মানুষের জীবন চাওয়া পাওয়া কিংবা না পাওয়ার দন্ধে জঠিল আবর্তে ঘূর্ণায়মান এক ব্লাকহোল। যে জীবন মানুষ বয়ে বেড়ায় সে-ও জানে না তার জীবনের পরিণতি কি।মানুষ যে জীবন কে এতোটা ভালোবেসে এক রত্তি সুখের জন্য দিন রাত রক্ত পানি করা পরিশ্রম করে একটু সুখের লাগিয়া অথচ সে জীবনও চলে যায় কতটা নির্দয়ভাবে। ভালোবাসার দেহটাকে নিথর নিস্তব্ধ করে দিয়ে। যে সংসারের সমৃদ্ধির জন্য এতো কষ্ট সেই ভালোবাসার সংসার নিথর দেহটাকে আগলে রাখতে পারেনা, সৃষ্টির নিয়মেই ছূড়ে ফেলে দেয় নির্মমভাবে। একদিন যে সন্তান জন্মের পর আনন্দিত মনের রিনঝিন বিনায় মনের সমস্ত অনুভূতি নেচে উঠে জীবনের তৃপ্তির ঢেকুর উঠেছিল আজ সেই সন্তান কিভাবে নিথর দেহটা কে যত তাড়াতাড়ি দূরে সরিয়ে দেবে সেই চিন্তায় অস্থির হয়ে উঠে।
এতো কিছু জীবনের পরিণতি আমরা দেখি তবু্ও জীবনের প্রতি লোভাতুর হয়ে উঠি। জীবন কে এগিয়ে নেয়ার যত অনুষঙ্গ সংসারে আছে সবকিছুই পাওয়ার জন্য লোভার্ত হয়ে উঠি।
অনেক সময় এতো লোভাতুর হয়ে পড়ি যে আমার জীবনের পরিণতি যে আমার জানা নেই সেটাও ভূলে যায় নির্দিধায়।
অথচ বীপরিতে প্রকৃতি দিকে তাকালে আমরা দেখি প্রকৃতির কোন লোভ নেই হিংসা নেই। নেই কোন জীবনের জঠিল হিসাব নিকাশ। শুধু পথচলা নির্দিষ্ট একটা গন্তব্যের উদ্দেশে। অথচ মানুষ আর প্রকৃতি কত কাছাকাছি কিন্তু জীবন ধারনে যোজন যোজন ব্যবধান।
মানুষের উচিত প্রকৃতির এই শিক্ষাকে নিজের জীবনে ধারণ করা।
বিঃদ্রঃ অনেকদিন পর লিখতে বসেছি কি লিখেছি। ভূল হলে নিজ গুণে মাফ করে দেবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২১