somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে ৫টি মুভি আপনাকে ইঞ্জিনিয়ার হতে উৎসাহিত করবে

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ঢাউস কম্পিউটারের সামনে বসে প্রোগ্রাম সলভ করা!
ল্যাবে খাতা আর স্কেল হাতে ছুটাছুটি! একজন
ইঞ্জিনিয়ারের জীবনে এ এক সাধারণ দৃশ্য!
প্যারাময় এই জীবনের মাঝেই লুকিয়ে থাকে নতুন
নতুন সৃষ্টির অদম্য নেশা। বলতে বাঁধা নেই, এই
মানুষগুলোর সৃষ্টির নেশাই আমাদেরকে দিয়েছে
আজকের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর যুগ।
ইঞ্জিনিয়ার হতে ইচ্ছুকদের জন্য Must see পাঁচটি মুভি নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন। সমুদ্রসম
পড়াশুনার মাঝে এই মুভিগুলো শুধু বিনোদনই দিবে না,একজন ইঞ্জিনিয়ারের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাওয়া যাবে এ মুভিগুলোর মাঝে।

যে মুভি সব সময় ইঞ্জিনিয়ারিং লাইফ লিড
করার পথ দেখাবে:--
হ্যাঁ! নির্দ্বিধায় বলা যায়! আর ৫০ বছর পরেও ইঞ্জিনিয়ার
হতে ইচ্ছুকদের প্রিয় মুভি থাকবে থ্রি ইডিয়েটস।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসা তিন বন্ধুর সম্পর্ক নিয়ে এই
গল্প। এই তিন বন্ধুর তিন জনেরই টিপিক্যাল মুখস্থ করা
ইঞ্জিনিয়ার হবার ইচ্ছা নেই।
তারা ট্র্যাক বদলানো কাজ করতে থাকে স্টুডেন্ট
লাইফে। ইঞ্জিনিয়ার না হলেই তুমি যা তা এমন করে ভাবার
দিন শেষ! তেমনই ইঞ্জিনিয়ার হলেই তুমি বিশাল কিছু
সেরকমও ভাবার কিছু নেই! থ্রি ইডিয়েটস মুভিটি
আমাদের উৎসাহ দেয়, আমাদের যা ভালোলাগে তাই
করা।
২০০৯ সালে ভারতে মুক্তি পাওয়া এই মুভিটি সর্বকালের
সেরা আয় করা ছবি হিসেবে খেতাব পায়। আমির খান,
শারমান জোশি, মাধবন, কারিনা কাপুর, বোমান ইরানি বিশাল এক
তারকার সমাহার ছিল এই মুভিতে। আর তাই রাজকুমারি হিরানির ৫৫
কোটি রুপিতে বানানো এই মুভি আয় করে প্রায় ৩৯২
কোটি রুপি!

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনার জীবন খুঁজে
পাবেন যে মুভিতে:--
চৈতন্য ভারতী ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে সদ্য
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসা আটজনের মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব
হয়ে যায়। এই প্রত্যেকটা মানুষের রয়েছে আলাদা
আলাদা বিশ্বাস, আলাদা আলাদা আদর্শ! যদিও ইন্সটিটিউটে
তাদের যাত্রাটা একলাই শুরু হয়েছিল!
কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে তারা একে অপরের খুব
কাছে চলে আসে। একজন টিপিক্যাল ভারতীয়
ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র কেমন হয় সেই গল্প নিয়েই মূলত
নির্মিত হয়েছে তেলেগু মুভি ‘Happy days’।
পড়াশুনার অত্যধিক চাপ, ক্যাম্পাসের প্যারা, বন্ধুদের
সঙ্গে মনমালিন্য, প্রেম- ভালোবাসা, হ্যাংআউট!
ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদের মধ্যে এই সাধারণ
গল্পগুলোই অসাধারণ হয়ে ধরা দিয়েছে এই
মুভিতে।
Happy Days মুভিটি মুক্তি পায় ২০০৭ সালে। আজকের
দিনের মত তখন তেলেগু মুভিতে ছিল না এত ঝা
চকচকে ভাব! তাই মাসালা নয়, নির্মল বিনোদন পেতেই
পারফেক্ট মুভি Happy Days। একদম পরিচিত মুখ দিয়েই
বানানো এই মুভিটি ভারতে আয় করেছিল প্রায় ১৮০
মিলিয়ন রুপি।

যে মুভিতে ইঞ্জিনিয়াররা বীরের
রূপে:--
চৈতন্য ভারতী ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে সদ্য
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসা আটজনের মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব
হয়ে যায়। এই প্রত্যেকটা মানুষের রয়েছে আলাদা
আলাদা বিশ্বাস, আলাদা আলাদা আদর্শ! যদিও ইন্সটিটিউটে
তাদের যাত্রাটা একলাই শুরু হয়েছিল!
কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে তারা একে অপরের খুব
কাছে চলে আসে। একজন টিপিক্যাল ভারতীয়
ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র কেমন হয় সেই গল্প নিয়েই মূলত
নির্মিত হয়েছে তেলেগু মুভি ‘Happy days’।
পড়াশুনার অত্যধিক চাপ, ক্যাম্পাসের প্যারা, বন্ধুদের
সঙ্গে মনমালিন্য, প্রেম- ভালোবাসা, হ্যাংআউট!
ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদের মধ্যে এই সাধারণ
গল্পগুলোই অসাধারণ হয়ে ধরা দিয়েছে এই
মুভিতে।
Happy Days মুভিটি মুক্তি পায় ২০০৭ সালে। আজকের
দিনের মত তখন তেলেগু মুভিতে ছিল না এত ঝা
চকচকে ভাব! তাই মাসালা নয়, নির্মল বিনোদন পেতেই
পারফেক্ট মুভি Happy Days। একদম পরিচিত মুখ দিয়েই
বানানো এই মুভিটি ভারতে আয় করেছিল প্রায় ১৮০
মিলিয়ন রুপি।

যে মুভিতে ইঞ্জিনিয়াররা বীরের রূপে:--
প্রায় সব মুভিই ইঞ্জিনিয়ারিং জীবনের প্যারা কিংবা আকস্মিক
কিছু বানিয়ে ফেলে হুলস্থূল কাণ্ড ঘটিয়ে
ফেললো এমন কাহিনী নিয়ে বানানো হয়। কিন্তু
একমাত্র Apollo 13 মুভিতেই ইঞ্জিনিয়ারদের প্রকৃত
হিরো রূপে দেখানো হয়েছে।
এই মুভির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে আমেরিকার চাঁদে
তৃতীয় অভিযান নিয়ে। সেই অভিযানে অক্সিজেন
সাপ্লাইয়ের অভাবে এবং বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে
চন্দ্রযানে এক বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে।
অভিযাত্রীদের সেই বিস্ফোরণ থেকে
বেঁচে আসার গল্প নিয়েই মুভিটি।
মূল অভিযানের কমান্ডার জিম লভেলের ‘Lost moon’
বইটির উপর ভিত্তি করেই সিনেমার কাহিনী লেখা হয়।
সিনেমায় লভেল চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেতা
টম হ্যাংকস।
১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি ব্লকবাস্টার হিট করে।
৫২ মিলিয়নে নির্মিত মুভি বগলদাবা করে আনে ৩৫২
মিলিয়ন ডলার। বেস্ট সাউন্ড এবং এডিটিং এর জন্য ১৯৯৬
সালে অস্কার পায় Apollo 13।

উইলের সবকিছু ফিরে পাওয়া:--MIT বিশ্বের সব দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়া
ছাত্রদের আরাধ্যভূমি। সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
নিয়ে যারাই পড়াশুনা করছে তাদের জীবনেই
গোপন এক ইচ্ছা থাকে এমআইটিতে পড়ার।
সেই এমআইটিতেই প্রফেসর জেরাল্ড ল্যামবিউ
গ্র্যাজুয়েট ছাত্রদের জন্য গণিতের এক কঠিন
প্রবলেম সলভ করতে বললো। গ্র্যাজুয়েট ছাত্ররা
কেউই এই সমস্যার সমাধান করতে পারলো না।
শেষমেশ এই প্রবলেম সলভ করলো এমআইটির
দ্বাররক্ষী উইল হান্টিং!
উইল ছোটবেলা থেকেই ভীষণ বুদ্ধিমান।
কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়, নিজে নিজেই সে
গণিতের নানা ধারালো বিষয় শিখেছে। প্রফেসর
উইলের এই অদ্ভুত প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়ে
গেল। কিন্তু দুই গ্রুপের মারামারির ফলে উইলকে
জেলে নেওয়া হল।
প্রফেসর তার আন্ডারে ম্যাথ পড়ার শর্তে জেল
থেকে উইলকে বাঁচিয়ে আনলো।
প্রফেসরের সাথে নতুন জীবনে শুরু হল
উইলের যুদ্ধ। জানা গেল তার সব হারানোর গল্প।
ধীরে ধীরে সে হারানো সবকিছু ফিরেও
পেল।
Good Will Hunting ছবিটির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে
উইল হান্টিং নামক ছেলেটার জীবনের উত্থান পতন
নিয়ে। মজার ব্যাপার এই সিনেমার কাহিনী লিখেছেন
দুই জনপ্রিয় অভিনেতা ম্যাট ডেমন এবং ব্লেন
এফ্লেক। তারা দুজনেই এই ছবিতে অভিনয় করেন।
ম্যাট তো উইল চরিত্রটিই করেছেন। এই দারুণ
স্ক্রিনপ্লের জন্য তাদের হাতে অস্কারও উঠে!

ইঞ্জিনিয়ার হতে ইচ্ছুকদের যে মুভি একবার দেখতেই হবে:--
ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার কয়লাখনিতে কাজ করে জন। এই কাজ করেই সে পরিবারের অর্থ যোগান দেয়। কাজটাও সে ভালোবাসে। স্বপ্ন দেখে ছেলে
হোমারও এই কাজ করে অনেক টাকা আয় করবে! কিন্তু
ছেলের স্বপ্ন ভিন্ন।
১৯৭৫ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের Sputnik 1 নামক
রকেট উড়ার খবর পত্রিকায় দেখতে পেয়ে সে
রকেট বানানোর স্বপ্ন দেখে। স্কুলের কিছু বন্ধু
আর সায়েন্স টিচারকে নিয়ে বানিয়েও ফেলে
একটা গ্রুপ।
কিন্তু প্রথম বানানো রকেট উড়লই না, বরং আগুন
জ্বালানোর দায়ে ধরা পড়লো পুলিশের হাতে।
পরিবারের মতের বিরুদ্ধেও সে লেগে
থাকলো কাজে। এক সময়ে হোমার রকেট
বানালো। সে রকেট জিতে আনলে সায়েন্স
ফেয়ারের সেরা পুরস্কারটি।
এমনই এক কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে October Sky
মুভিটি। এই মুভিটি ইঞ্জিনিয়ার হতে ইচ্ছুকদের জীবনে
একবার হলেও দেখা আবশ্যক। ১৯৯৯ সালে নাসার
ইঞ্জিনিয়ার হোমার হিকামের জীবনের কাহিনী
নিয়েই নির্মিত হয়েছে October Sky মুভিটি।
হোমারের লেখা আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস
Rocket Boys থেকে নেওয়া হয়েছে মুভির
কাহিনীটি। একজন ইঞ্জিনিয়ার কখনোই তার কাজে
সাফল্য লাভ করতে পারবে না, যদি না সে অধ্যবসায়ী
হয়। October Sky সেই ইঞ্জিনিয়ারিং জীবনের প্রবল
অধ্যবসায়ের কথা বলে।

তথ্যসূত্র: ইঞ্জিনিয়ারিং ডটকম এবং ওয়ান্ডারফুল ইঞ্জিনিয়ারিং ডটকম,
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৯
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×