ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছিলেন শতাধিক মানুষ। যা পুরান ঢাকার মানুষ এখনও ভুলতে পারেন নি।
সেই অগ্নিকাণ্ডের পর পুরান ঢাকা থেকে বিপজ্জনক রাসায়নিক কারখানা এবং গুদাম সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি। ফলে তাদের আবার পড়তে হলো আরেকটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে।
নিমতলীতে রাসায়নিকের আগুনে পুড়ে বহু মানুষের হতাহতের ঘটনার পর চকবাজারে ও একই ঘটলো তার পুণরাবৃত্তি। এখন প্রশ্ন হলো এই সব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সমাপ্তি কোথায়?
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার থানার চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের সামনে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট চারঘণ্টার মতো কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। উক্ত ঘটনায় মোট ৭৮ জনের প্রাণহানি ঘটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘গাড়ির সিলিন্ডার প্রথমে বিস্ফোরণ হয়। তারপর বাম পাশে থাকা এসির ট্রান্সফরমারে এটি হিট হয়। সেখান থেকে হিট হয় ট্রান্সমিটারে। এ আগুনটা ছড়িয়ে পড়ে গাড়িতে। পাশের একটি পিকআপে অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার নেওয়া হচ্ছিল। পুরো সিলিন্ডারগুলো একচোটে বিস্ফোরণ হয়ে পাশের হোটেলে আগুন লাগে। হোটেলে চারটা বড় বড় রান্নার সিলিন্ডার ছিল। ওই চারটা সিলিন্ডার বার্স্ট হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’
রাস্তায় থাকা গাড়িগুলোর সিলিন্ডার বিস্ফোরণ শুরু হয় একে একে, এক গাড়ি থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্য গাড়িতে। আগুনের লেলিহান শিখায় যানজটে আটকে থাকা মানুষগুলো কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রাণ হারায়। নিমিষেই চুড়িহাট্টা মোড় হয়ে ওঠে মৃত্যুকূপ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভবনের চেয়ে রাস্তায় থাকা মানুষই প্রাণ হারায় বেশি। প্রথমত গাড়ীর গ্যাস সিলিন্ডার, দ্বিতীয়ত ভবনে থাকা রাসায়নিক দ্রব্য আর সবশেষ পুরান ঢাকার অপরিকল্পিত সরু গলিপথই আগুনকে দিয়েছে দানবের রূপ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১০