এদের কে ভয় পাবেন না।ওরা যুদ্বাপরাধী। গনবিচ্ছিন্ন।মানবতা বিরোধী অপরাধীদের জন্য খানিকটা শোক প্রকাশ করার মানুষ ও পাওয়া কঠিন।কারো সময় নেই নিজামী মুজাহিদ সাইদী গং দের কথা চিন্তা করার।
তাই সরকারকে বলছি এদের নিয়ে ভয় পাবার কিছু নেই।অযথা দেশে অরাজকতার ভয় দেখিয়ে মানুশের জীবন দুর্বিসহ করে তুলবেন না।দেশ জুড়ে যে সহিংসতা আর হৃদয় বিদারক কাহিনী প্রতিদিন ঘটে চলছে তাতে মানুষ নিজের উপর থেকে মনুষ্যত্বের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে।গত বছর একাধারে ঘটে যাওয়া প্রেমিক-প্রেমিকাদের নৃশংস কাহিনী গুলোর পর এখন আবার মা সন্তানকে হত্যা করার মত আশ্চর্যজনক ঘটনা গুলো ঘটছে।যদিও এসব ঘটনার পিছনে কোন রাজনৈতিক সংশ্লিস্টতা নেই,কিন্তু ভার্সিটি গুলো নিরীহ ছাত্ত্রদের লাশের ভার অবশ্যই রাজনীতির বাহকদের ঈ বইতে হবে।
আমার মেয়েকে আমি কেন দেশের নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্টানে পড়াতে সাহস পাবনা? কেন আমার ছোট ভাইকে বুয়েটের মত প্রতিষ্টানে আহত হয়ে হাসপাতালে থাকতে হবে?প্রতিদিন পত্রিকা খুলে নিশ্বাস বন্ধ করে থাকি।সাবধানে চোখ বুলিয়ে দেখি কোন ভার্সিটিটে মাঝরাতে সংঘর্ষে কেউ নিহত হল কিনা।কোন গার্মেন্টসে শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষে কেউ মারা গেল কিনা। অত্যন্ত নির্মম হলেও সত্য এসব দেখার পিছনে দেশের শান্তির কথা মোটেও মাথায় থাকেনা ।কেবল ঈ দেখি আমার আপন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হল কিনা?নিজের মাথার উপর পিস্তলের নলের মুখে যখন প্রতিদিন নাম না জানা মুক্তিযোদ্বা সংসদ গুলোর জন্য ত্রিশ না পেরোনো বীর মুক্তিযোদ্বাদের চাদা দিতে হয় তখন অন্যের কথা ভাববার মত উদারতা আমার নেই।
ক্লাস থ্রিতে পড়া আমার ছেলেটির পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্টের জন্য বকা দিতে যেয়ে থেমে যাই বিদ্যুত বিহীন রাতে গরমে পড়তে পড়তে ঘামে ভিজে ঘুমিয়ে যাওয়ার দৃশ্য কল্পনা করে।
তাই সরকারকে বলছি এসব ফালতু মানবতাবিরোধীদের গ্রেপ্তার করে আপনাদের বক্তৃতা স্টেজ হয়তো গরম হতে পারে কিন্তু আমাদের নিরাপত্তার জন্য আতঙ্কিত করার কোন অধীকার আপনা দের নেই।দেশের মানুষ কে শান্তি তে রাখার ওয়াদা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন, পত্রিকার রমরমা খুনের সিরিজ প্রতিবেদন দিয়ে আমাদের মন ভরানোর জন্য নয়।
আমার কেন যেন মনে হয় সরকার নিজেদের বড় অসহায় মনে করছে...জাতির বিবেক পত্রিকা যখন তাদের ব্যার্থতার জন্য দংশন করে তখন তারা জোর করে বিবেক কে দমন করে দেয়।।মেরে পঙ্গু করে দেয় কথা বলা মুখ গুলোকে...দেশের মানুষ শান্তিতে থাকার কথা সেমিনার করে,সংবর্ধনা করে ,মাইক দিয়ে সরকার জানিয়ে দিলেও মানুশ কিন্তু নির্বাচনের ২ বছরের মাথায় বিপুল ভোটে জানিয়ে দিয়েছে সরকার তার কথা রাখেনি।।আর চিটাগং মেয়র নির্বাচনে লজ্জাজনক হারের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে বিরোধি দলের নেতার অসহায় মা স্ত্রীকে পুলিশ দারা পিটিয়ে ঝাল মিটাচ্ছে ।
হটাত করে জামাতের নেতাদের গ্রেপ্তার করাটাও এর ধারাবাহিকতা ছাড়া অন্য কিছু ভাববার অবকাশ নেই।মেয়র নির্বাচনে হারার পিছনে জামাতের শক্ত ভুমিকার কথা সরকারের না জানার কথা নয়।তাই এদের গ্রেপ্তার করে মনের ঝাল মিটানোর চেষ্টা সরকার করতেই পারে।তাতে আমাদের কিছু যায় আসেনা।কিন্তু দেশ জুরে নাশকতার ভয় দেখিয়ে আমাদের জীবন বিষিয়ে তুলবেন না।
নেংটা রাজার সুন্দর পোশাক পড়ে রাস্তায় ঘুরে বেডানো আর ছোট্ট ছেলের সহজ স্বীকারোক্তি ‘রাজা দেখি নেংটা’ এ কাহীনি আমাদের সবার জানা।বর্তমান সরকারের জন্য এমন কোন তুলনা করটা মনে হয় ঠিক না(এর জন্য ফেইস বুকের মত যদি ব্লগ বন্ধ করে দেয়!!?)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




