২০ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকাল অবরোধের মধ্যেই ঢাকা ও চট্টগাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়ে গেল। নির্বাচনে কোথাও কোনো বড় ধরনের গোলযোগ ছাড়াই, বলতে গেলে সুষ্ঠুভাবেই নির্বাচনও শেষ হলো। আবার ভোটে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে জোট থেকে নির্বাচন বর্জন করা হলেও মেয়র পদ বাদে কাউন্সিলর পদে বহু বিএনপি-জামাত নেতারা ভোটে জিতে এসেছেন। তারা এখন শপথ নেবার অপেক্ষায় আছেন। জোটের নেতারা এখনো বলে যাচ্ছেন, যেহেতু অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়নি, কাজেই তা অব্যাহত আছে। জোটনেত্রী অবশ্য সর্বশেষ বলেছিলেন, ‘যৌক্তিক পরিণতিতে না পৌঁছা পর্যন্ত অবরোধ চলবে।’ ইতোমধ্যে অবরোধের চারমাস অতিবাহিত হয়ে পাঁচমাসে পড়েছে।
যাইহোক, ২০ দলীয় জোটের ডাকা এহেন অবরোধে নেতাকর্মী তো দুরের কথা, আসল নেতারাই মাঠে আসেন নি, আবার বেশিরভাগই বাড়িতেও ছিলেন না। কোথায় ছিলেন তা কেউ জানে না। এ যেন আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দিয়ে নিজে বাড়িতে তালা মেরে অন্যকোনো দিকে চলে যাওয়ার মতো ঘটনা। এ অবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীরা পড়েছেন ভীষণ অস্বস্তিতে। তারা ভেতরে ভেতরে অপমানিত, অপদস্ত এবং বড় নেতাদের প্রতি চরম ক্ষুব্ধ। এখন দাতের কি করতে হবে তারও কোনো দিকনির্দেশনা নেই। তারা হয়তো ভেবেই নিয়েছেন, জোটের প্রথম সারির নেতারা হয়তো ছোট ছোট নেতা ও কর্মীদের মাঠে থাকতে বলে তাঁরা নিজেরা আন্দোলন ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, আর পালিয়ে গেলে তো অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণার প্রয়োজন পড়ে না, বরং সেই প্রশ্নটাই অবান্তর।
আর দেশবাসী এখনো মাস গুণে যাচ্ছে। কেউ জানে না, এই গোণা কবে শেষ হবে!