somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট যেন টেলিটক মোবাইল কিংবা দোয়েল (দুষ্ট লোকে কয় কাউয়া) ল্যাপটপের মতো পরিনতি বরণ না করে।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহ নিয়ে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের প্রচার ও মানুষের আশাবাদ দেখে আমার অবস্থা হয়েছে ঘর পড়া গরুর মতো যে কিনা সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়।

জীবনের প্রথম ল্যাপটপ কিনেছিলাম ইতালিতে ২০০৮ সালে এইচপি ব্রান্ডের; নিজের বৃত্তির ৯০০ ডলার দিয়ে। সেই ল্যাপটপ টিকেছিলও মাত্র ১ বছর। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সরকারি উদ্যোগে ল্যাপটপ বানানোর উদ্যোগ নিলো তখন আশায় বুক বেধেছিলাম যাক আগামী ল্যাপটপটা মেড ইন বাংলাদেশ দেখেই কিনবো। আওয়ামীলীগ সরকারের দোয়েল নামক ল্যাপটপ বাজারে আসার ১ বছরের পূর্বে কর্কশ কণ্ঠি কাউয়া হয়ে যায়। "দেশি পন্য কিনে হনউন ধ্যন" শ্লোগান বুকে ধারণ করে আমি দোয়েল ল্যাপটপ কেনার জন্য আজও পথ চেয়ে বসে আছি। শুনেছিলাম যে দোয়েল ল্যাপটপের প্রজেক্ট উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল লন্ডন প্রবাসী এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে।

একই ভাবে গত বিএনপি সরকারের (২০০১-২০০৬) সময় টেলিটক মোবাইল কোম্পানি যখন প্রথম বাজারে আসে তখন টেলিটকের সিম নিয়ে মানুষের হুমড়ি খাওয়ার কথা মনে আছে? টেলিটকের শেষ পরিণতি?

বাংলাদেশ সরকার ফ্রান্সের কোম্পানির থ্যালেস অ্যালেনিয়ার কাছ থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা দিয়ে একটি কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহ ক্রয় করেছে। বাংলাদেশের পার্সেল পরিবহন কোম্পানি এস এ পরিবহন বা বিদেশি কোম্পানি ডিএইচএল/ফেডেক্স যেমন টাকার বিনিময়ে আপনার মালামাল দেশের ভিতরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে পৌছিয়ে দেয় তেমনি একটি আমেরিকান কোম্পানি স্পেস-এক্স যা টাকার বিনিময়ে কোন দেশ বা কোম্পানির বিভিন্ন প্রকার কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশের বিভিন্ন উচ্চতায় পৌছিয়ে দেয় কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী।

কৃত্রিম উপগ্রহগুলোকে ভূ-পৃষ্ট থেকে কিছু নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৃথবী বা অন্য কোন গ্রহ-উপগ্রহের চার পাশে প্রদক্ষিণ করে বা ঘুরতে থাকে একটি নিদিষ্ট পিরিয়ডে। যেমন, কোন কোন কৃত্রিম উপগ্রহ প্রতি ২৪ ঘণ্টায় আপনি যে শহরে বসবাস করেন সেই শহরের উপর দিয়ে চলাচল করে যেমন করে ঢাকা-রংপুর পথের যাত্রীবাহী কোচগুলো চলাচল করে প্রতিদিন।

ভূ-পৃষ্ঠ থেকে কৃত্রিম উপগ্রহগুলোর দূরত্ব অনুসারে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। লো-আর্থ ওরবিট (লিও) ও জিয়োসিনক্রোনাস ওরবিট (জিয়ো)। লিও স্যাটেলাইট আবার দুই ধরনের। এক ধরনের লিও স্যাটেলাইট উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর উপর দিয়ে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে অন্য ধরনের লিও স্যাটেলাইট দুই মেরুর উপর দিয়ে চলে না। দুই মেরুর উপর দিয়ে চলাচলকারী কৃত্রিম উপগ্রহ গুলোকে পোলার ওরবিটং স্যাটেলাইট বলা হয়ে থাকে। যেগুলো দুই মেরুর উপর দিয়ে চলে না সেগুলোকে বলা হয়ে থাকে নন-পোলার ওরবিটং স্যাটেলাইট। বর্তমান সময়ে প্রায় ১৩০০ লিয়ো ও ৪০০ জিয়ো স্যাটেলাইট পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে।

লো-আর্থ ওরবিট বা লিও কৃত্রিম উপগ্রহগুলো ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার থেকে ৭০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীর চার পাশের ঘুরতে থাকে। পক্ষান্তরে জিও কৃত্রিম উপগ্রহগুলো ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৬০০০ কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থান করে পৃথিবী নিজ কক্ষপথে যে গতিতে ঘুরে সেই একই গতিতে জিও কৃত্রিম উপগ্রহগুলো ঘুরতে থাকে। আপনি তুলনা করতে পারেন যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাম্প্রতিক কালে চালু করা দুই লেনের মহাসড়কে পাশাপাশি একটি বাস ও একটি মোটরসাইকেল একই গতিতে চট্টগ্রাম অভিমুখে চলছে। রাস্তায় কোন ট্রাফিক জাম নাই; ফলে বাস ও মোটরসাইকেলটি একই গতিতে চলবে ও একই সময়ে চট্টগ্রামে পৌছবে।

বাংলাদেশ সরকার যে কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটি কিনেছে ফ্রান্সের কোম্পানির কাছ থেকে সেটি একটি জিয়োসিনক্রোনাস ওরবিট
বা জিয়ো স্যাটেলাইট। বাংলাদেশ সরকার এর নাম দিয়েছে বঙ্গবন্ধু-১। এই কৃত্রিম উপগ্রহটি আগামীকাল ১০ ই মে মহাকাশে বাণিজ্যিক ভাবে কৃত্রিম উপগ্রহ স্হানপন করার চেষ্টা করবে আমেরিকার মহাকাশ যোগাযোগ বিষয়ক বাণিজ্যিক কোম্পানি স্পেস-এক্স। আমেরিকার ফ্লোরিডা রাজ্যের ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৬০০০ কিলোমিটার উঁচুতে প্রতিস্থাপন করার লক্ষে ভূ-পৃষ্ঠ ত্যাগ করবে। উৎক্ষেপণের পরে চূড়ান্ত স্থানে পৌছাতে সময় লাগবে প্রায় ৮ দিন। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটি পাঠাতে বাংলাদেশ সরকারকে স্পেস-এক্স কোম্পানিকে রকেটের ভাড়া হিসাবে ৭০ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৫৬০ কোটি টাকা দিতে হবে।

সরকারের দেওয়া তথ্য মতে বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটিতে ৪০ ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে ২০ বাংলাদেশ ব্যবহার করবে অন্য ২০ টি ট্রান্সপন্ডার বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়া দেওয়া হবে টাকার বিনিময়ে। প্রশ্ন করতে পারেন ট্রান্সপন্ডার কি? ট্রান্সপন্ডার হলও কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহে স্থাপিত একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা ভূ-পৃষ্ট থেকে প্রেরকের পাঠানো তড়িৎ সিগলান গ্রহণ করে তা বিবর্ধিত করে আবারও সেই সিগনাল প্রাপকের কাছে পাঠাতে পারে (Transponder: a device for receiving a radio signal and automatically transmitting a different signal.)। সরকারের তথ্য মতে বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটি ক্রয় করা, সেটি উৎক্ষেপণ করা ও কক্ষপথে স্পেস কেনা বাদ সর্বমোট প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটির জীবন কাল হবে ১৫ বছর। তবে অনেক সময় বিভিন্ন কারণে কৃত্রিম উপগ্রহ পূর্বে নির্ধারিত পুরো জীবনকাল পূরণ করতে পারে না বিভিন্ন কারণে জ্বালানি নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে। আশা করছি বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটি ১৫ বছরই কর্মক্ষম থাকবে।

সরকারের নিতি-নির্ধারকরা বলছে ২০ টি ট্রান্সপন্ডার বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়া দিয়ে মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলার আয় করবে। কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে যাদের সামান্যতম ধারণা আছে তারা সরকারের নিতি-নির্ধারকদের দাবি শুনে মুচকি-মুচকি হাঁসতেছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত নিজে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ বানিয়ে নিজেদের রকেটের মাধ্যমে তা পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করে থাকে। যেহেতু ভারত নিজেই ভূ-উপগ্রহ বানিয় ও তা কক্ষপথে স্থাপন করে তাই এই কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহগুলো বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম খরচ হয়। এখানে উল্লেখ্য যে ভারত মঙ্গলগ্রহে একটি কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ পাঠিয়েছে আমেরিকার ১০ ভাগের এক ভাগ খরচে। এই তো গতবছর ভারত একটি মাত্র রকেটে করে এক সাথে ১০৪ টি কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করেছে। তার মাধ্যে একটা মাত্র কোম্পানি একই সাথে ৮৮ টি কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করেছে। ভারতের সরকারি ও বেসরকারি অনেক কোম্পানির কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ আছে যেগুলো অনেক কম খরচে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের যে নিতি-নির্ধারক ২০ টি ট্রান্সপন্ডার বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়া দিয়ে মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলার আয় করবে বলে আশার বানি শুনাচ্ছে তারা ভারতীয় সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানি গুলোর সাথে প্রতিযোগিতা মূলক বাজারে নিজেদের পণ্য বিক্রয় করতে পারবে কি না? একই কথা প্রযোজ্য সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেও। বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করে অপেক্ষাকৃত কম দামে ক্রেতার কাছে ২০ টি ট্রান্সপন্ডার বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়া দিতে পারবে কি না?

বাংলাদেশের মতো আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার সরকারেরও খায়েশ হয়েছিল নিজের দেশের একটা কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠাবে। ঐ দেশের রাজনীতিবিদরা তাদের দেশের জনগণকে হাই কোর্ট দেখিয়ে বলেছিল উৎক্ষেপিত কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ট্রান্সপন্ডার বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়া দিয়ে মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলার আয় করবে। বাস্তবে দেখা গেছে এক বছরে আয় করে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। মনে করুন দুই বন্ধু একই সাথে একই ব্যবসায় নেমেছে। একজন বাপের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অন্য জন্য ব্যাংক থেকে ১০ -১৫ % সুদে লোণ নিয়ে। লোণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করা ব্যক্তিটি যদি আপনাকে আশ্বাস দেয় যে আমার উৎপাদিত পণ্যটি বাপের টাকা নিয়ে ব্যবসা শরু করা মানুষটির চেয়ে কম দামে বিক্রি করবো তবে তা বিশ্বাস করা কষ্টকর বৈকি।

বিবিসি সংবাদে প্রকাশ আফ্রিকা মহাদেশের ঘানা নামক একটি দেশের ছোট একটা বে-সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ৫০ হাজার ডলার খরচ করে নিজেই বানিয়েছে এক কিউবিক ফুট আকৃতির একটি কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ যাকে কিউবস্যাট বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও এমনি একটি ন্যানো স্যাটেলাইট বানিয়ে ইতিমধ্যেই তা কক্ষপথে পাঠিয়েছে। সুতরাং বলা চলে বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটি বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ নয় সরকারের দাবি অনুসারে।

এবারে অন্য একটি প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করি। বাংলাদেশের মতোই আফ্রিকার অন্য একটি দেশ বিদেশি কোম্পানিকে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ তৈরি করে কক্ষপথে পাঠানোর চুক্তি করে। সেই সাথে ঐ কোম্পানিকে শর্ত দেয় যে ঐ দেশের একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ঐ কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ তৈরি প্রতিটি পর্যায়ে সংযুক্ত করতে হবে ও ট্রেইনাপ করতে হবে। ঐ শর্ত মেনেই সেই বিদেশি কোম্পানি ঐ দেশের জন্য কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ তৈরি করে ও কক্ষপথে পাঠায়। পরবর্তীতে আফ্রিকা মহাদেশের ঐ দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজেই কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ তৈরি যোগ্যতা অর্জন করে ও বর্তমানে নিজ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ তৈরি করতেছে অন্য দেশের জন্য। আফ্রিকার ঐ দেশের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ তৈরির সফলতা নিয়ে দ্যা ইকোনোমিস্ট পত্রিকায় বিশেষ সংবাদ প্রকাশ করেছিল আজ থেকে প্রায় ২ বছর পূর্বে। সেখানে বাংলাদেশ করলো কি পুরো প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের কোন প্রকৌশলী বা বৈজ্ঞানিককে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ তৈরির প্রজেক্টে সংযুক্ত করেছে বলে আজ পর্যন্ত কোন তথ্য জানতে পারি নাই।

একটা কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহের অপারেশনাল লাইফ টাইম হয়ে থাকে ৫ থেকে ১৫ বছর। প্রধানমন্ত্রীর কথা হতে জানতে পেরেছি যে এই কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহের মেয়াদ ১৫ বছর। তার মানে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে আবারও কোন কোম্পানিকে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ তৈরির দায়িত্ব দিতে হবে। আবারও দেশের ৩ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশি কোম্পানির কাছে চলে যাবে।

অথচ আফ্রিকার সেই দেশের রাজনৈতিক নেতা বা পলিসি মেকারদের মতো বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা বা পলিসি মেকাররা যদি দূরদর্শী হতো তবে বুয়েটের ম্যাকানিকাল ও ইলেকট্রিকাল বিভাগের অধ্যাপকদের এই কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ তৈরির প্রজেক্টে সরাসরি ট্রেইনাপ করা সম্ভব ছিলও। এই বিষয়ে আরও অনেক কিছু লিখার ছিলো তবে সময়ের অভাবে আজকে এইখানেই শেষ করলাম। অন্যদিন আরও বিস্তারিত লিখার ইচ্ছা রইলো।

বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটির জন্য শুভ কামনা রইল। আশাকরি বাংলাদেশ সরকারের বঙ্গবন্ধু-১ বাংলাদেশ সরকারের টেলিটক মোবাইল ও দোয়েল ল্যাপটপ প্রজেক্টের মতো মানুষের হাঁসির পাত্র হবে না।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
১৫টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×