যখন কে্উ তার পোষা কুকুরের গলায়
"রাজাকারের ফাঁসি চাই" প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে
বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় সারা রাজপথ
তখন তোমাদের গৃহযুদ্ধের হুমকি বড্ড অসাড় মনে হয় ।
যে শিশু তার প্রিয় খেলনা ফেলে
হাতে তুলে নেয় জাতীয় পতাকা,
বুকে পিঠে যার ফাঁসি চাই- ফাঁসি চাই দাবী।
রৌদ্র- শীত উপেক্ষা করে
অবিরাম খেলে যাচ্ছে্ ইদানিং প্রিয় হয়ে ওঠা রাজাকার রাজাকার খেলা
তার নিষ্পাপ চাওয়ার কাছে
তোমাদের ঐসব প্রতিরোধ বড় বেশি ঠুনকো মনে হয়।
যে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা ক্ষোভে, অভিমানে
এতদিন চুপচাপ জীবন বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল সবকিছু থেকে নিভৃতে
সে যখন আবার নির্বাক চোখে
মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে সামিল হয় গণজোয়ারে
মনে হয়, হ্যা, এবার সময় হয়েছে।
গুলশানের যে তরুণ কখনো শাহবাগ দেখে নি
ঠিকমতো বাংলায় কথা বলতে পারে না
সে যখন খুব স্পষ্ট করে " জয়বাংলা" বলে চিৎকার করে ওঠে
একজন রিক্সাওয়ালা লুংগির গোছা থেকে দলিত-মথিত দশ টাকা
বের করে দিয়ে যখন বলে ওঠে "আমিও ওগোর বিচার চাই"
বিলম্বিত বোধদয়ের সুতীব্র আহবানের কাছে
কিছুই তখন আর এর চেয়ে সহজ, সরল মনে হয় না।
রাজাকারের ফাসিঁই তখন হয়ে ওঠে
পৃথিবীর একমাত্র সহজতম কাজ।