প্রিয় ব্লগার,
শুভেচ্ছা নিন। আর অল্প কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া। সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে দলগুলোর ইশতেহার নিয়ে, ভবিষ্যত কর্মকান্ড নিয়ে, জনগনের চাওয়া পাওয়া নিয়ে। ক্ষমতায় গেলে কে কি করবেন সে নিয়েও অনেকেই ভাবছেন। মত প্রকাশ এবং যৌক্তিক আলোচনার ক্ষেত্রে ব্লগাররা সমাজের গুরুত্বপূর্ন একটি অংশ। তাই ব্লগারদের কাছ থেকে এই বিষয়ে সার্বিক আলোচনা প্রত্যাশা করছি।
যিনি সবচেয়ে ভালো ইশতিহার লিখবেন, যার লেখায় জনগনের প্রকৃত চাওয়া পাওয়া ফুটে উঠবে তাঁর জন্য রয়েছে বিশেষ পুরুষ্কার। মনে রাখবেন, নুন্যতম ৫টি পয়েন্ট থেকে সর্বোচ্চ ২০টি পয়েন্টের মধ্যে আপনাকে আপনার ইশতিহার লিখতে হবে। এই পোষ্টে মন্তব্য আকারে কোন ইশতেহার গ্রহনযোগ্য হবে না। তবে পোষ্ট করে তার লিংক এই পোষ্টে মন্তব্যের ঘরে দিতে হবে। ইশতেহার প্রকাশ করার শেষ তারিখঃ ২৭ তারিখ।
আমি আমার ব্যক্তিগত কিছু চাওয়া এবং দাবি নিয়ে এই সংক্রান্ত প্রথম পোষ্ট দিচ্ছি।
নির্বাচন নিয়ে আমার ভাবনা এবং কিছু চাওয়াঃ
গ্রামে যখন দুই দলের মধ্যে খেলা হয়, শক্তিশালী দল যতই গোল করুক না কেন, দুর্বল দলটা সামান্য চেষ্টা করলেই মানুষ তাদেরকেই সাপোর্ট দেয়া শুরু করে। কারন আমাদের অঞ্চলের মানুষ অতি শক্তিশালী কোন অস্তিত্বকেই স্বেচ্ছায় মেনে নিতে চায় না। মানুষ পরিবর্তন চায়। এই পরিবর্তন ১০ বছর আগেও চেয়েছে আজকে দশ বছর পরেও চাচ্ছে এবং আগামী পাঁচ বছর পরেও পরিবর্তন চাইবে। এখানে অস্বাভাবিক কিছু নাই। এটাই বাংলাদেশের মানুষের আবেগ। এটাই বাংলাদেশের মানুষ সংস্কৃতি।
আমার ইশতেহারঃ
১। যে কোন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবারের বেশি সরকার প্রধান হতে পারবেন না
২। সকলের মতামতের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংরক্ষন, সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে রাজনীতির উর্দ্ধে রাখা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান নিশ্চিত করা।
৩। আন্তর্জাতিক বাজারকে কেন্দ্র করে কর্মমূখী শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করা।
৪। রাষ্ট্রের নির্বাহী অঙ্গসমূহ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করে তার অধীনে দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ বিভাগকে দেয়া।
৫। কৃষকদের সহজ শর্তে প্রশিক্ষন, বিনা জামানতে ঋণ প্রদান এবং মধ্যস্বত্ত ভোগীদের দৌরাত্য বন্ধ করা।
৬। দেশের পর্যটন শিল্পকে উন্নত করার লক্ষ্যে জনগনকে সচেতন করা এবং পদক্ষেপ গ্রহন করা।
৭। গ্যাস, তেল এবং বিদ্যুৎ খাতে অপচয় রোধে প্রিপেইড সিস্টেমকে আরো দ্রুত কার্যকর করা।
৮। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা এবং আইন ও বিধিমালা সহজ করা।
৯। জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সাহায্য নিশ্চিত করতে হবে।
১০। যোগাযোগের ক্ষেত্রে রেলপথকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে।
এই গুলো আমার চাওয়া, দাবি বা ইশতিহার! জলদি আপনারাও লিখে ফেলুন আপনাদের ইশতিহার!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬