অ আ ই ঈ থেকে শুরু করে ডিগ্রী/অনার্স/মাষ্টার্স/বি.বি.এ/এম.বি.এ/ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার/শিক্ষক / সাহিত্যিক ইত্যাদি তথা আরো কতই না পেশাজীবি মানুষ তৈরী হয় আমাদের সমাজে।সবার ই শিক্ষাব্যবস্থা শুরু বর্ণমালা থেকে তারপর পাঠশালা, বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে চলতে থাকে। কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবেছি যে আমাদের এই তথাকথিত শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের কি শেখাচ্ছে?আমরা অধিকাংশ মানুষ কি জানার জন্য শিখছি ? আমার উত্তর “না”। প্রথমত আমরা লেখাপড়া শিখি একটি ভাল চাকুরীর জন্য অথবা জীবনটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্য। আমাদের দেশে যে পরিমান শিক্ষার্থী রয়েছে ঐ পরিমান ভাল স্কুল নেই, নেই পর্যাপ্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। আর গতানুগতিক এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শুধু মুখস্ত বিদ্যায় তোতা পাখির মত বুলি শেখানো হয়। যার অধিকাংশ ই বাস্তব ক্ষেত্রে কখনো ই কাজে লাগে না। এসব কারনে ৫ম শ্রেণী পাশ করার আগেই অনেকের লেখাপড়ার ইতি ঘটে যারা টিকে থাকে তারা ও ঝরতে থাকে এস.এস.সি, এইচ.এস.সি এবং সর্বশেষ ডিগ্রি অথবা অনার্স পর্যায়ে। যাদের লেখাপড়া মাঝ পথেই থেমে যায় তাদের জন্য কারোই কোন মাথা ব্যথা নেই, নেই তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার কোন উদ্যোগ। তারা যে এদেশের জঞ্জালে পরিণত হচ্ছে এটাও কারো ভাবার অবকাশ নেই।আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা টাই একরকম বিজাতীয় ধরনের একঘেয়ে। মাষ্টার্স পর্যন্ত যেতে যেতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পড়ার প্রতি একটা বিরুপ ভাব চলে আসে। অথচ “প্রমথ চৌধুরী” তার বই পড়া প্রবন্ধে বলেছিলেন লেখাপড়া হতে হবে আনন্দের সহিত, যেন শিক্ষার্থীর হৃদয় পর্যন্ত সেটা পৌছতে পারে। কিন্তু এই শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীর হৃদয়ের দরজার সন্ধান আজো পেয়েছে কি না তা প্রশ্নাতীত। তার পর ও অনেক শিক্ষার্থী স্কুল কলেজের আঙিনা পেরিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। কিন্তু এই পর্যায়ে ও এই ব্যবস্থা নাকাল। শিক্ষক রাজনীতি, ছাত্র রাজনীতি ও বিভিন্ন শিক্ষাবহির্ভূত কার্যক্রমের ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার চরম আকার বিদ্যমান হচ্ছে। আর কয়েকশত শাখা বিস্তারকারী এবং লাখ শিক্ষার্থীর জীবন ধ্বংশকারী বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়”। যেখানে পড়ালেখা কোন সিস্টেমের মধ্যে পড়ে না। চার বছরের অনার্স, সাত বছরে ও উনারা শেষ করতে পারে না। অথচ প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা (একই সময়ের) ততদিনে মাস্টার্স শেষ করে ফেলে। পরিশেষে আমি বলতে চাই এই শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যপক উন্নয়ন দরকার। * প্রথমত কারীগরি শিক্ষার উপর জোর দিয়ে যে সব শিক্ষার্থীর লেখাপড়া মাঝ পথে শেষ হয়ে যায় তাদের কে সম্পদে পরিণত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। * দ্বিতীয়ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা যে শিক্ষাকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারে সেই পরিবেশ তৈরী করতে হবে। * তৃতীয়ত শিক্ষক রাজনীতি ও ছাত্র রাজনীতির মত শিক্ষাবহির্ভুত কাজ শিক্ষাঙ্গনে প্রয়োগ না হয় সেই দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। চতুর্থত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক, সময়োপযোগী এবং সেশন জট মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। * কারিগরী শিক্ষার জন্য পৃথক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলে হয়ত যে সকল শিক্ষার্থীরা মাঝ পথে তথাকথিত শিক্ষাব্যবস্থার রশি ধরে ঝুলে থাকতে না পারে তারা আর জঞ্জালে পরিণত হবে না।
ক্যারাভান-ই-গজল - তালাত আজিজ
ভারতীয় অন্যতম গজল শিল্পীদের তালিকায় তালাত আজিজের নাম অবশ্যই থাকবে বলে আমার ধারনা। তার বেশ কিছু গান আমার শোনা হয়েছে অনেক আগেই। জগজিৎ সিং, পঙ্কজ উদাস ও গুলাম আলী সাহেবের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ওহাবী-সালাফি-মওদুদীবাদ থেকে বাঁচতে আরেকজন নিজাম উদ্দীন আউলিয়া দরকার
১.০
ঐতিহাসিক জিয়া উদ্দীন বারানী তার তারিখ-ই-ফিরোজশাহী বইতে শায়েখ নিজাম উদ্দীনের প্রভাবে এই উপমহাদেশে জনজীবনে যে পরিবর্তন এসেছিল তা বর্ণনা করেছেন। তার আকর্ষণে মানুষ দলে দলে পাপ থেকে পূণ্যের পথে যোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন
এই ৩০ জন ব্লগারের ভাবনার জগত ও লেখা নিয়ে মোটামুটি ধারণা হয়ে গেছে?
গড়ে ৩০ জনের মতো ব্লগার এখন ব্লগে আসেন, এঁদের মাঝে কার পোষ্ট নিয়ে আপনার ধারণা নেই, কার কমেন্টের সুর, নম্রতা, রুক্ষতা, ভাবনা, গঠন ও আকার ইত্যাদি আপনার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
আর্তনাদ
গতকাল রাত থেকে চোখে ঘুম নাই। মাথার ব্যাথায় মনে হচ্ছে মাথার রগগুলো ছিঁড়ে যাবে। এমনিতেই ভাল ঘুম হয়না। তার উপর গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে উচ্চস্বরে এক ছাগলের আর্তনাদ।... ...বাকিটুকু পড়ুন
মন তার আকাশের বলাকা || নিজের গলায় পুরোনো গান || সেই সাথে শায়মা আপুর আবদারে এ-আই আপুর কণ্ঠেও গানটি শুনতে পাবেন :)
ব্লগার নিবর্হণ নির্ঘোষ একটা অসাধারণ গল্প লিখেছিলেন - সোনাবীজের গান এবং একটি অকেজো ম্যান্ডোলিন - এই শিরোনামে। গল্পে তিনি আমার 'মন তার আকাশের বলাকা' গানটির কথা উল্লেখ করেছেন। এবং এ... ...বাকিটুকু পড়ুন