somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং অনলাইনে দরপত্র প্রক্রিয়া করণ

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে বিগত দিনে যত দূর্নীতি হয়েছে তার সিংহভাগ হয়েছে সরকারী ক্রয়খাতে অনিয়মের কারনে। দেশের বাষ্টিয় ক্ষমতায় যখন যারা অধিষ্টিত হন কোননা কোন প্রভাবে তারা সরকারের ক্রয়খাতের টেন্ডার প্রক্রিয়াকে সহজ এবং সচ্ছ করেননা। অতি সম্প্রতি সরকারের ক্রয় প্রক্রিয়াকে সচ্ছ করার জন্য "গণ খাতে ক্রয় ২০০৮" নামে একটি আইন করা হলেও টেন্ডার প্রক্রিয়া উন্মূক্ত ও সচ্ছ করার বিষয়ে কার্যকরি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে ঐ আইনে টেন্ডার প্রক্রিয়াকরণে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। তথ্য প্রযুিক্ত ব্যবহার করে কিভাবে প্রকৃত প্রতিযোগিতামূলক দূর্নীতিমূক্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া করা যায় সে বিষয় এবং এর প্রয়োগ পদ্ধতি আলোচনা করছি।
পদক্ষেপ সমূহbr /> ১) প্রতিটি ক্রয়কারী সংস্থা যেমন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপুর্ত অধিদপ্তর ইত্যাদি central procurement cell নামে একটি দফতর প্রতিষ্ঠা করবেন। উক্ত দফতরকে ইন্টারনেট সংযোজিত শক্তিশালী কম্পিউটার দ্বারা সজ্জিত করতে হবে।
২) সহজ এবং সংয়ক্রিয়ভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া করার জন্য একটি উন্নতমানের software তৈরি করতে হবে।
৩) টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করার জন্য পূর্ব যোগ্যতা যাচাই করে ঠিকাদার নির্বাচন করতে হবে।
৪) নির্বাচিত ঠিকাদার প্রত্যেককে central procurement cell এএকটি পৃথক একাউন্ট খুলতে হবে।
৫) প্রতি িঠকাদারের একটি আইডি নম্বর এবং নিজেস্ব গোপন নম্বর থাকবে যা দিয়ে তিনি দরপত্রে অংশ গ্রহন করবেন। ঠিকাদারের নিজেস্ব গোপন নম্বর থাকার কারনে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ছাড়া অন্য কেহ তার নামে দরপত্রে অংশ গ্রহণ করতে পারবেনা, এবং অংশ গ্রহণকৃত দরপত্র ঠিকাদার অস্বীকার করতে পারবেন না।
৬) নাম তালিকা ভূক্তি কালে ঠিকাদার তার হিসাবে একটি নির্দিষ্ট অংকের স্থায়ী জামানত জমা করবেন্। দরপত্রে অংশ গ্রহণ কালে ঠিকাদারকে আর কোন earnest money জমা দিতে হবেনা।
৭) অন লাইন পদ্ধতিতে দরপত্রে অংশ গ্রহণ করার জন্য কোন দরপত্র ক্রয় করতে হবেনা, তবে কোন দরপত্রে অংশ গ্রহণ করলে তার হিসাবে রক্ষিত জমা টাকা হতে দরপত্রে অংশ গ্রহণ করার জন্য যে পরিমান টাকা নির্ধারণ করা হবে সে পরিমান টাকা সয়ংক্রিয়ভাবে কর্তন করা হবে। দরপত্রে অংশ গ্রহণের জন্য ঠিকাদার সময় সময় তার হিসাবে পূর্বেই প্রয়োজনীয় টাকা জমা করবেন।
৮) ক্রয়কারী সংস্থার মাঠ পয্যায়ের অফিস যারা কোন সরবরাহ বা সেবা গ্রহণ করবেন তারা বর্তমানের মত টেন্ডার সিডিউল প্রস্তুত করে সিডি অথবা অন লাইনে central procurement cell এ তা প্রেরণ করবেন। central procurement cell তাদের নিজেস্ব ওয়েব সাইটে তা প্রকাশ করবেনএবং সংশ্লিষ্ট দরদাতা , প্রতিষ্ঠান অনলাইনে দরপত্রে অংশ গ্রহণ করবেন ।
দরপত্রে অংশ গ্রহণ এবং দরপত্র প্রক্রিয়া করণ পদ্ধতি:-
দরপত্রে অংশ গ্রহনেচ্ছুক পূর্বযোগ্যতা সম্পন্ন দরদাতা তার আই ডি নম্বর এবং গোপন নম্বর দিয়ে সংশ্লিষ্ট দরপত্রে প্রবেশ করবেন, দরদাতা অনলাইনে অথবা দরপত্রটি ডাউন লোড করে দরপত্রের যাবতীয় বিষয়াদি এং সকল শর্তাদি জানতে পারবেন । তিনি দরপত্রে অংশ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক হলে বর্তমানের মত দরপত্র সিডিউলের সংশ্লিষ্ট স্থানে তার দর উদৃত করবেন এবং তার গোপন নম্বর দিয়ে (software এ যে ভাবে িনর্দশ করে) নির্দেশিত বাটনের মাধ্যেম দরপত্র প্রেরণ করবেন।
২) central procurement cell এর কম্পিউটারের সার্ভারে প্রেরণকৃত দর সয়ংক্রিয়ভাবে ক্রমান্বয়ে সঞ্চিত হতে থাকবে। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে দরদাতাদের দর উন্মূক্ত করার কোন সূজগ থাকবেনা।
৩) দরপত্র প্রক্রিয়া করণের জন্য একটি কমিটি থাকবে, কমিটির প্রত্যেক সদস্যের একটি গোপন নম্বর থাকবে। দর উন্মূক্ত করার সময় কমিটির সকল সদস্য তাদের নিজ নিজ গোপন নম্বর দিয়ে দর উন্মূক্ত করবেন এবং সাথে সােথ সকল উদৃত দর অন লাইনে প্রকাশ করা হবে যাতে দর দাতাগণ তাৎক্ষনিক ভাবে উদৃত সকল দর পত্যক্ষ করতে পারেন।
এভাবে যোগ্যতম দরদাতা নির্বাচন করা হবে।

এ পদ্ধতির সুবিধা:-
১) দরপত্র সম্পূণৃ ভাবে প্রতিযোগিতা মূলক হবে।
২) দরপত্র প্রক্রিয়াকরণে নাম মাত্র সরকারি ব্যয় হবে।
৩) দরপত্রে অংশ গ্রহণের জন্য দরদাতাদের আর্থি ব্যয়, পরিশ্রম , সময় ইত্যাদি সাশ্রয় হবে।
৪। অংশগ্রহনকারীগণ অতি সহজে দরপত্রে অংশগ্রহন করতে পারবেন।
৫। রাষ্ট্রীয় ব্যয় এবং ব্যক্তিগত ব্যয় প্রচুরভাবে হ্রাস পাবে।
৬। তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহারে দ্রুত প্রসার ঘটবে।
৭। দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড অতি দ্রুত সম্পন্ন হবে।
৮। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
। দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড অতি দ্রুত সম্পন্ন হবে।
৯। প্রতিযোগীতামূলক দর পাওয়ার কারনে উন্নয়ন ব্যয় অনেক কমে যাবে।


মজিবুর রহমান
বিভাগীয় হিসাব রক্ষক
তিস্তা সেতু প্রকল্প
সড়ক ভবন , ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৪৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×