ইসরাইলের আসলে নতুন করে কোন চমক দেখানোর আপাতত আর কিছুই নেই। ১৯৫০-১৯৭০ এ সময়কালে পশ্চিমাদের সরাসরি সহায়তায় ফিলিস্তিনীদের সব এলাকা দখল করে বেশ এলেম তারা দেখিয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক এ প্রক্রিয়ায় মার্কেট স্যাচুরেশন বলে যে কথাটা আমরা শুনি সেটাই ঘটে গেছে। এখন ইসরাইলকে তার আসে পাশের সব আরব ভুখন্ড দখল করতে হবে যদি নতুন করে চমক দেখাতে হয়।
এবার কি ইসরাইল সেরকম কিছু একটা করে ফেলবে?
৬০ লক্ষ ইহুদি নিধনের পরও যেহেতু ইহুদি জাতি বহাল তবিয়তে আছে, সেহেতু ফিলিস্তিনীরাও টিকে থাকবে। যদি এ যাত্রা লক্ষাধিক ফিলিস্তিনীও মৃত্যুবরন করে তবুও তারা টিকে থাকবে। অবশ্য গাজায় পরমানু বোমা ব্যাবহার করলে তা ভিন্ন কথা। ১০ লক্ষ গাজাবাসীর মধ্য থেকে যারা গুটিকয়েক বেচে থাকবেন তাদেরকে মানুষ ফিলিস্তিনী হিবাকুশা বলবে।
এবার কি ইসরাইল সেরকম কিছু একটা করে ফেলবে? (ইসরাইলিরা নোবেল পাওয়া বুদ্ধিমান প্রানী। হিটলারের গ্যাস চেম্বারের মত প্রাচীন পদ্ধতি ব্যাবহার না করে, পরমানু বোমা নামক ব্রক্ষ্মাস্ত্র ব্যাবহার করলে করতেও পারে।)
চলমান যুদ্ধে সব হারানো ফিলিস্তিনীদের চাইতে বরং আমাদের দেশের ইহুদী শুভানুধ্যায়ীদের কান্নাকাটি বেশী। একটা কাজ করা যায়। আমাদের দেশের ইহুদী শুভানুধ্যায়ীদের জমি-জমা, অ্যাপার্টমেন্ট অধিগ্রহন করে, রোহিঙ্গাদের কাছে হস্তান্তর করে দিলে কেমন হয়? মনে হয় তখন তাদের কান্নাকাটি বন্ধ হবে। নির্ঘাত হবে।

ইহুদিদের সবচেয়ে বড় যে দূর্বলতা তা হলো তাদের জীবনের মূল্য আর বসত বাড়ীর জমির মূল্য। তাদের দুটোই চাই।
অপরপক্ষে ফিলিস্তিনীদের দূর্বলতা কেবল তার বাপ দাদার জমি। জীবন দিয়ে হলেও সে তার জমি তার অধিকারেই রাখতে চায়। যারা জীবন রক্ষা করে তথাকথিত শান্তিপূর্ন আন্দোলন করেছে, তারা না জীবন রক্ষা করতে পেরেছে না জমি রক্ষা করতে পেরেছে। কিছুই পারেনি। যেমনটা পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনী ভুক্ষন্ডে অহরহ ঘটছে। কিন্তু গাজায় এতো অবোরোধ দেয়ার পরও তারা তাদের অতি মূল্যবান ইহুদী প্রান রক্ষা করতে পারলো না। (ফিলিস্তিনীদের জমি ফিরিয়ে দিয়ে শান্তি রক্ষা বা জীবন রক্ষা করবে এই যু্ক্তি ইসরাইলিরা মানে না। তারা মনে করে তাদের সামরিক শক্তিই তাদের ইসরাইলিদের নিরংকুশভাবে রক্ষা করবে আর ফিলিস্তিনী জমি জবর দখল তা সয়ংক্রিয় ভাবে চলতেই থাকবে)। একজন ইসরাইলির প্রান হারানো মানেই ইসরাইল সামরিক বাহিনী, ইসরাইল গোয়েন্দা বাহিনী এবং সর্বোপরি ইসরাইল রাষ্ট্রের ব্যার্থতা।
অন্যদিকে ১০ ফিলিস্তিনীর জীবনের বিনিময়ে যদি ২ জন ইহুদির প্রান যায় এবং সেই সাথে ফিলিস্তিনী জমিও রক্ষা পায়, তবে সেটই ফিলিস্তিনী জনগনের অর্জন। হামাস সেটাই করছে।
(বাস্তবতা হলো ১৯৮৫ সালের দিকে ইসরাইল হেযবুল্লাহ্র জোর ঠ্যাংআনী খেয়ে নিজেদের দক্ষিন লেবানন থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল, তারপর স্হলভাগে অভিযান চালাতে গিয়ে ২০০৬ এর লেবানন যুদ্ধে কি ধরাটাই না খেলো। নিকট অতীতে হেযবুল্লাহর সাথে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর ট্র্যাক রের্কড খুব ইতিবাচক কিছু নয়। ইদানিংকালে হামাসের সাথে যুদ্ধ করেও খুব দৃশ্যমান কিছু তারা অর্জন করতে পারছে না। না তারা তাদের রকেট নিক্ষেপ থামাতে পারছে, না উল্লেখ করার মত হেভিওয়েট হামাস নেতাদের হত্যা করতে পারছে।)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৭