somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলা ভাষায় আবহাওয়া বিজ্ঞান চর্চা: পর্ব ১১: বজ্রপাত কি? বজ্রপাত কেন হয়? বজ্রপাত কোথায় হয়? বজ্রপাত কতপ্রকার ও কি কি?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলা সিনেমার চৌধুরী সাহেবের ছেলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী খন্দকার সাহেবের মেয়ের চিরাচরিত ভালবাসার :`> গল্পই হলও আবহাওয়া বিজ্ঞানের ভাষায় বজ্রপাত =p~

বজ্রপাত কি? বজ্রপাত কেন হয়? বজ্রপাত কোথায় হয়? বজ্রপাত কতপ্রকার ও কি কি?

ছবি কৃতজ্ঞতা: হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ

খুব সহজ উত্তর হলও বজ্রপাত হলও ধনাত্মক চার্জ ও ঋনাত্ন চার্জ এর মধ্যে ভালোবাসার (বিদ্যুৎ) আদান-প্রদান। ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জ মেঘের বিভিন্ন উচ্চতায় ও পৃথিবী পৃষ্ঠের কোন স্থানে জমা হতে পারে। কোন স্থানে ধনাত্মক চার্জ সৃষ্টি হলে তার পাশে বিপরীতমুখী ঋণাত্মক চার্জ সৃষ্টি হয় প্রকৃতির নিয়মে (অবশ্যই বিজ্ঞানের নিয়মে)। যেহেতু বিপরীত মুখি চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে ও প্রকৃতি সাম্যাবস্থা পছন্দ করে তাই কোন স্থানে স্বাভাবিক নিয়মে দীর্ঘ সময় ধরে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জ ভারসাম্যহীন অবস্থায় থাকতে পারে না যদি সেই বিপরীতমুখী চার্জ খুবই কাছা-কাছি চলে আসে। একটি শক্তিশালী চুম্বক এর উত্তর মেরু যখন অন্য একটি দুর্বল চুম্বকের দক্ষিন মেরুর কাছাকাছি নিয়ে আসা হয় তখন শক্তিশালী চুম্বকটির আকর্ষণে দুর্বল চুম্বকটিকে নিজের দিকে টেনে নেয় ঠিক একই ঘটনা ঘটে বজ্রপাতের সময়। মেঘ কিংবা ভূ-পৃষ্ঠের যে স্থানে বেশি শক্তিশালী চার্জ জমা হয় সেই স্থান থেকে চার্জ অপেক্ষাকৃত দুর্বল চার্জের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এই শক্তিশালী চার্জ যখন অপেক্ষাকৃত দুর্বল চার্জের খুব কাছাকাছি চলে আসে তখন শক্তিশালী চার্জের আকর্ষণের প্রভাবে দুর্বল চার্জটিও শক্তিশালী চার্জটির দিকে অগ্রসর হতে বাধ্য হয়। দুই বিপরীত চার্জ যখন খুব কাছাকাছি চলে আসে ঠিক তখনই বজ্রপাত ঘটে। অর্থাৎ দুই স্থানের মধ্যে চার্জের আদান প্রদান ঘটে ও দুই স্থান সাম্যাবস্থায় আসে।

বজ্রপাতকে বাংলা সিনেমার নায়ক-নায়িকার মধ্যে প্রেমের প্রস্তাবের সাথেও তুলনা করতে পারেন। নায়ক ও নায়িকার মাধ্বে যার একটু সাহস বেশি সেই প্রথমে অগ্রসর হয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বজ্রপাতের ঘটনাটিও ঠিক তেমনি। ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জ এর মধ্যে যার শক্তি বেশি সেই বজ্রপাত ঘটানোর জন্য প্রথম উদ্যোগ নেয়।



বজ্রপাত সাধারণত ৪ প্রকার:

১) মেঘের ঋনাত্নক প্রান্ত থেকে ভূমিতে অবস্থিত ধনাত্মক প্রান্তের মধ্যে ভালোবাসার আদানপ্রদান (খন্দকার বাড়ির মেয়ে পক্ষ থেকে চৌধুরি বাড়ির ছেলের জন্য বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর সাথে তুলনা করা যেতে পারে)

২) মেঘের ধনাত্মক প্রান্ত থেকে ভূমিতে অবস্থিত ঋনাত্নক প্রান্তের মধ্যে ভালোবাসা আদান--প্রদান (চৌধুরি বাড়ির ছেলে পক্ষ থেকে খন্দকার বাড়ির মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর সাথে তুলনা করা যেতে পারে)

৩) মেঘের মধ্যে অবস্থিত ধনাত্মক চার্জের সাথে মেঘের মধ্যে অবস্থিত ঋনাত্নক চার্জের ভালোবাসার আদান-প্রদান। এই বজ্রপাত আবার ২ প্রকার হতে পারে। একই মেঘের মাধ্বে অবস্থিত দুই বিপরীত মুখি চার্জের কিংবা একটি মেঘের এক প্রকার চার্জের সাথে পাশের মেঘের বিপরীত মুখি চার্জের আদান-প্রদান। (আরও সহজ ভাষায় বলা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলের (মেয়ের) কাজি অফিসে গিয়ে বুয়েটের মেয়েকে (ছেলেকে) বিয়ে করা কিংবা ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া ছেলের নিজ মেডিকেল কলেজের ক্লাসমেট বা জুনিয়র ডাক্তার মেয়েকে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করার সাথে তুলনা করা যেতে পারে)।

৪) মেঘের কিনারা থেকে ধনাত্ন চার্জের বাতাসে অবস্থিত বিপরীত মুখি চার্জের দিকে উদ্দেশহীন ভাবে অগ্রসর হওয়া। (এই প্রকার বজ্রপাতকে তুলনা করা যেতে পারে বাংলা সিনেমার নায়ক বাপ্পারাজের মদের বোতল হাতে নিয়ে নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে রাস্তায় চলতে-চলতে আকাশের দিকে ভালবাসা ছুড়ে মারার সাথে)।


সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২২
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×