১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবে মুসল্মান্দের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে একাধিক রাজ্য গঠনের দাবী তোলেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক।
অখন্ড ভারতের দাবীতে কংগ্রেস সোচ্চার থাকে।মুসল্মান্দের এক্মাত্র প্রতিষ্ঠান মুস্লিম লীগ মুস্লিম রাজ্যের দাবীতে অনড় থাকে।মোহাম্মাদ আলি জিন্নাহ ও শেরে বাংলা মুসলইম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে একাধিক রাজ্যের দাবী জানান,এর মধ্যে পশ্চিম বাংলা ও পুর্ব বাংলা নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়।কিন্তু যে হিন্দুরা বংগভংগ বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল তারাই এবার দাবী তুলল বাংলা মাকে ভাগ করার।অবশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসল্মান দের নিয়ে পাকিস্তান এবং হিন্দুদের নিয়ে হিন্দুস্থান।দুটি ভিন্ন ভাষা ,ভিন্ন সংষ্কৃতি আর ২০০ মাইল দুরবর্তী দুটি এলাকা নিয়ে গড়ে উঠল পাকিস্তান।যা হবার তাই হল।পশ্চিমারা শোষন আর নিপীড়নের ষ্টীম রোলারে পিষতে লাগল সোনার দেশের মানুষগুলকে।সোনার দেশের মুল্যবান সম্পদ নিয়ে পশ্চিমে গড়ে উঠল কলকারখানা।সরকারী চাকুরীতে করা হত বঞ্চিত।এমন কি মাতৃভাষা নিয়ে ঝামেলা পাকালো।দীর্ঘদিনের শোষিত জাতি হয়ে উঠল প্রতিবাদী।বিক্ষোভে আর অসহোযোগিতাইয় স্বাধীনতার সংগ্রামে জেগে উঠল গোটা জাতি।মুসলিম রাষ্ট্রবিরোধী ভারত এ সুযোগের সদ্বব্যাবহার করল।কাশ্মীর নিয়ে ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রতিশোধ নিতে বাংলাদেশকে দিতে লাগল অকুন্ঠ সমরররথন ।১৯৬০ সালে সিন্ধু নদের অববাহিকায় এবং গঞ্জা নদীর অববাহিকায় বাধ নির্মান করতে আরম্ভ করেছিল ভারত।আইয়ুব খান কঠিন ভাবে সিন্ধু নদের অববাহিকায় দেয়া বাধ বন্ধ করেছিল।কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষতির কথা তাদের মাথা ব্যাথার কোন কারন ছিলনা।এর অন্যতম আরেকটি কারন ছিল ভারতের সাথে বাংলাদেশীদের বিরোধ বাধানো যেন তাদের সহযোগিতায় স্বাধীনতা আন্দোলন দানা বাধতে না পারে।১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পশ্চিমা পাকিস্তানের শোষনের হাত থেকে মুক্তি পেল।সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশের সম্পত্তি লুন্ঠনের মহোতসবে মেতে উঠল স্বাধীনতা আনতে সাহায্যের দাবীদার ভারত।তাদের এ লুন্ঠনে বাধা দিতে গিয়ে প্রথম রাজবন্দী হন স্বাধীন বাংলাদেশের ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল।
ভারতের গংগা নদীর অধিকাংশ পানি অপসারন করতে থাকে ।১৯৭৬ সালে প্রায় ৫ লাখ লোকের ফারাক্কা অভিমুখে লং মার্চের ফলে বিশ্ব জনমত জেগে উঠে।প্রচন্ড নিন্দার ফলে ভারত বাংলাদেশের সাথে ৫ বছর মেয়াদী চুক্তি করে।যদিও পরবর্তীতে এ চুক্তির কোন কথাই তারা রাখেনি।শষ্যশ্যামলা বাংলার সবুজের মাঠ শুকিয়ে খা খা করতে লাগল।কলকল শব্দে বয়ে চলা নদীতে চর পড়ল।উত্তর বংগের বিশাল এলাকা হারিয়ে ফেলল তার জীবন রস।
বাংলাদেশের বিপুল পরিমান খনিজ সম্পদের লোভে ভারত ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মতই আচরন শুরু করে।দেশের গ্যাস সম্পদ নেয়ার চেষ্ঠা করেছে অনেকবার।আন্তর্জাতিক আইননুসারে কোন দেশের উপকুল থেকে ২০০ নটিকাল মাইল প্ররযন্ত সে দেশের অর্থনৈতিক জোন হিসেবে বিবেচিত হবে।কিন্তু বাংলাদেশের উপকুল থেকে ২০০ নটিকাল মাইলের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও তালপট্টি দ্বীপ ভারত দখল করে রেখেছে।বাংলাদেশের নোই বাহিনী অনেক বার তালপট্টি দ্বীপের নিকট গ্যাস অনুসন্ধান করতে গেলে ভারত বাধা দেয়।
সম্প্রতি টিপাইমুখ বাধ নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।বাংলাদেশের বিশাল এলাকা পানিশুন্য হবার আশংকা দেখা দিলেও সরকার অজানা কোন কারনে চুপ রয়েছে ।ফারাক্কা বাধের সময় যে সরকার নীরবতা পালন করেছিল এখনকার সরকার তাদেরি উওরসুরী।
এই বাংলার দীর্ঘকালের ইতিহাস আমাদের বলে দেয় এ বাংলার সোনা ফলা ভুমির উপর সবসময় ছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কালো থাবা ছিল।কিন্তু এ মাটির সন্তানরা ততোদিন পর্যন্ত এ মাটির সম্মান ভুলুন্ঠীত হতে দেয় নি যতক্ষন না দেশীয় গাদ্দার মীরজাফর রা নিজ মাকে বিকিয়ে দিয়ে অন্যের দাসত্ব কিনে না নেয়।আবার এ কথাও সত্য সর্বংসহা মাটি নিজ বুকে মীরজাফরদের কখনও ইজ্জত নিয়ে টিকতে দেয়নি।কলংকিত করে তাদের কে চিরস্মরনীয় করে রাখে নিজ ইতিহাসের পাতায়,।
(বানান ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




