন কারণ জানা ছাড়াই চিকিৎসা দিবে এমন রুল জারি করেছে। হয়ও তাই। এই মানবিক দিকটি বহু আগে হওয়া দরকার ছিল। তাতে আমাদের আরো সাহায্যের সংস্কৃতি গড়ে উঠতো। আমরা উন্নত জাতি হতাম।
বিশ্বজিৎ হত্যার পর এই রুল জারি হয়। বিশ্বজিৎকে কোপানোর পর কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। সেখানে অনেক শিক্ষিত লোক, আমার নিজের গর্বিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো ছিলেনই ,ছিলেন ন্যাশনাল মেডিকেলের অনেক ডাক্তার। সাংবাদিক।
রিক্সাওয়ালা নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। আমার কাছে ঐ রিক্সাওয়ালাই মহান। বাকি সব আমরা ছুটছি অজানা ভালোর পিছনে। যার ভালো কতটুকু আছে আল্লাহই জানে।
যাই হোক আমার আলোচনা ঐ পিচ্ছিটাকে নিয়ে। রক্তাক্ত ঐ টোকাইটিকে আনার জন্যে একটি মহিলা তাঁর ব্যাক্তিগত প্রাইভেটকার থেকে নামলেন। ব্যাপারটি শোনলেন দূরে দাঁড়িয়ে। পরে তাঁর ড্রাইভারটিকে পাঠিয়ে দিলেন তাকে নিয়ে আসতে। এতগুলো মানুষের সামনে ঐ মহিলাটি বাচ্ছাটিকে নিয়ে হাসপাতালে গেছেন। সাথে বড় টোকাইটিকে নিয়ে গেলেন। মহিলার ভেতর আমি বাচ্চার কান্নার সাথে সাথে এমন এক মাতৃত্বের শক্তি দেখেছি যা আমার মায়ের চোখে, বোনের চোখে দেখি মাঝে মাঝে, এমন কি আমার অনেক বান্ধবীর চোখেও দেখি, দেখেছি অনেক অজানা-অচেনা নারীদের চোখে-মুখে। আমি অনেক শক্তিশালী মানুষ। অন্তত মনের দিক থেকে। সহজে কান্না আসে না। কাঁদি না। মুগ্ধ হয়ে গেছি নারীর এই আচরণ দেখে। সারাদিনের অনেক দৌড়াদৌড়ির খারাপ লাগা মূর্হুতেই পানি হয়ে গেল।
পরক্ষণেই ভাবলাম এমন একজন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা আমাদের টাংগাইলে। ভাই কেঁদে বলেছে আর যেন কোন ভাইকে এমন কাঁদতে না হয়। একটি নারী একটি পরিবারকে, একটি মানুষকে, একটি সন্তানকে একটি ভাইকে যেভাবে আগলে রাখে কেউ পারবে না এমন। সমাজকে টিকিয়ে রাখতে , একটি সন্তানের আগামীর জন্যে কত মায়ের, কত নারীর শৈশবে বুনা স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকেছে তার পরিমাণ আকাশ সমান। সেই নারীকে অবুঝের মতো কত কথা বলি ফেইজবুক দেখতে বুঝা যায়। সেখানে আমি কেন না আছি।
আমাদের দেশ স্বাধীন হতে টাংগাইলের(বৃহত্তর ময়মনসিংহ) সাধারণ মানুষের অবদান অনেক বেশি, অন্যদের অবদানকে অস্বীকার করছি না। ১৭ হাজার রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা এবং ৯৩হাজারের মতো সেচ্ছাসেবী মুক্তিযোদ্ধা ছিল কাদেরিয়া বাহিনীতে। যারা দেশের ভেতর যুদ্ধ করেছে। বঙ্গবীরের হাজারটা দোষ থাকতে পারে কিন্তু নারীর ব্যাপারে তাঁর যে শ্রদ্ধা এবং নারী কেলেঙ্কারি থেকে মুক্ত একটি লোক। কেউ তাঁর চরিত্র নিয়ে কথা তুলতে পারবে না।
সেখানে নারীরা অসম্মানিত হলে ব্যথা লাগে।
বাংলাদেশের নারীদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে সেই নারীকে অন্য উচ্চতায় সম্মান জানানো আমাদের নৈতিক দায়ের মধ্যে পড়ে। আমাদের দেশটি স্বাধীনই হয়েছে নারীর প্রতি অত্যাচার, নির্যাতন এবং সহিংতার ক্ষেত থেকে।
আমাদের অন্যদের মতো হলে চলবে না। ভারত,পাকিস্তান,মায়ানমারের মানুষের মতো আমাদের হলে চলবে না। আমরা তো আধুনিক গ্রীস হওয়ার কথা। হতে হবে তাই। আমরা পৃথিবীর অন্যদের আদর্শ এটা মনে রাখতে হবে এবং ধরেও রাখতে হবে।
যাই হোক নারীর এই সাহায্য নারীর প্রতি শ্রদ্ধা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি এমনি থেকেই নারীদের অনেক শ্রদ্ধা করি, শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গেল। নারীটির ছবি তুলিনি পাছে তিনি এগুলোকে লোক দেখানো ভাবেন। তবে আর দেখা না হোক আপনাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি। প্রতিটি নারীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:০৯