Moral of the ইস্টোরি is
University র মাইয়ারা খারাপ, বেকটি নষ্ট, চোখ ফুইটা গেসে, বেয়াদব, কিসু বুঝান যায় না হেতেরা উল্টা বুঝাই দেয় Hi hi hi
আচ্ছা, University র পোলারা তো খুব ভাল, এক্কেরে দুধে ধোয়া তুলশি পাতা তাইনা??? নোংরামি কারে কয় এইসকল ভব্য নব্য তথাকথিত Brilliant গাঞ্জাটি ভাইয়ারা বুঝেই না! তাইতো বছরের পর বছর নির্লজ্জের মত classmate এর লগে প্রেম পিরিতি (আসলে ছেঁচরামি) করার পর সুবোধ বালকের মতন ওনারা পারিবারিক পছন্দকেই প্রাধান্য দেন! তারপর আবার নিজের ষোড়শী স্ত্রীর মধ্যে পুরান বান্ধবীরে খুইজা বেড়ান !! একবার স্ত্রীর সাথে সাবেক প্রেমিকারে আবার প্রেমিকার সাথে স্ত্রীরে তুলনা কইরা হিসাব-নিকাশ কষেন!!! আমি কইতেসি না মাইয়ারা এই ইস্যু তে পিছাইয়া আসেন, এইরকম ভুরি ভুরি উদাহরণ আমাদের আশে পাশেই বিদ্যমান, মাইয়া নিজের classmate এর লগে চূড়ান্ত ছ্যাঁচড়ামি, ইতরামি করণের পর পয়সাওয়ালা জামাই পাইয়া নিজের না পরিবারের ইচ্ছায় বিয়া কইরা ফালাইসে!!! যেনারা এখনও পর্যন্ত বিরক্ত না হইয়া আমার এই বিচ্ছিরি লেখাটা পড়তেসেন তাগোরে জিগাই আচ্ছা আমারে একটা প্রশ্নের উত্তর দেন তো দেখি-" ধান্দাবাজেরা কি কখনো তাগোর ধান্দাবাজি বন্ধ করে এইরকম বিবাহিত পুরুষ মাইনশের সংখ্যা কি খুবই কম যারা তাদের বিবাহিত স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক দেইখাও না দেখার ভান করেন! সেইখানেও কিন্তু বাঁধ সাধে আপনার পুরুষতন্ত্র! লোকে জানলে কি কইবো কেমন জামাই বউ শাসনে রাখতে জানেনা! খারাপ ভালোতে কি কোন লিঙ্গ ভেদ হয়রে ভাই, যেই মানুষটা খারাপ সেইটা সবাইরে নিজের মতন বানাইতে চায় আর না পারলে হুদাই নিন্দা করে। আর বিবাহিত মহিলাদের কথা কি আর কমু মানসিক, পেশাগত, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এইসব তাদের খুবই সীমিত। তারপরও তাদের নিজের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাটুকু অধিকাংশ ক্ষেত্রে হারানোর ভয়ে চুপ থাকেন, বাকি সমাজের কথা না হয় বাদই দিলাম।
তাদের বয়স কখনই কিন্তু বেশিও হয়না ( ওমা হেতে কয় কি পুরুষ মাইনশের আবার বয়স! যেইখানো পোলাগো Virginity টাই কোন বড় ইস্যু না সেইখানে বয়স!) কিন্তু এম.এ পাস করলেই একটা মাইয়া বুড়ি হইয়া যায়! সমঅধিকারের কথা তুললেই এনারা সবার আগে গনপরিবহনে মহিলা সিটের কথা তুলেন! আরে ভাই মহিলা সিটের গুষ্টি কিলাই কিসু কিসু বেজন্মা পাবলিক তো গনপরিবহনে এমন কাজ করেন যে ঘিন্না লাগে, এমন দৃষ্টিতে তাকায় যে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। নিয়মিত যারা গনপরিবহন এ যাতায়াত করেন তারা এই ব্যাপার টা ভাল জানেন , Details এ গেলাম না। সু পরামর্শ দাতাগন কইতে পারেন হিজাব পরেন, হাতে পায়ে মুজা পইরা, মুখে নেকাব বাইন্দা ঘুরেন! ক্যান শালা শুধু কি তোগই গরম লাগে? আমাগো লাগে না? শালীন পোশাক কেমতে পরে সেইটা সবাই জানে, কাউরে নতুন কইরা শিখানোর কিসু নাই যারা কেউ কেউ আবার এই সুপরামর্শও আমগোরে দিতে পারেন গনপরিবহন ব্যাবহারের কি দরকার মাইয়া মানুষ আলাদা পরিবহণ এ চড়লেই পারেন। টাকা কি তুই নিজের পকেট থেইকা দিবি? না তোর বাপে দিবো?
আজব এক সমাজে বাস করি আমরা, যেখানে চাকরি খুঁজতে গেলে Interview বোর্ড এ মাইয়া গো বিয়ার পরামর্শ দেয়া হয়! বিয়ার খরচ কে দিব তোর বাপ? আমি গেসি চাকরি খুঁজতে পোষাইলে দিবি নাইলে না, সেইখানে আমি কি বিয়া করুম, না মইরা যামু সেইটা জিগানোর তুই কে?
যাই হোক বহুত ছাগলের লাহান ব্যারব্যারাইলাম আসল কথা হইল- প্রচলিত ধারণা হইল-" পুরুষ মানুষ রাগ করলে হয় বাদশা, আর মাইয়া মানুষ ___" । যাহা কিছুই হউক কেষ্টা বেটার মতন সব দোষ মাইয়া মাইনশের!
আপন জুয়েলারসরা বেবাক্তেরে নিজের আপন মনে করে, আর তাছাড়া high society তে সবাই ভদ্র মুখোশ পইরা ঘুরতে পছন্দ করে সেইটা তারা যেমন বুঝে Mango people ও বুঝে। "Raintree Hotel" গুলান কি আর এমনিতেই খুলে??? সবাই জানে আর বুঝে তাগো ব্যবসা কি আর খদ্দের কারা?
তাই আমাদের পরথম কাজ হইব আগে Psychology বুঝা, কোন মানুষ কি ধান্দায় আপনার আশে পাশে ঘুরতাসে, তার আসল উদ্দেশ্য টা কি সেইটা আগে বুঝতে হবে, জানি সেইটা তেমন সহজ না, তাইলে তো আর আশেপাশে ধান্দাবাজি করাটা আজকাল ফ্যাশনে পরিণত হইত না। টাকাপয়সা আর পজিশন থাকলেই হয় না, মানুষ হওয়ার জন্য আগে পুরুষতান্ত্রিক মানসিক বিকলাঙ্গতা থেইকা বাইর হইয়া আসতে হবে, নাইলে একদিন তারা যে কোন আস্তাকুড়ে যাবে তারা নিজেরাও সেইটা জানেনা।
শুধু মাত্র পেশি শক্তি আর security র দোহাই দিয়া কয়দিন ঠেকাই রাখতে পারবেন? আপনি জন্মান যেই জাতের সাহায্য সেই জাতরে আর কত অপমান করবেন? "স্বাধীনতার মতন ক্ষমতাটাও অর্জনের চাইতে রক্ষা করাটা বেশি কঠিন।" আর কতদিন বঞ্চিত রাখতে পারবেন? কতদিন নাফরমানী করবেন? আজকাল মাইয়ারাও টেকা কামাইতে পারে,আপনাদের থেইকা ভাল রেজাল্ট করতে পারে,ঘরকন্নার কামের কথা নাহয় বাদই দিলাম,হয়ত একদিন এমনও হইতে পারে সব উলটাইয়া যাবে, আপনাগোরে নিয়াই-"Item song" তৈরি হবে,যেইখানে আপনারা থাকবেন "Item Boy" বিদেশের মত এই দেশেও "Sperm Bank" থাকবে, নোংরামিতে আগেও আপনারা কম ছিলেন না আর এখন তো ইন্টারনেট এর আশীর্বাদে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। বেগম রোকেয়া ২০১৭ সালে বাইচা থাকলে হয়তো আর "জাগো গো ভগিনী" প্রবন্ধ রচনা করতেন না। কারণ যেইসব ভগিনীরা জাগণের তারা জাইগাই আসেন, আর যেই ভগিনিরা ঘুমাই আসেন তারা আজ নাহয় কাল নিজ প্রয়োজনে জাইগাই যাইব। এখন তাঁর লেখার টপিক হইত " জাগো গো ভ্রাতা" আর কতকাল ৯০ ডিগ্রীতে নিজের যুক্তি আর Justification এর আত্মতৃপ্তিতে ভুগবা। ৩৬০ ডিগ্রী না হোক অন্তত পক্ষে ১৮০ ডিগ্রী হইলেও চিন্তা করতে শিখো। মাথাটা একটু খাটাও।
জনৈক আঁতেল পাবলিক যে হুদাই প্যাঁচাল পাড়ে।