সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে একদল যুবক হাঁটে
রাতের শেষ অন্ধকারে ছোড়ে নক্ষত্রের মতন সিগারেটের ধোঁয়া
একজন মন্তব্যকষে; ব্রাইট কলার! যেন গোয়ার্নিকা দৃশ্যপটে।
আরেকজন বলে দৃশ্যপটে তোমার গোয়ার্নিকা ক্ষুধার্ত
মধ্যরাতে সে রাসকোলনিকভ হতে চায়; দস্তয়ভস্কির পেটে ছুরি ধরতে
কার্পণ্য করেনা তৃতীয় জন। যা আছে সব দে, শালা
না হয় বাড়িতে পাঠিয়ে দিব একলা।
চতুর্থ জন বলে গাঞ্জা টানতে হবে জানিস; আমার কবিতার উত্তম খাবার
ওই যে পাগলী দেখেছিস সেও খাবার চায়
ডাস্টবিনের ঠোঙায় খুঁজে বেড়ায় পাগলীর প্রাণ- উপরতলার উচ্ছিষ্ট।
পাগলীরে কি দেখিস; ওখানে ছেড়া জামার ফাঁকে ঝুলেপড়ে ঝলসানো বুকের অবশিষ্ট
দেখে মুখ ফিরিয়েনিস কেন; রকেট যৌনতা নেই বলে শিল্পীর হাত নুয়ে পড়বে ?
হঠাৎ যুবকদল আমার কাছে রক্ত চায়; এককাপ রক্ত। ক্যানভাসের তুলিতে
উঠে আসবে আমার রক্তের ভেজা ছাপ; কারণ আমি নাকি শোষক সমাজের শ্রেষ্ঠ
প্রতিনিধি। অতঃপর পাগলী এসে নিক্ষেপ করে উপরতলার উচ্ছিষ্ট;
রক্ষা করে আমায়। যুবকেরা যে যার পথে চলে যায়।
পাগলী হাসে; হাসতে হাসতে চলে যায়। আর বলে-
দিনের মানুষ রাতে কুকুর; রাতের মানুষ দিনে কুকুর।