somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফুলের বদলে ছাতা!!!!!(বিয়েটা শীঘ্রই না করলেই নয়)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পরিণত বয়সে অবিবাহিত থাকার অনেকগুলো ডিজ-অ্যাডভ্যাণ্টেজ বিষয়ের একটা হলো প্রিয় বন্ধুদের বা অফিসের কলিগদের নানারুপ ঠাট্রা মশকরা জাতীয় কথা হজম করা।যেমন বিয়ে করছেন না কেন?কবে বিয়ে করবেন?কবে আপনার বিয়ে খাব?অফিসে নতুন কোন আবিবাহিত সুন্দরী মেয়ে জয়েন করলে তার সাথে জড়িয়ে নতুন নতুন বাক্যবানে জর্জরিত করা।যাই হোক এমনই একজন নতুন মেয়ে কলিগ অফিসের আমার গাড়িরই যাত্রী।ধরা যাক তার নাম ‘ক’।
অফিসের কলিগের একজনকে আফিসের আমরা সবাই মামা ডাকি।উনি খুব মজার একজন মানুষ এবং আমার খুবই প্রিয়।সেই মামার সাথে অফিসের একই গাড়িতে প্রতিদিন আমার আসা যাওয়া আর মজার সময় পার করা হয়।আজ অফিসের গাড়ির জন্য রাস্তায় দাড়িয়ে আছি।গাড়ি আসতে চার মিনিট লেট।ব্যাস এই চার মিনিটেই বৃষ্টি যা করার করলো।আমার করার কিছুই ছিলো না।কোনমতে ছাতা মাথায় দিয়ে মাথাটা ভেজার হাত থেকে রক্ষা করলাম।গাড়িতে উঠার পর টের পেলাম হাটুর নিচ থেকে পুরো ভেজা।
অফিসের গাড়িতে আমরা ১৪ জন যাত্রী।এর ভিতরে ৩ জন নারী।প্রতিদিন যাওয়া আসার সময়টা মজা করতে করতেই কেটে যায়।নারীদের ভিতর থেকে সেই ‘ক’ খিলগাও থেকে উঠেন।আজও উঠলেন।কিন্তু আজ দিনটা একটু ভিন্ন।প্রচন্ড বৃষ্টি।‘ক’ কোন রকমে ছাতা মাথায় দিয়ে তাড়াহুড়ো করে গাড়িতে উঠে বসলেন।ছাতাটা কোন ভাবেই বন্ধ করতে পারছেন না।হাতে ছাতা থাকায় গাড়ির দরজাও টান দিয়ে বন্ধ করতে পারছেন না।যেহেতু ‘ক’ এর ঠিক পিছনেই আমি বসি তাই সৌজন্যতা বশত গাড়ির দরজা আমি নিজেই লাগিয়ে দিলাম।এখন ছাতা উনার সাথে ভালো রকম বেইমানী শুরু করলো।কোন ভাবেই উনি ছাতা বন্ধ করতে পারলেন না।শেষ পর্যন্ত ব্যার্থতা মেনে খানিকটা লজ্জিত হয়ে আমার দিকেই ঠেলে দিলেন।যেই মেয়ের ফুল বাড়িয়ে দেয়ার কথা সে বাড়িয়ে দিলো ছাতা!!!ভাগ্যের কি পরিহাস!!একই গাড়িতে চলাফেরা করা সত্তেও ‘ক’ এর সাথে কখনো কথা বলা হয়ে উঠেনি(চোরের মনে পুলিশ পুলিশ)।অবিবাহিত হওয়ার কারণে এই ধরনের কলিগের সাথে কথা বলতে কিছুটা সঙ্কোচ বোধ হয়।তাছাড়া কথা বললেও অন্যান্য পুরুষ কলিগরা হাসি ঠাট্রায় মেতে উঠতে পারে।তাই হঠাত আমার দিকে ছাতা ঠেলে দেয়ায় খানিক বিব্রত হলাম।‘ক’ এর ছাতা বন্ধের কসরত দেখে বোঝা যাচ্ছে ছাতাটায় ভালোই জ্যাম লেগেছে।ভয়ে আছি আমি বন্ধ করতে পারবো কিনা!!না পারলে তো বিশাল এক কাপুরুষত্বX(( হয়ে যাবে!!তবে দ্রুতই নিজেকে সামাল দিয়ে ছাতা হাতে নিয়ে কয়েকবারের চেষ্টায় বেয়াদপ ছাতা টাকে বশে আনলাম।মনে মনে ছাতাটাকে ধন্যবাদ জানালাম কাপুরুষত্বের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য।কিন্তু এই সামান্যতেই সেই মামা(উনি আমার সাথে ‘ক’ কে জড়িয়ে বেশ ভালোই মজা করেন)আমার পিঠে থাবা দিয়ে জোর গলায় সবাইকে শুনিয়ে বলে উঠলেন আপনাকে দিয়েই হবে!!!কলিগের উপর এমন রাগ উঠলো!!(যদিও কথাটা শুনতে বেশ ভালোই লেগেছিলো)আমাকে দিয়ে না হয় হইলো সেটা কি ‘ক’ কে শুনিয়ে বলতে হবে?তারচেয়ে ভয়াবহ কথা বললেন উনি গাড়ি থেকে নামার সময়।কথাটা এইরূপ ‘দোয়া করি ভবিষ্যতে যাতে উনি গোপন আরো অনেক কিছু আপনাকে দিয়ে লাগিয়ে নিতে পারে’।
বিঃদ্রঃ কথাটা শোনার পর থেকে এখনো মাথাটা ভোঁ ভোঁ করতেছে।বিয়েটা শীঘ্রই না করলেই নয় B-)B-)B-);););)
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রফেসদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×