খুব যেন মুখরোচক এক আলোচনার বিষয় কেউ কেউ তো আবার এটা বর্ণনা করতেই অতি উৎসাহী যে সেই বিশেষ নির্যাতনের প্রকৃতি কেমন, কি তার ধরণ! প্রতিযোগিতা মূলত কার চেয়ে কত রগরগে ভাবে বিষয়বস্তুটাকে কে উপস্থাপন করতে পারবেন তার ওপর!
আসলে এই কমার্শিয়াল যুগের চাহিদার প্রতি গণ মাধ্যমের একটু বেশিই মনযোগী হতে হয় তা না হলে যে তাঁরা আবার বিজ্ঞাপনের আয় থেকে বঞ্ছিত হবেন। আমি শুধু সভ্য সমাজের কাছে একটা প্রশ্ন করতে চাই আমরা জানি ঘটনা ঘটেছে, ভিডিও ফুটেজ আছে সবই হাতের কাছে কিন্তু প্রচার মাধ্যমে কি সেই ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন আঙ্গিকে নিত্য নতুন স্থির চিত্রের মাধ্যমে দেখানো কি খুব বেশী জরুরি? বর্ষ বরণ করতে এসে কি তিনি কম হেনস্থা হয়েছেন, যে পুনরায় দেশশুদ্ধ মানুষ আবার সেটা দেখবে?
দুর্ভাগ্যক্রমে গণমাধ্যমের আশীর্বাদ স্বরূপ আমি সেই ঘটনার এক স্থিরীকৃত চিত্র দেখে রীতিমত আঁতকে উঠেছি ভিড়ের আশেপাশের কিছু সভ্য পোশাকধারী অসভ্য পুরুষ দের দেখলাম যে সেই নির্যাতনের স্বীকার নারীকে দেখে তারা দাঁত বের করে হাসছেন! এ কোন সমাজে বাস করি আমরা? কেউ অসভ্যতা করে আনন্দ পায়, আর কেউ দেখে! আবার যারা নিজেদের খুবই সভ্য ভাবতে ভালবাসেন তারা সেই বিশেষ ধরণের নির্যাতনের মুখরোচক বর্ণনা শুনতে খুবই আগ্রহী!!
আমাদের জনৈক ক্ষমতা বান একজন মন্ত্রী তো উত্তেজনার বশে বলেই ফেললেন ভিডিও ফুটেজ এ নাকি বিবস্ত্র করার কোন ছবি ছিল না! কেন সেই ধরণের কিছু থাকলে কি তাঁর কাছে ঘটনা টি আরও বেশি উপভোগ্য মনে হতো???
আচ্ছা আর কিছু করতে পারি আর না পারি সেই ভিডিও ফুটেজ কি আমরা প্রকাশ্য গণমাধ্যমে সম্প্রচার বন্ধ করতে পারিনা???
সেই জানোয়ার দের ছবি প্রকাশের ব্যাপারে আমি সহমত আমার আপত্তি শুধু ওই অসহায় মেয়েদের নির্যাতনের সময়কাল নিয়ে, কারণ কেউ নির্যাতিত হচ্ছে এটা তো প্রচার করবার কিংবা বর্ণনা করবার মতন বিষয় নয়, এখানে প্রাধান্য দিতে হবে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির বিধান কে যাতে ভুলেও এমন জঘন্য ঘটনা দ্বিতীয় বার না ঘটে। আশা প্রকাশ করছি যারা আমার এই অহেতুক লেখাটি মূল্যবান সময় নষ্ট করে পড়বেন তাঁরা আমার সাথে একমত হবেন।