মৃত্যুর পর সব বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ স্বর্গে একসঙ্গে আছেন।
স্বর্গে তো কোনো জ্বালাযন্ত্রণা নেই, তাই আবিষ্কারের কোনো ঝামেলাও নেই।বিজ্ঞানীরা তো আর আরাম
করে বসে থাকতে পারেন না!তখন হঠাৎ বিখ্যাত গণিতবিদ কার্ল ফ্রেডরিক গাউস বললেন, ‘ছোটবেলায় আমাদের পাশের
বাড়িতে মেয়েগুলোকে দেখতাম চোর-পুলিশ খেলত। কিন্তু বাসা থেকে নিষেধ করার কারণে আমি ইচ্ছা থাকলেও ওদের সঙ্গে মিশতে পারতাম না। চলো, এবার আমরা চোর-পুলিশ খেলি।’ সবাই রাজি হলেন।
প্রথম চোর নির্বাচিত হলেন মাইকেল ফ্যারাডে। তিনি একটি গাছের পেছনে লুকালেন এবং এক
থেকে ১০ গুনতে থাকলেন। এর মধ্যে সব বিজ্ঞানী লুকিয়ে পড়লেও নিউটন লুকানোর জায়গা পাচ্ছিলেন না। হঠাৎ করে তাঁর মাথায় কি এল, তিনি মাটিতে এক মিটার দৈর্ঘ্যের চারটি দাগ টেনে একটি বর্গক্ষেত্র বানালেন।
তারপর বর্গটির মাঝে সোজা দাঁড়িয়ে থাকলেন। ১০ গোনা শেষ করে গাছের আড়াল থেকে বের হয়ে এসেই তো ফ্যারাডের চক্ষু চড়কগাছ! নিউটন
সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি চিৎকার শুরু করলেন, ‘নিউটনকে দেখেছি, নিউটন এখন চোর, নিউটন এখন চোর।’ ফ্যারাডের হর্ষধ্বনি শুনে বাকি বিজ্ঞানী ও গণিতবিদেরাও চলে এলেন। নিউটন বললেন, ‘না,
আমি চোর না।’ সবাই তো হতবাক!
স্বর্গে তো কেউ মিথ্যা কথা বলে না। সবাই নিউটনকে চোর হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে বললেন।
নিউটন বললেন, ‘না, আমি চোর না, এই যে প্রমাণ দেখাচ্ছি। আপনারা বলছেন, আমার নাম নিউটন।
তাহলে নিউটন এখন দাঁড়িয়ে আছে এক বর্গমিটার ক্ষেত্রফল জায়গার ওপর। তার মানে তো আমি নিউটন না, আমি আসলে প্যাস্কেল!’ (প্যাস্কেল হলো চাপের
একক। এক বর্গমিটার ক্ষেত্রফলের ওপর এক নিউটন বল প্রয়োগ করা হলে তাকে বলা হয় এক
প্যাস্কেল চাপ)। এবার তো ফ্যারাডের মাথা চড়কগাছ!
:O

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



