somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রতিপক্ষ কারা? আলেম-উলামা নাকি জামাত-শিবির

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হেফাজতে ইসলামের তীব্র প্রতিবাদের কারনে অবশেষে সংগঠিত হল না বহুল আলোচিত গনজাগরনের চট্রগ্রামের সমাবেশ। এটাকে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করছেন। হেফাজতে ইসলাম বলছে ইসলামের বিজয়, গনজাগরন মঞ্চ বলছে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। তবে যেই যাই বলুক এতে ফা্যদা লুটছে জামাত-শিবির। অবশ্য অনেকে এটাকে গনাজাগরন মঞ্চের জন্য বড় একটা ধাক্কাও মনে করছেন। কারন যে গনজাগরন মঞ্চের কথায় সচিবালয় পর্যন্ত চলে তারা এবার অনেকটা পিছু হটল একটি ইসলামিক অরাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিবাদের মুখে। কিন্তু যত বাধাই আসুক আমাদের প্রাণের দাবী এবং গনজাগরন সমাবেশ প্রতিহতকারী সাধারন আলেম-উলামাদেরও একদাবী যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি। হেফাজতে ইসলাম স্পষ্ট ভাষায় বলে আসছে " আমরা যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি চাই"। তার মানে এই একটি ইস্যুতে সাধারন আলেম উলামা সবাই এক । আর এক হবেই না কেন? আওয়ামিলীগ বা বামপন্থীরা জামাতকে পছন্দ করে না এই কয়েক বৎসর যাবত, তারা কেবল রাজনৈতিক কারনেই তাদের দেখতে পারে না। আমরা বিভিন্ন সময় সরকার বিরোধী আন্দোলনে দেখেছি জামাত -আ্ওয়ামিলীগ একসাথে কাজ করতে। কিন্তু এই সাধারন আলেম সমাজই জামাত-শিবির রে ঘৃনা করে তার জন্মলগ্ন থেকেই, এবং বর্তমানেও করছে ভবিষ্যতেও করবে। যার সিকিভাগও করে না আওয়ামিলীগ। আজকের আওয়ামিলীগ, বামপন্থি, গনজাগরন মঞ্চ জামাত-শিবিরের ব্যাপারে সাধারন মানুষকে কতটুকুই বা সতর্ক করছে? কেবল একটু মিছিল মিটিং এই যা। আর কওমী আলেম উলামার এ ব্যাপারে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সতর্ক করতে কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক সিলেবাসে আলাদা ভাবে একটি বই-ই রাখা হয়েছে, যা ১০০ নাম্বারে পরিক্ষা হয়ে আসছে, যুগ যুগ ধরে কওমী মাদরাসর পঠনের তালিকায়ও রয়েছে। এতটুকুন কে করতে পেরেছে আওয়ামিলীগ, বামপন্থিরা, আজকের প্রজন্ম চত্বরের কেউ? কেউ না, কেউ করবেও না, সবাই এটাকে ভোটের রাজনীতী মনে করছে। একমাত্র কওমী আলেম উলামারাই নিস্বার্থ ভাবে এর জন্মলগ্ন থেকেই ঈমানের তাকিদে সাধারন মানুষকে এদের ব্যাপারে সতর্ক করছে। কিন্তু রাজনৈতিক শক্তি না থাকার কারনে তা জনসম্মুখে আসছে না।
সাধারন আলেম উলামা নেট থেকে দুরে থেকের কারনে ধর্মদ্রোহি, খোদাদ্রোহী, ইসলাম বিদ্বেষীদের ইসলাম নিয়ে ব্লগ গুলোতে কটুক্তি করাটা এতদিন তাদের নজরে আসেনি। তাই এই সুযুগে গোলাপানিতে মাছ শীকারে নেমেছে জামাত-শিবির। তারা সাধারন আলেম সমাজের ধর্ম অনুভূতি কে কাজে লাগাল ১০০ ভাগ। তারা ব্লগ গুলিতে মুক্ত বুদ্ধি চর্চার আড়ালে কি হচ্ছে তা প্রকাশ করে দিল। শুরু হল ক্ষোভ। ক্ষোভটা আরো বাড়ল যখন দেখল শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে এ সমস্ত খোদাদ্রোহীদের। আগুনে ঘি ঢেলে দিল কিছু মিডিয়া। তারা ইসলাম বিদ্বষী এ সমস্ত ব্লগারদের লেখাগুলো প্রকাশ করল। শুরু হল আলেম উলামাদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ। অথচ ঐক্যমত্যের একটি দাবী থেকে দু দিকে সরে গেল দু মেরুর দু বাসিন্দা। মাঝখান থেকে ফায়দা লুটছে জামাত-শিবররা। ধর্মীয় অনুভূতি কে কাজে লাগিয়ে সফল হচ্ছে জামাত শিবিররা। বিপরীতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দুরে সরিয়ে দিল ঐক্যমত্যের একটি দাবী থেকে আলেম উলামাদের। এখন আলেম উলামারাও দেখছেন যুদ্ধাপরাধীদের ফাসির দাবীর আড়ালে রয়েছে নাস্তিক্যবাদের জয়গান। তাই তারাও মাঠে নামছেন বা নামতে বাধ্য হচ্ছেন।
তাই সাধু সাবধান!!
আলেম উলামাদের নিয়ে এই আন্দোলন চালিয়ে যান। তারাই প্রস্তুত আছেন সর্বোচ্চ কুরবানী দিতে। যেমনটা বলেছিলেন হেফজতে ইসলামের গতকালের এক মিটিং এ " শাহবাগ গংরা চট্টগ্রামে আসলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে আসতে হবে"। এমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এই আন্দোলন কোনভাবেই সফল হতে পারে না। তাদের ধর্মীয় অনুভূতির সৎ ব্যবহার করুন। তাদের বুঝাতে সক্ষম করুন ব্লগ মানেই নাস্তিকতা নয়, এ জন্য ধর্মদ্রোহী-খোদাদ্রোহী ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রত্যাখ্যান করুন, তাদের সামাজিক ভাবে বয়কট করুন দেখবেন, আলেম উলামারাই থাকবে গনজাগরন মঞ্চের সামনের কাতারে।



১০টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×