কালে কালে প্রয়োজনে, জনগোষ্ঠীর মাঝে বিবিধ রকম চেতনার উদ্ভব হয়। পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পিছনে কাজ করেছিল এক প্রকার চেতনা। এ অঞ্চলের পিছিয়ে পরা "মুসলমান জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সুরক্ষার চেতনা"। ঐ চেতনা বুকে ধারণ করে মানুষ সংগ্রাম করেছে। পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেতনা কী আজ অবশিষ্ট আছে? সে চেতনা কী কালের গর্ভে হারিয়ে যায়নি? যে চেতনা শেষ পর্যন্ত জনমানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরনে ব্যর্থ হয়, সেই চেতনার অবশ্যম্ভামী পরিণতি লুপ্ত হয়ে যাওয়া।
স্বাধীনতা পরবর্তী গত ৫৩ বছরের ইতিহাস কী বলে? স্বাধিকার অর্জনের চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে সশস্ত্র যুদ্ধ করা, জনমানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা কী পূরণ হয়েছে? স্বাধীনতা পরবর্তী “উর্দিধারী অনির্বাচিত সরকারের” বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রাম করে জনসাধারণ সর্বশেষ যা অর্জন করেছে তা হলো “উর্দিহীন অনির্বাচিত সরকার”। পার্থক্য কেবল উর্দির, এই যা।
বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের পেছনে যে চেতনা কাজ করেছিলো, সে মহান চেতনার পরিনতি যে পাকিস্তান রাষ্ট্র অভ্যুদয়ের চেতনার পরিণতি বরণ করবে না, তার কোন যুক্তিযুক্ত একটি কারনও কি আজ আমাদের মাঝে অবশিষ্ট আছে? কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। অতি ব্যবহার আর অপব্যবহারে আমাদের ৭১ এর স্বাধীনতা ও অভ্যুদয়ের চেতনা রূপান্তরিত হয়েছে ভাঙ্গারি পণ্যে। ভাঙ্গারি পণ্য বেঁচে, অনির্দিষ্টকাল পেট চালানোর দিন যে শেষ হয়ে আসছে তা সংশ্লিষ্টরা যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন ততই তাদের জন্য মঙ্গল।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯