ঘটনাটি আজ ৩ সেপ্টেম্বরের। সময় আনুমানিক বিকেল চারটা কিংবা সাড়ে চারটা। স্পট-চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়। এক তরুণের সঙ্গে কি নিয়ে যেন কথা কাটাকাটি হচ্ছিল ট্রাফিক পুলিশের। মুহুর্তেই উত্তেজিত পুলিশ। তরুণকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে গেল সংলগ্ন ট্রাফিক বক্সে। হু হু করে চারদিক থেকে এসে গেলো বেশ কয়েকজন পুলিশ। ছিল মোটর বাইকে আসা অফিসারও। তরুণটির ওপর প্রথম থেকেই চলছিল বেধড়ক লাঠিপেটা। হামলায় যোগ দিচ্ছিল অন্যরাও। প্রথম থেকে হামলার শিকার তরুণ বলে যাচ্ছিল 'আমি ছাত্র'। পুলিশী বর্বরতার শিকার তরুণটি এক পর্যায়ে নিথর হয়ে পড়ল। শরীরের বিভিন্ন অংশে ঝরছিল রক্ত। পুলিশের এক সদস্য তরুণের রক্ত মেখে নিল নিজের শরীরে। এমন ভাব নিল তরুণটিই যেন তাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে।
ইতিমধ্যে উৎসুক কয়েকজন প্রতিবাদ করলে পুলিশ তেড়ে আসে তাদের দিকেও। প্রতিবাদকারীদের খেতে হলো পুলিশের লাঠিপেটা। এক পর্যায়ে পুলিশের পিকআপ নিয়ে গেল তরুণটিসহ আরও দু'জনকে। পিকআপে তোলার সময়ও থেমে ছিল না পুলিশের লাঠি।
তরুণটি অপরাধী না নিরপরাধ তা জানা গেল না। কারণ উল্লিখিত বর্ণনা এক প্রত্যক্ষদর্শীর। ঘটনাস্থলে থাকলে আমার বিস্তারিত জানার সুযোগ ছিল।
সন্ধ্যায় খুলশি থানায় খবর নিয়ে ৩ তরুণকে আটকের বিষয়ে নিশ্চিত হই। পুলিশ জানায়, ওই তিন তরুণের বিরুদ্ধে পুলিশ এসল্ট মামলার প্রস্তুতি চলছে। তারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা থানার ওসিকে জানাতেই তিনি বললেন, টিআই (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) এর কাছে খবর নিচ্ছি-প্রকৃত ঘটনা কী।
প্রশ্ন হলো, একটি স্বাধীন দেশের কোনো নাগরিককে পুলিশ কী এভাবে নিগৃহিত করতে পারে? হতে পারে সে অপরাধী।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


