আবু সাঈদ জিয়াউদ্দিন এর মূল লেখাটি পাবেন এখানে।
কমেন্ট টি বড় বলে পোস্ট আকারে দিলাম।
আমি বাংলা ভাষা বা আপনার লেখার বিরোধী না। তবে আমার কিছু ব্যাক্তিগত মতামত জানাচ্ছি।
২য় প্যারাঃ তিশমার ঐ ধরনের পোশাক, উল্কি আর কথার ধরন হয়তো অনেক দর্শক উপভোগ করেন। টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনের প্রসারের জন্য এটা প্রয়োজন।
সে ছোট হোক বা বড়, আপনি তাকে মাফ করার কেউ না। সে কি আপনার কাছে তার অনুষ্ঠান দেখার জন্য ভিক্ষা চেয়েছে? পছন্দ না হলে আপনি দেখবেন না।
৩য় প্যারাঃ হয়তো ঐ “টক শো” তে অংশগ্রহনকারীরা সত্যিই ভাল/শুদ্ধ বাংলা জানেন না। তবে মনে রাখবেন অধিকাংশ বাংলাদেশীরা আন্চলিকতার(কথাটা একসঙ্গে লিখতে পারলাম না) টানে বাংলায় কথা বলেন। উচ্চারনের বিকৃতির কারনে অনেক ক্ষেত্রে বোঝাই যায় না এটা বাংলা ভাষা কী না।
নিজের দেশে যারা কোন ক্ষেত্র পায়না তাদের অধিকাংশই বিদেশ যায় ভাগ্য ফেরাতে। তবে অনেক দেশপ্রেমীরা ভাগ্য ফেরার পর দেশে ফিরে আসে অথবা বিদেশ থেকেই দেশে সাহায্য করে। টরেন্টোতে কত জন দেশপ্রেমী বাংলাদেশী আছে তা আমার জানা নাই। তবে অনেক কেই জানি যারা গিয়েই সুযোগ বুঝে ইমিগ্রান্ট হবার জন্য আবেদন করছে। তাই টরেন্টোর বাংলাদেশীরাও ঐ “টক শো” এর অংশগ্রহনকারীদের মতো নিজেদের সুশীল আর জ্ঞানী দেখানোর জন্য কথায় কথায় পশ্চিমের উদাহরন আর ইংরেজী শব্দ ব্যাবহার করবে না এমন কোন কথা নাই। তারাও সুশীল আর জ্ঞানী হতে চায়। এবং তারা যে এটা না, আপনার লেখাতেই তার প্রমান।
৪র্থ প্যারাঃ সেন্ড বলা হয় কারন সেন্ড কথাটা মোবাইলে লেখা থাকে। এতে ব্যাবহারকারীর বুঝতে সুবিধা হয়।
৫ম প্যারাঃ চোখ বুজে বিশ্বাস করলাম যে আপনার উল্লেখিত ব্যাক্তিদ্বয় খুব ভাল আর শুদ্ধ ইংরেজী আর বাংলা বলেন এবং একটাকে অন্যের সাথে মেশান না। কিন্তা কতজন বাংলাদেশীরা তাঁদের চেনেন? আমাদের আশেপাশের সাধারন লোকজন যেভাবে বাংলায় কথা বলেন সেটাকে সহজভাবে গ্রহন করতে আমরা অভ্যস্ত।
৬ষ্ঠ প্যারাঃ ব্লগার হোক বা সাধারন মানুষ, যারা ইংরেজী এবং বাংলা মিশিয়ে ব্যাবহার করতে অভ্যস্ত তাদের এই দুই ভাষাতেই তাদের ব্যাবহৃত শব্দ ব্যাবহারের সমান দক্ষতা আছে। তারা জানে কোথায় কোন শব্দ ব্যাবহার করতে হবে। সেটা হোক ইংরেজী বা বাংলা। তারা বাংলাকে অবাজ্ঞা করে না। বরং এটা তাদের জ্ঞানের পরিধির উদাহরন।
৭ম প্যারাঃ এটি সম্পুর্ন আপনার ব্যাক্তিগত ধারনা। বাংলাদেশের কজন অসৎ মানুষ এভাবে কথা বলে? বা যারা অসৎ বা কিছু লুকোতে চায় সবাই কি এভাবে কথা বলে?
এবার ১ম প্যারায় ফিরে গিয়ে এই লেখার ইতি টানছি।
১ম প্যারাঃ এখানে আপনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনুষ্ঠানের মান খারাপ এবং অতিরিক্ত অর্থব্যয়ের কথা বলেছেন। প্রথম চ্যানেল বাদ দিয়ে দ্বিতীয় চ্যানেল নিয়েছেন। এবং দ্বিতীয় চ্যানেলেও অনেক কিছু খারাপ লাগছে। প্রথম লাইনেই লিখেছেন অনেক দিন বাংলাদেশের টিভির অনুষ্ঠান দেখেননি। যখন আবার দেখতে শুরু করেছেন, আপনি আপনার কাংখিত অনুষ্ঠান পাননি। তাই পুরো ব্যাপারটাই “আঙ্গুর ফল টক” এর মতো হয়েছে। আর আপনার এই লেখাটা “আঙ্গুর ফল টক” এর একটি প্রকৃষ্ঠ উদাহরন।
বিঃ দ্রঃ আমার পুরো লেখাটাই আপনার লেখার প্রেক্ষিতে লিখলাম। আপনার প্রতি কোন ব্যক্তি আক্রমন নয়।