নেতাজী সুভাষ বোস বৃটিশ ভারত উপমহাদেশের একজন স্বাধীনতাকামী নেতা ছিলেন এবং মহাত্মা গান্ধীর সাথে একই দল কংগ্রেস করতেন। কিন্তু নীতির প্রশ্নে এই দুই নেতা শেষ পর্যন্ত এক থাকতে পারেন নি। ভাববাদী গান্ধী চেয়েছিলেন শান্তিপুণূ উপায়ে স্বাধীনতার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, আর নেতাজী বাস্তববাদী পথে অগ্রসর হতে গিয়ে ৮৬,০০০ সদস্য বিশিষ্ট 'ইণ্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি' নামে এক বিরাট সেনাবাহিনী গঠন করলেন। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে নেতাজী সুভাষ বোস এটিকে একটা সুযোগ হিসেবে দেখলেন এবং তা কাজে লাগাতে জাপানের সাথে মৈত্রীচুক্তি করলেন। চুক্তি অনুযায়ী জাপান ভারতবর্ষ আক্রমন করে বৃটিশ মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া দখল করে নেয়। এসব ঘটনার মধ্যে ১৯৪৩ সালে জাপানের দখল করা তাইওয়ানে এক বিমান দুর্ঘনায় নেতাজী নিখোঁজ হন এবং বছর দেড়েকের মাথায় জাপানের পরাজয়ের ভেতর দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধও হঠাৎ শেষ হয়ে যায়। জাপানী সেনাবাহিনীর সাথে নেতাজীর ফোর্সও বন্দীত্ব বরণ করে। তারও দেড় বছরের মাথায় ভারত থেকে বৃটিশরাও সবকিছু গুটিয়ে নিজ দেশে পাড়ি জমায়।
যাহোক, যুদ্ধ করেই যে পাক-ভারত স্বাধীন হয়েছিল ঘটনা তা ছিল না। কিন্তু ভারত সরকার ওই 'ইণ্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি'র সদস্যদের এখনো 'মুক্তিযোদ্ধা' হিসেবে সম্মান করে এবং জীবিতদেরকে মাসিক প্রায় ৳২৫০ ডলার বা ২০,০০০ টাকা করে অবসরভাতা প্রদান করে।