আসছে ঝাকে ঝাকে লস্কর।হামলা হবে যখন তখন।ঘাটি গেড়ে প্রস্তুতি নিয়েছে তারা।উড়িয়ে দিবে মার্কিন আর ভারতীয় দুতাবাস।দেশ জুড়ে সতর্ক অবস্থা।গন হারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের।১৯ তারিখ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় হবে।এ জন্যই ৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের মদদে এদেশে লস্কর ই তৈয়বার এদেশে আগমন।
নতুন এই লস্করের আগমনে আমরা সত্যিই আজ নতুন করে আতংকিত।এতদিন যাবত যে এম বি,হুজি,ইসলাম ও মুসলিজে,হিজবুত তাহরীর,শিবির নামগুলো শুনতে শুনতে ইদানীং আর ভয় লাগে না।পত্রিকার কাটিং বাড়ানোর জন্য হোক কিংবা বাস্তবতাই হোক আমাদের কোন ক্ষতি হচ্ছে না দেখে আর মনের অজান্তে শিউরে উঠি না।তাপসের উপর বোমা হামলায় তার কোন ক্ষতি না হলেও বরং কিছুটা উপকারই হয়েছে বলে আমার ধারনা।১৫ দিনের বেশী হয়ে গেলেও এখনো যখন রাস্তায় নব্য গজানো নেতাদের সৌজন্যে ছাপানো পোষ্টার দেখি তখন এই তরুন নেতার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে অনেক বড় কিছুই মনে আসে।
তা যাই হোক ফিরে আসি লস্কর ই তৈয়বার কথায়।মুম্বাই হামলার সময় এ নিয়ে কিছু কথা মাথায় এলেও ততটা মনোযোগ দিতে ইচ্ছে করেনি।এখন দেখি হায় রে লস্কর আমার দেশেও চলে এসেছে।একটু মনোযোগ তো দিতেই হয়।পত্রিকাগুলো খুলতেই মাথার অবস্থা খারাপ হয়ে গেল।পাকিস্তানি তিন জংগির ছবি যারা লস্কর ই তৈয়বার সাথে জড়িত।এর মাঝে একজন আই।ইউ।টির নব্য গ্রাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার সুফিয়ান আজহারী।কিছু সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকা মতে সে একজন সক্রিয় এজেন্ট।এ দেশ থেকে সদস্য নিয়ে পাকিস্তানে পাঠানোই তার কাজ।প্রথম আলো ,সমকাল প্রভ্বরিতি জাতীয় দৈনিকে রিমান্ডে পাওয়া নানা ভয়ঙ্কর তথ্য জানা গেলেও পুলিশ সুত্র মতে তাদের কাছে এখনো কোন তথ্য পাওয়া না যাওয়ায় মামলা করা যায়নি।তিন জন গ্রেপ্তার হলেও আই,ইউ,টির সাবেক ছাত্র সুফিয়ান কে নিয়ে মাতামাতি ,তার ছবি দিয়ে ফলো আপ রিপোর্ট এ বাংলাদেশের একমাত্র ইন্টারন্যাশনার ভার্সিটির মর্যাদাহানি হচ্ছে বলে আমার মনে হয়।বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য ঢাকা ভার্সিটিসহ বিভিন্ন স্বনাম ধন্য প্রতিষ্ঠানে পাওয়া গেলেও সে প্রতিষ্ঠানের নাম তেমন করে সমালোচিত হয় না।আই।ইউ।টির ছাত্র হিসেবে নিজের ভার্সিটির এই বদনাম বড় কষ্ট দিচ্ছে।পলিটিক্যাল ভাবে অনালোচিত দেশের একমাত্র ভার্সিটির নামে এমন কলঙ্ক লেপনের হীন প্রয়াস নিন্দনীয়।
এতদিন জানতাম প্রতিবেশী দেশে জংগীর সরবরাহ এ দেশের বিশেষ উন্নত ট্রেনিংপ্রাপ্ত জওয়ানদের দ্বারা মেটানো হয়।এমন কি ভারতীয় নিরাপত্তা বেষ্টনী নিমিষেই ছিন্ন করে মুম্বাই শহরে সফল হামলার কতিত্ব নাকি এ দেশের বীর জংগী পালোয়ানদের।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এ দেশেই কিনা এত ছোট হামলার জন্য পাকিস্তানী লস্কর ধার করে আনতে হয়??????সরকারের সারা দেশে ছড়ানো আতং বীর জঙ্গীদের হামলা ঠেকাতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও মানুষের যে ভয়ে জান পালানোর অবস্থা তা বলা যায়।দেশের সরকার যেখানে সাহস দিয়ে মানুষ্কে প্রেরনা দিবে সেখানে রিমান্ডে নেয়ার পরের দিনেই পত্রিকাগুলোতে তাদের দেয়া বাস্তব বা কল্পিত তথ্যগুলো মানুষের মধ্যে হতাশা ছড়াচ্ছে তা স ত্যিই দেশের জন্য ক্ষতিকর।এ কথা মনে হয় যে,২-১ দিনের মধ্যেই হয়তো কোথাও বোমা উদ্ধার হবে নয়তো হতাহত ছাড়াই বিস্ফোরন ঘটবে।দেশের সরকার কি তবে দেশের মানুষ্কে আতংকে রাখার জন্যই বদ্ধপরিকর???
আমরা সাধারন মানুষ নির্ভয়ে বাচতে চাই।যদি নিরাপত্তা না দিতে পারেন অন্তত কিছু কিছু বহুল প্রচারিত পত্রিকাগুলোতে আতংক ছড়ানোর দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেয়া হয়,

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




